প্রিয়তমা,
কাগজ কলম হাতে ইদানিং বাংলা লেখার সুযোগটা কম হয় খুব। মন খারাপ হয়। আমি ছাত্র হিসেবে অসাধারণ গোত্রীয় কখনোই ছিলাম না , সঙ্গত কারণেই প্রথম সারিটা আমার প্রিয় তালিকায় ছিল না কোনও দিন। তবু , দিনশেষে ঝড়ে বক মরলে ফকিরের কেরামতি চলতো টাইপ কিছু ব্যাপার স্যাপার ছিল। আজকাল সেই ফাঁকিবাজির প্রবণতাটা আরো ভয়াবহ! পড়াশোনা ছাড়া পৃথিবীর যেকোনও বস্তু দেখতে ভালো লাগে! এমনকি সেটা লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে জ্বালানো অনেক দিনের পুরোনো মোমবাতিও!
টিএসসির ওদিকটায় যাওয়া হয়না অনেকদিন হলো , বেশ কয়েকটা বাচ্চা মেয়েকে দেখতাম বেলিফুলের মালা হাতে দৌড়ে আসতো , ওদের মধ্যে একটা বাচ্চাকে প্রায়ই দেখতাম,মালাগুলো নেড়ে চেড়ে রেখে দিতো। আমার খুব ইচ্ছে,জানো, ঐ মেয়েটার জন্য একদিন কয়েকটা মালা কিনে সাজাই ওকে,অচ্ছ্যুত হয়ে থাকা শৈশব একদিনের জন্য হাসতে শিখুক!
আচ্ছা , নক্ষত্র পতনের রাতগুলোতে তোমার কী খুব বিষণ্ণ লাগে? বারান্দার মানিপ্ল্যান্টে পাও খুঁজে , কুড়িয়ে পাওয়া সুখের মানে? নাকি ভোর হতে হতে টুপটাপ শিশিরের গল্প ঝরে পড়ে অন্য কোথাও!
আরো একটা অগোছালো রাত বাড়ছে .... বাতি নিভিয়ে ঘুমুতে যাও!
শুভ রাত