somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এমন অনেক কিছুই আছে যা আগে কখনো বলা হয় নাই বা বলা যায় নাই। কিন্তু এখন আর চুপ থাকার কনও অর্থ হয় না। অপ্রকাশিত কথা, কিন্তু ১৮+ না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমন অনেক কিছুই আছে যা আগে কখনো বলা হয় নাই বা বলা যায় নাই।

তিন চার বছর আগে মারেয়া(বোদা উপজেলা, পঞ্চগড়) গিয়েছিলাম করতোয়া নদীর তীরে শাল বনে পারিবারিক পিকনিকে। সাথে আমার স্ত্রী। ঈদের পরের পর দিন ছিল যতটুকু মনে পড়ে। যেতে পথে মারেয়া বাজারে হই হট্টগোল দেখে গাড়ি থামিয়ে খোঁজ নিয়ে জানলাম যে দুর্গা পূজার মণ্ডপের গেটের উপড়ে গরুর কাটা মাথা কে বা কারা ঝুলিয়ে রেখেছিলো, সেই নিয়েই হই চই! পিকনিক শেষে যখন বিকালে ফিরছি তখনো দেখি জটলা ? অবাক হয়ে খোঁজ নিয়ে শুনি আসামী ধরা পড়েছে, সেই আসামীকে দেখার জন্য এবং শাস্তির দাবিতে এই লোক সমাগম!

যেহেতু মারেয়াতে আমার দুলাভাই অনেক বছর চেয়ারম্যান ছিল, তাই উৎসাহী হয়ে দুলাভাই সহ এক ঝলক আসামীকে দেখে পুলিশের সাথে কথা বলে আসামীর পরিচয় পেলাম, আসামী পাশের পূজা কমিটির একজন সদস্য! অর্থাৎ সে একজন হিন্দু!

কি কারণে সে এই ঘটনা ঘটাল জিজ্ঞেস করলে সে বলে যে, অপর পাশের পূজা কমিটির সাথে মনমালিন্য হবার কারণে সে ঐ কাণ্ডটা করেছে একজন কসাইয়ের সাগরেদকে ২০০ টাকায় হাত করে!

মজার ব্যাপার হচ্ছে পরদিন প্রথম আলোয় খবরটা আসে যথারীতি সাম্প্রদায়িকতার উত্তাপ নিয়ে! আমি প্রথম আলোতে প্রতিবাদ পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা প্রকাশ করে নাই! ঐ খবরটা প্রথম আলোর বিক্রি বাড়িয়েছে আর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যের আন্দোলনের জন্য রসদ জুগিয়েছে! ফলাফল, মুসলমান- হিন্দুর বিভেদের রেখাটা আর একটু বাড়ল! আমি বিশ্বাস করিনা যে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সত্য ঘটনা জানে না। সত্য হচ্ছে উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ফায়দা নিতে কেউ ছারে না! এখানে কনও নীতি বা ধর্মীয় বোধ কাজ করে না।

যদি তাঁরা নীতি বিসর্জন দিয়ে মিথ্যাকে পুঁজি কোরতে পারে তবে আমরা কেন সত্যকে সামনে আনতে কার্পণ্য বোধ করবো?

প্রশ্ন আসবে, কিসের ফায়দা? উত্তর হতে পারে একাধিক।
১) বিভেদ তইরী করে দেশকে সমগ্র পশ্চিম বাংলার( ভারত) সাথে মিলিয়ে ফেলার! যেটা মনোরঞ্জন ধর নামের এক দেশদ্রহি বেজন্মা গত ৫০ বছর ধরেই চেষ্টা করছে!
২) দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশ হিসাবে প্রমাণ কোরতে।
৩) দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ কোরতে।
৪) দেশকে ইসলামী জঙ্গি মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ কোরতে।

এক কথায় এই সব কিছুর পরিণতি হবে বাংলাদেশ ভারতের আস্তাকুর,আবর্জনা ফেলার জায়গা! ভারতের অর্থনীতিকে উপড়ে নেওয়ার খনি হবে এই দেশ! ওদের শিল্প কাড়খানা ওরা নতুন আধুনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে জীর্ণসংস্কার (Renovation) করবে আর ওদের পুরাতন শিল্প কাড়খানার যন্ত্রাংশ দিয়ে এই দেশে শিল্প গোরে তুলবে! পরিবেশ খারাপ হবে এই দেশের! অসুস্থ হয়ে মানুষ মরবে এই দেশের! যে শিল্প কারখানার উচ্চ পদস্থ কর্মচারীরা হবে ভারতের,অর্থাৎ ওরা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হবে এবং ওদের জনগণের কর্মসংস্থানের জায়গা হবে এই দেশ। আমার কথার প্রমাণ যদি কেউ চান, তবে কষ্ট করে দেশের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে খোঁজ নেন, দেখেন সে গুলোর উচ্চপদস্থ পদে কারা ? এই দেশের মাল্টি ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান গুলোর উচ্চপদস্থ পদে কারা ? বায়িং হাউস গুলো কারা চালাচ্ছে ? গার্মেন্টসের, টেক্সটাইল মিলের মালিক পর্যন্ত ভারতীয় আছে কি না? দেশে অনেক মেয়ে মডেল থাকার পরও প্রায় সব মাল্টি ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন হয় ভারতের মডেলদের দিয়ে! পাকিস্তানে কি এটা হয় ? শ্রীলঙ্কায় অথবা চীনে কি এটা হয় ?

মধ্য প্রাচ্যের শেখরা যেমন ওদের দেশের মেয়েদের ভোগ করে অর্থের লোভ দেখিয়ে,কাজের লোভ দেখিয়ে তেমনি এই দেশের মেয়েরা হবে ওদের ভোগের পাত্রী! না...... অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়, ক্ষমতার ডাণ্ডা হাতে নিয়ে! যে ভাবে পর্তুগীজরা ও ওলন্দাজরা ভোগ করেছিলো! যে ভাবে বিদেশী বেণিয়ারা যুগ যুগ ধরে ভোগ করেছিলো!

কেউ যদি মনে করে যে, সে হিন্দু বলে বা বৌদ্ধ বলে বেঁচে যাবে, তবে সে বকার স্বর্গে বাস করছে! কারণ ওরা আমাদের সবাইকে একদম নিম্ন বর্ণের মনে করে! মন্দিরের পুরোহিত যেমন মন্দিরের সেবা দাসীকে ভোগ কোরতে জাত পাতের বিচার করে জাত হারানোর ভয় করে না, তেমনি ভারত এই দেশের হিন্দু,ক্রিস্টান বৌদ্ধদেরও ভোগ কোরতে সামান্য চিন্তা করবে না।

প্লাবন যেমন ঈমান- বেঈমান বুঝে না, তেমনি ভারতীয় আধিপত্তবাদ হিন্দু- মুসলিম বুঝবে না!

আগে যা ছিল পর্দার আড়ালে, এখন তা প্রকাশ্য! ভারত এখন আমাদের রাজনীতি ঠিক করে দেয় প্রকাশ্যে! কে মন্ত্রী হবে, কি মন্ত্রী হবে সেটাও এখন প্রকাশ্যেই করছে!ওরা আমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ো ছাপিয়ে দেয়!

আরও অনেক কিছুই এখন প্রকাশ্যে হচ্ছে। শুধু আমরা অশিক্ষিত ও কুশিক্ষা পাওয়া এই দেশের এক শ্রেণীর মানুষের স্বভাব ঐ রকম হিজড়ার মতো, গপোনাংজ্ঞ লুকচ্ছি ! যদি কেউ দেখে ফেলে? যদি কেউ কিছু মনে করে ? যদি কেউ জেনে যায় ? যতো যাই কিছু লুকাক না কেন, সত্যিটা ন্যাংটা করে প্রকাশ হতে যা দেরি হয় মাত্র। প্রকাশ হয়ে পড়লে শুরু হয়ে যায় অশ্লীল নর্তন- কুর্দন! এখন যেটা হচ্ছে।

হিন্দু- মুসলিম এখানে গৌণ। বরং মুসলমানদের মধ্যেই সংখ্যাটা বেশী, এটাই ক্ষতির ও ভয়ের। অনেকটা মদিনার মুনাফিকদের মতো।আওয়ামীলীগ ও বি এন পি এর মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। আওয়ামীলীগ করলেই খারাপ হবে বা ভারত প্রেমী আর বি এন পি করলে ভালো এবং দেশ প্রেমিক, এটা সম্পূর্ণ ভুল। তবে বি এন পি অপেক্ষাকৃত বেশ ভালো এই জন্য যে তাঁরা সুযোগের অভাবে চরিত্রবান!

সময় চলে যায় নাই এখনো। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের মধ্যে বাদ-বিবাদ, মতপার্থক্য না সরিয়ে এখনো এক হতে না পারি, তবে নিশ্চিত থাকেন সামনে আপনাদের দুই বেলা শক্ত রুটি আর ডাল সুনিশ্চিত! আরও সুনিশ্চিত, সন্ধ্যায় ঘড়ে ফিরে ঘড় আলো করে আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য পড়িবারের কাওকে কষ্ট কোরতে হবে না! কারণ তাদেরও তো কিছু দিতে হবে, দুই বেলা খাবার যোগার কোরতে!

এখনই তো ওরা আমাদের বাস্টার্ড চাইল্ড বলছে! বোধ হবে কবে আমাদের.........................?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×