somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেভাবে আমি একটা মেয়ের জালে ফেঁসে যাচ্ছি ..................

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়টা ২০১৩ সালের জুলাই মাস , ফেইসবুকে একটা ফ্রেন্ড রিকুইস্ট আসলো । নাম তাঞ্জিলা রহমান মিথিলা (রুপক নাম) ঢাকার একটা মহিলা কলেজে পরে । ছবিতে দেখতে ভালো লাগলো কিছু দিন চ্যাট করলাম । এরপর ফোনে কথা বলা । কিছু দিন পর দুজনের মধ্যে দুর্বলতা কাজ করলো একে অপরের প্রতি । সিদ্ধান্ত হলো ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ আমরা দেখা করবো টিএসসি তে , দেখার পর ভালবাসা হবে কি হবে না সিদ্ধান্ত । যেহেতু আগে থেকেই মেয়েটার প্রতি দুর্বলতা ছিলো তাই দেখা হওয়ার পর মেয়েটাকে তেমন ভালো না লাগলেও ( কিছুটা শর্ট ও শ্যাম বর্ণ) দূরে সরে আসিনি । তাকে জানালাম তোমাকে ভালবাসতে আমার সমস্যা নাই কিন্তু ভবিষ্যতে আমার পরিবার তোমাকে মেনে নিবে না । মেয়েটার উত্তর ছিলো পরিবার মেনে না নিলে দুজন আলাদা হয়ে যাবো যত কষ্ট হোক কিন্তু এখনকার সময়টা নিজেদের মত করে চলবো ।

মিথিলা তার পরিবারের দিক থেকে সুখি ছিলো না, নানা কারনে মানুষিক ভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলো । আমি তাকে নানা ভাবে সহযোগিতা করলাম । অনেক কাজে সঠিক দিক নির্দেশনা দিলাম । মিথিলাও আমাকে অনেক কিছুতে সহযোগিতা করলো । অনার্স ও মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস পেলো । মিথিলা তার জীবনটাকে অনেকটা গুছিয়ে নিতে পারলো । তবে এর মাঝেও আমি বহুবার চেষ্টা করেছি তার কাছ থেকে সরে আসতে । অনেক বার ব্রেক আপ করেছি কারন আমার পরিবার যেহেতু মেনে নিবে না সুতরাং কেন সম্পর্কটাকে গভীর করতেছি ! কিন্তু বার বার ফিরে এসেছি তার অনুরোধে । কখনো ফিরে এসেছি তার পরীক্ষা খারাপ হবে তাই অথবা অনেক অসুস্থ হয়ে পরেছে তাই । এভাবেই কেটে গেলো ৩ বছর ।

শেষ ২ বছর ধরেই মিথিলা নানা ভাবে চাপ দিচ্ছিলো লিভ টুগেদার করার জন্য । আমি নানা অজুহাতে সেটা পাস কাটিয়ে গেছি । কিন্তু দিন শেষে আমিও ত একটা ছেলে কত দিন পাস কাটিয়ে চলবো ! তাছাড়া তার প্রতি আমারও ত দুর্বলতা আছে । একদিন রিতিমত মরার ভয় দেখিয়ে বাধ্য করলো মিথিলার সাথে লিভ টুগেদার করার ।

আমি যে ফাঁদে পরেছি সেটা বুঝতে পারলাম লিভ টুগেদার করার কিছু দিন পর থেকে । মিথিলা ভুলে গেলো আগের সব কিছু । পরিবার রাজি না হলে আলাদা হয়ে যাবো .......... পরে যে যার মত বিয়ে করে ফেলবো এসব কোন কিছুই সে মনে করতে চায় না । তার একটাই কথা আমাকে ছাড়া অন্য কোথাও বিয়ে করা সম্ভব না । যদি বলি সব জানার পরেও জোর করে লিভ টুগেদার করলে কেন ? কবি সেখানে নিরব !!!!! গত রাতে অনেক গুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে মিথিলা এখন হসপিটালে ভর্তি ।

পরিবারের সাথে সম্পর্কের শিথিলতা কতটা খারাপ প্রভাব পরে একটা মেয়ের উপর সেটা মিথিলাকে না দেখলে বুঝা যায় না । মিথিলা আমার ভালোবাসা কোনভাবেই হারাতে চায় না কারন সে পরিবার থেকে তেমন ভালোবাসা পায় নি । সে অতটা সমাজবদ্ধ মানুষ না । আত্মহত্যা করে ফেলবো এটা তার মুখের বুলি । নিজের জীবনের প্রতি তার তেমন মায়া নাই । আমাকে বিয়ে করার জন্য সে যা করতেছে রীতিমত পাগলামি !! এ সব কিছুই পরিবার বিচ্ছিনতার কুফল ।

কিন্তু আমার দিকটা মিথিলার ঠিক বিপরীত !! ফ্যাশান ডিজাইন এ গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি , পরিবার থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি । আমার জীবনে পরিবারের অবদান বলে শেষ করা যাবে না এবং পিতা মাতার এক মাত্র ছেলে আমি । সবাই একসাথে বসে খাবার খাওয়া , বোনদের সাথে হাসি ঠাট্টা এক কথায় পুরোই পারিবারিক জীবন আমার । আমার পরিবার কোন ভাবেই তাকে মেনে নিচ্ছে না , আমিও পরিবারকে চাপ দিতে পারছি না । অন্য দিকে মিথিলা আমাকে ও আমার পরিবার কে ক্রমাগত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে যে কারনে মিথিলার প্রতিও আমার ভালোবাসার চেয়ে ক্ষোবের পরিমান দিন দিন বারছে ।

মিথিলা তার কথা থেকে সরে আসলেও আমি সরে আসি নি । আমি আগেই বলেছি আমি আমার পরিবারকে অনেক ভালোবাসি তাদের অমতে কিছুই করবো না । আমি আজ নানা মুখি চাপে বিপর্যস্ত ।
যদি কোন অভিজ্ঞ লোক এই লিখাটা পড়ে থাকেন তাহলে ভালো একটা suggestion দিবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
২৪টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×