somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলুন কিছু অদ্ভুত ও রহস্যময় জায়গা থেকে ঘুরে আসি আর তাদের নিয়ে রচিত কিছু বিখ্যাত লোককথা শুনে আসি

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ভেবে বলুনত আমরা আমাদের এই পৃথিবীকে কততুকু জানি? উত্তর ঃ- অনেক কিছুই জানি না। খোদা তালা আমাদের এই পৃথিবীটাকে কত সুন্দর ভাবেই না সাজিয়েছেন, তার বর্ননা কি কখনো দেয়া সম্ভব? আজ আবারও আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি এমন সব জায়গায় যেগুলো দেখার পর ও এদের নিয়ে রচিত রুপকথাগুলো শোনার পর আপনারা কিছুক্ষনের জন্য বিষ্ময়ে আবিভুত হয়ে যাবেন। ত দেখা যাক ঃ-

১. কাচের গুহা(cave of crystals) মেক্সিকোঃ মাটির প্রায় ৩০০ মিটার নিচে অবস্থিত ক্রিস্টালের বড় বড় থামে ভর্তি আশ্চর্য এই গুহাটি মেক্সিকোর নাইকায় অবস্থিত । প্রচন্ড গরমে কাচে রুপান্তরিত জিপ্সামের এই স্ফটিকগুলো এতই বিশাল ও এতই সুন্দর যে যারাই এগুলোকে একবার দেখেছে তারাই আবার সেখানে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। মাটির এত নিচে পাওয়া এই গুহার পরিবেশ খুবি দুর্গম। এখানকার তাপমাত্রা প্রায়৫৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আদ্রতার পরিমান শতকরা ৯০ থেকে ৯৯ ভাগ। এই দুর্গম পরিবেশে একজন পর্যটককে বিশেষ পোশাক পরিধান করতে হয়। তার পরেও কেউ সেখানে ১৫ মিনিটের বেশি অবস্থান করতে পারেনা।

লোককথাঃ একজন গরীব জেলে একদা একটি ছোট মেয়েকে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করল। উদ্ধার করার পর সে জানতে পারল যে এই মেয়েটী চন্দ্র দেবতার। চমদ্রদেবতা তারপর খুসি হয়ে জেলেকে প্রচুর পরিমানে মুল্যবান স্ফটীক উপহার দেয়। এতে জেলে খুসিতে আত্মহারা হয়ে পরে। কিন্তু কিছুক্ষন পরই তার এই খুসি ভয়ে রুপান্তরিত হয়ে যায়। সে কখনো এত সম্পদ দেখেনি। তাই চুরি হয়ে যেতে পারে সেই ভয়ে সে ভিত হয়ে পরল। সে তারপর চন্দ্র দেবতাকে অনুরোধ করল সে যেন তার সম্পদ গুলোকে কোন গভীর গুহায় লুকিয়ে রাখে। দেবতা তাই করল। বছর যেতে লাগল , জেলেও দিনে দিনে বৃদ্ধ হয়ে যেতে থাকল। মৃত্যুর কিচ্ছুক্ষন পুর্বে সে তার ছেলে মেয়েদের ডাকল গুরুত্ব পুর্ন একটি কথা বলবে বলে। কিন্তু কথাটি বলার পুর্বেই বৃদ্ধ মারা গেল। তারপর কেউই জানতে পারলনা তার লুকিয়ে থাকা সম্পদের কথা। এই লোককথা আমাদের এটাই বলে যে “ Unused wealth is worthless”.

২. বিয়ার রক ( Bear Rock)। ঃ ছবিতে আপ্নারা পাহার আকৃতির যে পাথুরে টাওয়ার টি দেখতে পারছেন তার নাম বিয়ার রক ডেভিল টাওয়ার। বিয়ার রক হল আশ্চর্য রকমের একটি পাহার বা পাথুরে টাওয়ার যা বিশাল এলাকার মাঝে হঠাৎ করে মাটি ফুরে বেরিয়ে আসা একটি পাথুরে টাওয়ার । এটাকে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সুদুর আমেরিকাতে। এটা আমেরিকা সরকারের সৃক্রিত প্রথম জাতীয় সৃতিস্তম্ভ। আমেরিকান অভিবাসীদের আসার পুর্বে স্থানীয় অধিবাসীরা প্রতি পুর্নিমা রাতেই বিয়ার রকের পাদদেশে নাচ গান করত। এই ডেভিল টাওয়ার নামকরন নিয়ে রয়েছে অনেক কাহিনী । তবে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম করনটি হয়েছিল ১৮৭৫ সালে । ১৮৭৫ সালের দিকে কর্নেল রিচার্ড ইরভিং ডজ যখন এই জায়গাটি পরীক্ষা করছিলেন তখন তার সহকারী এইজায়গার নাম সম্পর্কে কিছু ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তার সহকারি খারাপ আত্মার পাহার বলে এর নামের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তার পর কর্নেল ডজ বিয়ার রককে ডেভিল টাওয়ার নামে নামকরন করেছিলেন।

লোককথাঃ- অনেক দিন আগে অপুর্ব সুন্দরী সাত জন স্বতী রমনী জঙ্গলে ঘুরতে যায়। সেই সময় বেশ কিছু দৈত্যাকৃতি ভাল্লুক তাদের অনুসরন করছিল। হটাৎ করে আচমকা ভাল্লুক গুলো তাদের আক্রমন করে। সব দিক আক্রমনের ফলে সাতবোনই কোনঠাসা হয়ে পরে। এই অবস্থায় তারা ছটো একটা পাথরের ঊপরে উঠল এবং দেবতার কাছে তাদের উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা জানাল। দেবতা তাদের আকুতিতে সাড়া জানাল এবং তাদের দাঁড়িয়ে থাকা পাথরটকে উচু করতে করতে আকাশের উচ্চতায় নিয়ে গেল। পাথরটি উচু হবার সাথে সাথে ভাল্লুকগুলোও তার গা বেয়ে নিচে নেমে যেতে থাকল। তারা নেমে গেল কিন্তু সেই পাথরের মাঝে ধারালো নখ দিয়ে তারা যে আঁচর দিয়ে গিয়েছিলো তা আজও দেভিল টাওয়ারের গায়ে বিদ্যমান।

৩. 5. Uluru (Ayer’s Rock), Australia: অস্টেলিয়ার টুরিজম নিয়ে যতগুলো বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়েছে তাদের সবগুলোতেই এই উলুরু বা আয়েরা পাথর রয়েছে। উলুরু হল বেলেপাথরের বিশাল পাহার। এটী অস্টেলিয়ার সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ন ও জনপ্রিয় স্থান গুলোর একটি। আর হবেই না বা কেন, এক পাথরের এতবড় পাহার পৃথিবীর আর কোথাও যে নেই। উলুরুর আকৃতি প্রায় একটি দ্বীপের মত। এর আয়তন প্রায় ৩৩৫কিমি । অস্ট্রেলিয়ার anagu উপজাতিদের কাছে উলুরু হল সবচেয়ে পবিত্র তম স্থান। এই আয়েরা পাথরে যেই সকল গুহা রয়েছে তাদের মদ্ধে প্রাচিন মানুষের তৈরি বেশ কিছু গুহা চিত্র পাওয়া যায়। যাই হোক আয়েরার পাথর বা উলুরু এখন বিশ্বঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত।

লোককথাঃ সুর্য দেবতা একসময় উলুরুর উপজাতিদের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। সে তার সুর্যের মাদ্ধমে মরুভুমির সব মেঘ উরিয়ে নিয়ে যায়। এত তাপে উপজাতিরা মারা যাচ্ছিল। ঠিক তখন উপজাতিরা বৃষ্টি দেবতার কাছে তাদের উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করল। তাদের কঠিন প্রার্থনায় বৃষ্টি দেবতার মন গলে যায়। সে তাদের আশ্বস্ত করল যে সে তাদেরলে এমন একটি লেক উপহার দেবে যা সুর্য দেবতার কাছে অদৃশ্য থাকবে। কিন্ত তার কিছুক্ষন পরই তারা লক্ষ করল যে মাটি ফুড়ে এক্টি পাহার বেরিয়ে আসছে। এতে তারা হতভম্ভ হয়ে পরে,তারা ভেবেছিল যে মাটি ফুরে হয়ত কোনো লেক বের হবে। তার কিছুদিন পর তারা লক্ষ করল যে আয়েরার মাটির নিচ দিয়ে সুন্দর একটি লেক বয়ে যাচ্ছে এবং সুর্যের আলো সেখানে পৌছতে পারছে না। এই গল্পটি আমাদেরএটা শেখায় যে “ প্রকৃতির দয়া কখনোই শেষ হবার নয়। সন্তানের বিপদে প্রকৃতি মাতার হাত সবসময় প্রসারিত “ ।

৪. 2.Tsingi সিঙ্গগি( মাদাগাস্কার) ঃ- মাদাগাস্কার দ্বীপের পশ্চিম উপকুলে যারা ঘুরতে যাবেন তারা অদ্ভুত কিছু পাহার দেখে অবাক হবেন। এগুলু কে পাহার বললে ভুল হবে, এগুলোকে বলতে হবে পাহার আকৃতির বিশাল বশাল সুই বা বল্লমের সারি। হা এটা অদ্ভুত ই বটে কারন এই সুই বা মিসাইল আকৃতির পাহার পৃথীবির আর কোথাও দেখা যায়না। এই পাহারগুলোর ফলা গুলো এতই ধারলো যে মানুশ ত দুরের কথা স্থানীয় অনেক প্রাণীই এগুলোতর মাঝ দিয়ে চলাফেরা করতে অনেকবার ভেবে নেয়। এই ধারালো ও দুর্গম পাহার গুলোতে শুধু মাত্র দুর্লভ প্রজাতির কিছু লেমুর, শামুক ও ব্যাং বাস করতে পারে।

লোককথা ঃ এই সিঙ্গগী কে নিয়ে যে লোক কথা গুলো রচিত হয়েছে তাদের মাঝের একটি হল-----অনেক অনেক দিন আগে নরম তুলতুলে লেমুররা যারা মাদাগাস্কারে বাস করত তারা তাদের ভাল ব্যাবহার ও আনুগত্যের জন্য চন্দ্র দেবতার কাছ থেকে একটি বিষেশ আলো উপহার পেল। এই আলো তাদের শরির কে চাদের আলোর মত উজ্জ্বল করে তুলল। এই উজ্জলতার জন্য তারা তাদের অনেক গর্বীত ভাবতে লাগল। কিন্তু কিছুদেন পর তারা আবিষ্কার করল যে বেশি উজ্জলতার জন্য ফুসারা (একধরনের বন্য বিড়াল ) তাদের সহজে শীকার করে ফেলছে। এইভাবে অই জংগলে লেমুর দের সংখা কমতে শুরুকরল। এই অবস্থায় বেচে থাকা সকল লেমুররা একটা পাথুরে স্থানে আস্রয় নিল এবং তাদের প্রিয় চন্দ্রদেবতার কাছে তাদের রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করল। চন্দ্র দেবতা তাদের আস্রয়ের স্থলকে ধারালো পাথুরে ফলায় রুপান্তরিত করে ফেলল। সেইথেকে সিঙ্গি হয়ে উঠল একটি দুর্গম জায়গা এবং লেমুর ছাড়া আর কেঊই এখানে থাকতে পারেনা।এইভাবে দেবতা তার প্রানপ্রিয় লেমুরদের ফুসাদের কাছ থেকে রক্ষা করল।
প্রতিটি লোককথারই একটি মোরাল থাকে , এই গল্পটির মোরাল হল “প্রাতইহটি ভালো ক্রিয়ারই একটি বিপরিত প্রতিক্রিয়া রয়েছে”।

৫. চকলেট হিল (ফিলিপাইন)ঃ- ছবিটি দেখে হয়ত ভাবছেন এগুলো সস্য ক্ষেতে স্তুপ করে রাখা কোন ময়লার স্তুপ। কিন্তু অদ্ভুত রকম উচু হয়ে থাকা স্তুপ গুল হচ্ছে বেশ কিছু পাহাড়ের সারি। চকলেট আকৃতির এই অদ্ভুত পাহার গুলো দেখতে হলে যেতে হবে ফিলিপাইনের বাহোলে । প্রায় ৫০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুরে প্রায় ১২০০ টির মত এইরকম পাহার রহস্যজনক ভাবে ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে। বর্ষা কালে এই পাহারগুলো সবুজ রঙ্গে আচ্ছাদিত থাকলেও গ্রীষ্ম কালে তা চকলেট রঙ্গে পরিবর্তিত হয়।

লোককথা ঃ- কোনো এক সময়ে ফিলিপাইনের বাহোল অঞ্চলে একটি বিশাল মহিষ থাকত। মহিষ টি ছিলো একটি পর্বতের মত বড় ও নিষ্ঠুর। সে সব সময় তার প্রতিবেশী গ্রামগুলোর সকল সৈষ্য খেয়ে ফেলত বা নষ্ট করে ফেলত। তার অত্যাচারে অতিস্ট হয়ে তাকে তারানোর জন্য গ্রাম বাসী একটি বুদ্ধি বের করল। তারা তাকে বিশাল একটি ময়লা খাবারের স্তুপ খাবার জন্য আমন্ত্রন জানাল। এই খাবার দেখে ত মহিষ মহা খুসি। সে তারাতারি সব খাবার খেয়ে ফেলল। এরকিছুক্ষন পরই সে অসুস্থ হয়ে পরল।সে পাগলের মত এদিক সেদিক দৌড়াতে থাকল এবন বিশাল বিশাল গোবোরের স্তুপ ফেলতে শুরু করল। আর এই গোবোরের স্তুপগুলো শুকিয়ে এক্সময় এই চক্লেট আকৃতির পাহার গুলো সৃষ্টি হয়।। এইলোককথাটি আমাদের যে নিতিকথাটি শেখায় তা হল
“প্রতিবেশিদের কাছ থেকে কোন উপহার নেয়ার সময় অবস্যি সতর্ক থাকবে”।

৬. Blue hole . belize (Bahama):- প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বাহামা দ্বীপ পুঞ্জ এমনিতেই বিখ্যাত, আর এই বিখ্যাত হবার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন যার অবদান তা হল great blue hole. Blue hole হল সুমদ্র পৃষ্ঠের মাঝে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টিহওয়া বিশাল বিশাল কিছু গর্ত। এদের একেক্টির পরিমান এত বিশাল যে, এগুলোকে কখনো ভালো ভাবে আবিষ্কৃত করা যায়নি। তা উইকিপিদিয়াতে ব্লু হোলের ইতিহাস ঘেটে জানতে পারলাম যে, বরফ যুগে এই হোল গুলো ছিল বিশাল বিশাল গুহা বা গর্ত। বরফ যুগের শেষে যখন বরফ গলতে শুরু করে তখন সমুদ্রের পানিবেড়ে যায়, আর এই পানি বৃদ্ধির ফলে বাহামার যেই অংশে হোল গুলো ছিল তা পানিতে পরিপুর্ন হয়ে যায়। আর এবভাবেই ব্ল হোলের সৃষ্টি। যাই হওক, নীল সমুদ্রের মাঝে সৃষ্টি বিশাল বিশাল এই গর্ত গুলো আসলেই ওণেক রহস্যময়।

লোককথা ঃ-অনেক দিন আগে যখন পৃথিবী বরফ্র ঢাকা ছিল ,তখন বেলিজ দ্বিপের বড় বড় গুহাগুলোতে দাতালো বাঘের এক বিশাল দল বাস করত। এই গুহা গুলো তাদেরকে বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন শত্রুদের কাছ থেকে তাদের রক্ষা করে আসছিল। একদিন হঠাৎ করে অন্য গুহার প্রানীরা তাদের গুহা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করল। বাঘরা যখন তাদের চলে যাবার কারন জিজ্ঞাস করল, তখন তারা জানাল যে সমুদ্র তাদের ডুবিয়ে নিয়ে যাবার জন্য এদিক দিয়ে আসছে। বাঘেরা তাদের কথায় কর্নপাত করল না। বরং তারা বলল যে এই গুহাই তাদের রক্ষা করবে। এদিকে পৃথীবির তাপমাত্রা আরো বেড়ে গেল। সকল প্রানীই তাদের নিজেদের গুহা ছেরে দিল। কিন্তু একদিন সমুদ্র আসলেই তাদের কাছে চলে আসল। হটাৎ করে বিশাল একটি ঢেউ তাদের গুহার দিকে ধেয়ে আসল। মুহুর্তেই বাঘদের গুহা পানিতে তলিয়ে গেল। কোনো বাঘই এই জলোচ্ছাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারলনা। এই গল্পে একটি গুরুত্বপুর্নmoral লুকিয়ে আছে আর তা হল। “নিজেকে গর্তে লুকিয়ে রেখনা । বেড়িয়ে এস, দেখ সারা পৃথিবীর সাথে নিজেকে সামিল কর”।

7.সুকুত্রা দ্বিপ (ইয়েমেন) ঃ আমার অনেক পুরাতন একটি জনপ্রিয় পোষ্টে সুকুত্রা দ্বীপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। এটা এমন একটি দ্বিপ যার বেশির ভাগ গাছপালা ও পশুপাখি এই দ্বীপ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায়না । প্রথমবার এই দ্বীপ সম্পর্কে যখন আমি জানতে পেরেছিলাম তখন আমিও বিস্ব্য় প্রকাশ করেছিলাম। যাইহোক এই দ্বীপ টি প্রায় ১২০ কিমি লম্বা। এই দ্বীপের গাছ গুলো এই দ্বীপকে পৃথিবির অন্য প্রান্ত থেকে পৃথক করে ফেলেছে। এইদ্বপে প্রায় ৭০০ প্রজাতির অদ্ভুত গাছপালা রয়েছে যাদের পৃথিবী অন্য কোথাও দেখা যায় না। এখাঙ্কার শুধু গাছপালাই নয় দ্বীপের ভৌগলিক পরিবেশও পৃথিবীর অন্য যে কোনো স্থান থেকে আলাদা। এইদ্বীপের অদ্ভুত গাছপালার মাঝে একটি হল ড্রাগন গাছ । এই গাছের ছালের মাঝে আঘাত করলে রক্তের মত রস বের হয়।

লোককথাঃ অনেকদিন আগে দেবতারা আরব সাগরের বুকে সুন্দর একটি দ্বীপ তৈরি করেছিলেন। তারা এই দ্বীপ টিকে তাদের পছন্দের সব সুন্দএ সুন্দর প্রানী ও গাছপালা দিয়ে সাজিয়েছিলেন। দেবতারা ত এম্নিতেই অনেক কাজে ব্যাস্ত থাকে তাই তারা তাদের প্রিয় দ্বীপ্টিকে রক্ষা করার জন্য একজন রাজা নীয়োগ করলেন। আর এই রাজার দায়িত্ব পেল লাল এক্টী ড্রাগন। ড্রাগনটি ছিল খুব নিষ্ঠুর , সে দ্বীপের সব পশু ও পাখীকে খেয়ে ফেলল। অনেকদিন পর দেবতারা যখন তাদের দ্বীপ ভ্রমন করতে আসল তখন ড্রাগন ছাড়া আর কাউকে জিবিত পেলনা। সেই সময় দেবতারা রাগে ও দুক্ষে ড্রাগনকে একটি গাছে রুপান্তররিত করে ফেলল। আজও সুকুত্রা দ্বীপের ড্রাগন গাছকে আঘাত করলে বেরিয়ে আসে লাল আঠা। আর তার সাথে সাথে একটি প্রবাদও সৃষ্টি হয় তা হল “শুটকীর নৌকায় পাহারার দায়িত্ব কখনো বিড়ালের হাতে অর্পণ করবে না”।
********* শেষ। ********

আমার এই গল্প পোষ্ট শেষ করতে করতে আপনাদের কমপক্ষে ৭ মিনিট লাগবে যদিও এটাকে তৈরি করতে আমার অনেকদিন লেগেছে। আমার এ পোষ্টের উদ্দেশ্য কি জানেন ? এই পোষ্টের মাধমে কিছুক্ষনের জন্যে হলেও আপনাদের ব্লগ ও ফেস বুকের কলুশিত পাতা পাতাগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করে নির্মল আনন্দ দিতে পেরেছি।

আরেকটি অনুরোধ-ফালতু ক্যাচাল বাদ দিয়ে বেশি বেশি তথ্যমুলক লিখা পোষ্ট করুন। আপনার দেওয়া একটি মাত্র তথ্যই সাইবার জগতে বাংলাভাষাকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
২৮টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×