এই জানো? আমি তোমায় নিয়ে দেখেছিলাম স্বপ্ন কিছু
ভেজা চুলের পানি ছিটিয়ে ঘুম দেব ভাংগিয়ে
প্রচন্ড শীতে নেব একটু উষ্ণতা শক্ত করে জড়িয়ে
কাচের চুড়িগুলো পরাবে তুমি পরম যত্মে
টিপটা জ্যামিতি কষে বসাবে কপালের ঠিক মাঝখানে
কত লোভী ছিলাম না আমি তোমার পিছু?
শোন না! আমি তোমায় নিয়ে দেখেছিলাম কিছু স্বপ্ন
টাই পরিয়ে দেবার সময় নিঃশাসে ভরে নেব তোমার নিঃশাস
ব্যস্ত শহরে তোমার সরল চোখে খুজব একটু শান্তির আশ্বাস
তোমার হাজারটা আল্লাদ,পাগলামিতে যাব আমি বখে
আমার সব সুখের বিনিময় হোক তোমার সব দুঃখে।
কি ভীষন স্বার্থপরতায় ছিলাম না আমি মগ্ন?
তাইতো আমায় ছেড়ে বড় সুখে আছো তুমি
হাজারটা মাস, সপ্তাহ, দিন জুড়ে দেখা আমার স্বপ্নগুলো!
ভাংলে তুমি এক মূহুর্তে?
হায়রে কাচের চুড়িগুলোর সাথে শব্দ করে ভাংল আমার স্বপ্ন
চোখের পানি গুলো ছড়িয়ে গেল শুভ্র মুক্তোর মতো
বুকের ভেতরে পাজর গুড়িয়ে দেওয়া,
আত্মার অস্তিত্ব কাপিয়ে দেওয়া মারাত্মক ব্যথা আমার!
ব্যাথা এতদিন সামলে রাখা চুড়িগুলোর জন্যে!
একি! অবাক হলে? অপমানিত? আশাহত?
তুমি ঠিকই শুনেছ কষ্ট চুড়িগুলোর জন্যে
তোমার জন্যে নয়; একরত্তিও নয়
চুরিগুলো আমার সুখ দুঃখে সাথী ছিল
পরম যত্মে ভাংগনের আগ পর্যন্ত আগলে রেখেছিল
লাল নীল চুড়িগুলো আমায়!
তুমি ভেবেছিলে কাচের চুড়ির সমতুল্য মনটা আমার
পুতুল ভেবেছিলে আমায়, ফুটপাতে বিক্রি হওয়া সস্তা পুতুল!
তাই আমার চোখের পানির কারন হবার হারিয়েছ অধিকার
হায়রে আমার ভাংগা চুড়িগুলোর বেদনা নীলচে আকাশ সমতুল
চোখের প্রতিটি পানি শুধুই তোদের জন্যে!
অতঃপর তার প্রস্থান
মূল্যহীন কাচের চুড়িগুলোর ভাংগন
তোদের আড়ালে নিলাম আমি প্রতিশোধ মহামূল্যবান ।।
আচ্ছা কবিতা শেষ বা যেটাই লিখেছি সেটা শেষ। জীবনে প্রথমবার শখের বশে এই জনরায় লিখলাম। লেখার মান দেখেই বুঝে যাওয়ার কথা যে প্রথমবার দুঃসাহস করেছি। কারনটা বলি?
আমার ব্লগীয় বইন রিপির কারনে। হ্যা বোন না বইন, রিপিই কথাটা শিখিয়েছে হাহা। ব্লগে শুধু তিনজন মানুষকে তুমি বলি তাদের অনুমতিতে। বইন আমার একজন। বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, ভাই বোন নেই। ভাইয়ের অতো শখ ছিলনা। খালি দুষ্টুমি করে জ্বালাত। কিন্তু একটা বোন খুব করে চাইতাম। তাই কেউ ভদ্রতা করেও বোন ডেকে ফেললে আকাশে উড়তে থাকি। আর আল্লাদ দিয়ে বইন বললেতো মাথার তার খুশিতে ছিড়ে যায়। তো একদিন বইনের ব্লগে বেড়াতে গেলাম, গিয়ে দেখি প্রচন্ড রোমান্টিক এক কবিতা লিখে রেখেছে। লোভী মনটা জেগে উঠল রোমান্টিক কিছু লেখার জন্যে। বইনের থেকে ইনস্পায়ারড হয়ে লিখেও ফেললাম। ওর মতো ভাল হয়নি বা বলা চলে জঘন্য হয়েছে কিন্তু লোভী মনকে তৃপ্ত করতে পেরে সুখী সুখী অনুভব করছি।
আমার ব্লগীয় বইন রিপিকে অনেক অনেক আদর, আল্লাদ আর ভালবাসা দিলাম। রাজকুমার সত্যিই স্বপ্নের রাজ্যে তোমাকে সারাজীবন অনেক সুখে রাখবে! You deserve to be happy. তয় বইন সালমান শাহ কিন্তু এখনো আমারই।
বইন এরকম কিছু বেশ আগে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল, দুই সপ্তাহ পাসওয়ার্ড সমস্যার কারনে ব্লগে ঢুকতে পারিনি বিধায় এখন দিচ্ছি। ভালো থেকো।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



