লন্ডনে আত্নঘাতী হামলা, নিহত ৮।
কয়েকদিন আগে ম্যানচেস্টারেও একই ধরনের হামলা হয়েছিল। সেখানে নিহত হয় ১৭ জন। বাংলাদেশের সেকুলার এবং নাস্তিক সম্প্রদায় ইসলামকে তুলোধোনা করে একের পর এক স্ট্যাটাস প্রসব করে যাচ্ছেন। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মেও বলেছেন, ইসলামি সন্ত্রাসীরাই এই হামলার জন্য দায়ী।
একটা ছোট্ট প্রশ্ন। আপনারা কি করছেন ইরাকে? ওখানে আপনাদের সেনাবাহীনি কেন? আপানার সেনাবাহীনি কি করছে আফগানিস্তানে, সিরিয়াতে, লিবিয়াতে। আফগানিস্তান এবং আরব ভূমিতে গত কয়েক বছরে ২০-২৫ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে পশ্চিমা বাহিনী। এর বিপরীতে ইউরোপে আত্নঘাতী হামলায় মানুষ মারা গেছে কয়েকশো । ক্রিয়ার বিপোরীত প্রতিক্রিয়া থাকবেই। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সংঘাত। এই হামলাকে নাস্তিক সম্প্রদায় ইসলামিকরন করছে নিজেদের মূর্খতা এবং বিদ্বেষীতার জন্য। আর পশ্চিমা পলিটিশিয়ানরা এবং মিডিয়া ইসলামিকরন করছে তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়া এবং মূল ঘটনা আড়াল করার জন্য।
তবে কোন ভাবেই, কোন যুক্তিতেই এইসব আত্নঘাতী হামলা সমর্থন করা যায় না। পশ্চিমাদের হামালার জন্য এই সাধারণ মানুষগুলো দায়ী না। এইসব হামলাকারীদের ধরে বিচার করা উচিত। তবে চিন্তা করুন ২০-২৫ লক্ষ নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ বাড়িঘর মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বিমান হামলা করে। কোটি কোটি মানুষ রিফুজি হয়েছে, এরা বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাম্পে অমানবিক জীবন যাপন করছে। আপনি সমালোচনা করলে সবগুলোরই করুন। তাহলেই সমাধান আসবে। এটা পরিস্কার এইসব হামলার ঘটনার সাথে ইসলাম বা ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। সর্বশেষ একটা ছোট্ট তথ্য দেই, পশ্চিমাদের ২০০১ সালে ইরাক আক্রমনের আগে ইরাকের আট হাজার বছরের ইতিহাসে কোন আত্নঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৩