somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওল্ড হোম

১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওল্ড হোম ব্যবসা এখন বেশ জমজমাট। প্রায় প্রতি পাড়ায় দু একটা পাওয়া যাবে। হবে নাই বা কেন। বাবা মাকে কেউই এখন আর নিজের পরিবারে রাখতে চাইছে না। বৃদ্ধ আর অসুস্থ হলে তো কথাই নেই। ঘাড় থেকে কি ছুতায় নামাবে, সেই প্ল্যান কষতে থাকে। বুদ্ধিমান ব্যাবসায়ীরা ব্যাপারটা টের পেয়ে নেমেব গেছে টু পাইস কামাতে।
এসব ওল্ডহোমে রাখার খরচেরও রকম ফের আছে। বিশেষ করে শহর থেকে একটু দূরে হলে খরচ কম। আর শহরের কাছে হলে খরচ বেশি। সব নির্ভর করছে বাড়ীভাড়ার কস্ট আর টেক কেয়ার করার লোকজনের সহজলভ্যতার ওপর। এদিক দিয়ে গ্রাম এলাকাগুলো লাভজনক। বাড়িও সস্তায় পাওয়া যায় আর কাজের লোকের পেছনেও খরচ লাগে কম।
কোন কোন গ্রাম তো এখন ‘ওল্ডহোম' গ্রাম নামেই পরিচিত হচ্ছে। প্রথম দিকে বেশ এলাকা নিয়ে ছোট ছোট কিছু একচালা ঘর নিয়ে এসব শুরু হয়েছিল। খরচ কম পড়ত। এখন আর সেসবে হচ্ছে না। হাজারে হাজারে বৃদ্ধ। প্রতিদিন লাইন দিচ্ছে। ডিমান্ডের বহর দেখে রিয়েল এস্টেট ওয়ালারাও এখন এদিকে মনযোগ দিয়েছে।
ওরা দেখল, লাভ খারাপ না। এখন ওল্ডহোম বানাতে আগ্রহীরা পুরো বিল্ডিং কিনে ফেলছে। কিছু বুদ্ধিমান বৃদ্ধ আবার এসব এলাকায় নিজেই আগে থেকে রুম কিনে রাখছে। ইয়েস, ব্ল্যাট না, রুম। পুরোটা তো দরকার নেই। ফলে দেখা গেল আগে যেখানে একটা ফ্ল্যাট বিক্রি হত এখন সেখানে একটা করে রুম বিক্রি হচ্ছে।
বাঙ্গালীর বুদ্ধির যেহেতু অভাব নেই তাই কিছুদিনের মধ্যে দেখা গেল অনেকে মিলে হলরুম কিনছে। সস্তা হচ্ছে। অন্ততঃ রুম কেনার চেয়ে সস্তা। এছাড়া সঙ্গটাও পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, কোনটাই ফাকা থাকছে না। আগে থেকে বুকিং না দিলে এখন কিছুই পাওয়া যায় না। না রুম না হলরুম। আর ওল্ডহোম? সেটা সোনার হরিণের চেয়ে কম কিছু না।
হোমগুলোর আবার ভ্যারাইটি আছে। মেল, ফিমেল যেমন আলাদা পাওয়া যায়, তেমনি আবার পাওয়া যায় কনজুগালও। কনজুগালগুলো রিলেটিভলি কষ্টলী আর পাওয়াও কস্টকর। বৃদ্ধদের মধ্যে যারা স্বামী স্ত্রী দুজনই এখনও বেচে আছেন, তারা এটাই প্রেফার করছেন। এগুলো সিঙ্গেল রুম টাইপ তবে ওখানে এক রুমে মাত্র দুজন থাকবার ব্যাবস্থা।
কনজুগালগুলো শুনতে সুবিধার মনে হলেও, এগুলো বানানোর দিকে ব্যাবসায়ীদের ইন্টারেস্ট কম। এতো খরচ করে খুব কম অ্যাফর্ড করে খুব কম লোকই থাকতে পারে। কেবল যারা আগে থেকে ইনস্যুরেন্স করিয়ে রেখেছে, তারাই পারে থাকতে। আর তাই সিঙ্গেলগুলোই বেশী ভালো চলছে। আরেক রকম বেরিয়েছে, সেমি কনজুগাল, পাশাপাশি দুটো ওল্ড হোম, মেল আর ফিমেল। এমন দুটোতে দুজন থাকতে পারলে কনজুগ্যালের মত না হলেও কাজ চলে যায়। সারাদিন দেখা সাক্ষাত হয়, একজন আরেকজনের খবর রাখতে পারে, এই আর কি।
অবস্থা এখন এমন দাড়িয়েছে যে আগে থেকে প্ল্যান না করে রাখলে পরে সমস্যায় পড়তে হয়। টেলিফোন, দালাল, এমপি মন্ত্রীর সুপারিশ দিয়েও আজকাল অনেক সময় কাজ হয় না। ফলে যথারীতি শুরু হয়েছে ওয়েটিং লিস্ট সিস্টেম। ভাল ভাল গুলোর অনেকগুলোতে তাই এখন নাম লিখিয়ে রাখতে হয়। কোথাও কেউ মারা গেলে ওরাই ফোন করে।
এতোসব বলছি কারণ এই মুহুর্তে আমি ভয়ানক সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। বাবার সময় এমনটা হয়নি। উনার জন্য যখন ওল্ড হোম খুজতে বেরোই, তখন ওল্ডহোমের এমন ক্রাইসিস ছিল না আর তাই একটা সিঙ্গেল রুম পেতে বেগ পেতে হয় নি।
সমস্যাটা একটু খুলে বলি। বৃদ্ধ বাবা মাকে নিয়ে কমবেশি ঝামেলা সব সংসারেই থাকে। এটা নতুন কিছু না। আগেও ছিল। তবে ইদানিং বেশ কিছু বিচ্ছিরী ঘটনা ঘটতে শুরু করে। কেউ কেউ দুরের এক স্টেশানে রেখে পালিয়ে আসছে, কেউ লঞ্চে চড়িয়ে দিয়ে পালাচ্ছে। ওরাই বা কি করবে। এই বৃদ্ধগুলো এখন বর্ণনাতী রকমের অসহনীয় হয়ে উঠেছেন। যেসব সংসারে এমন বৃদ্ধ আছেন, সেখানেই অশান্তি। সকাল বিকেল দাম্পত্য কলহ লেগেই আছে।
তারা কমবেশি সব পরিবারে এমন এক বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছিল যে সরকার একটা আইন করতে বাধ্য হয়। অন্ততঃ ৭০ পর্যন্ত সবাইকেই বাবামাকে নিজের কাছে রাখতে হবে। আর ওল্ডহোমের জন্যও নিয়ম চালু হয়, ৭০ এর আগে ওল্ডহোমে এন্ট্রি নেয়া যাবে না।
বাবার যখন ৭০ হয়, সে সময় ওল্ডহোমে এতো রাশ ছিল না। আইন অনুযায়ী ৭০ এর আগে আলাদা থাকতে চাওয়া দম্পতিদের বাসা ভাড়া করে থাকতে হবে। আর তা পে করতে হবে সন্তানদের। তাতে খরচ অনেক বেশী। তাঁর ওপর কাজের লোক রাখা, খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা, বিশাল ঝক্কি। তাই ৭০ পর্যন্ত কমবেশি সবাইই দাতে দাত চেপে নিজের কাছেই রাখত। আসল কথা হচ্ছে আসলে রাখতে বাধ্য হত।
বাইরে বের করে দিলে আর সরকার খবর পেলে সোজা জেল। সমাজে নীচু হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাও ছিল। তবে ৭০রের পরে ওল্ড হোমে দেয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যাপার ছিল না। বরং ওল্ডহোমে দেয়াটা তখন হয়ে উঠত স্ট্যাটাস সিম্বল। বাবা মার আলোচনা উঠলে ‘ওই ওল্ড হোমটা কিন্তু বেশ। আমার বাবাকে রেখেছি। খুব ভালো ব্যবস্থা। শীতকালের জন্য গরম পানির ব্যবস্থা আছে। খরচ একটু বেশী বাট বাবা মার জন্য এতটুকুও করবো না?’
এনিওয়ে, বাবাকে আগেই দিয়েছি। উনার বয়স এখন ৮০। বছর দশেক হল আছেন ওল্ডহোমে। প্রথমটায় মন খারাপ করতেন। কান্নাকাটি, অনুরোধ ‘আমি তো কোন সমস্যা করি না’। কয়েকবার আমার ছেলেকে ব্যবহারের চেষ্টাও করেছিলেন ‘ও তো আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না’। ইমশানাল অ্যাঙ্গেল দেয়ার চেস্টাও ছিল, ‘বাসার কোণায় পরে থাকব’ টাইপ কথাবার্তা আর কি। এখন আর করেন না। ওখানে কিছু বন্ধু বান্ধব জুটেছে। আড্ডা দিয়ে সময় কেটে যাচ্ছে। মাসে একদিনের জন্য নিয়ে আসি। তখন মায়ের সঙ্গে রাজ্যের গল্প করেন। ফেরত যাওয়ার সময় শুধু একটু মন খারাপ করেন।
মার আগামীকাল ৭০ হবে। আমার পূর্ণ মুক্তির দিন। এখন ওল্ডহোমে যেতে আর কোন বাঁধা নেই। যে কয়টাতে নাম লিখিয়ে এসেছিলাম তাঁর দুটো থেকে ফোন এসেছিল। কয়দিন আগে মাকে নিয়ে দুটো থেকেই ঘুরে এসেছি। কোনটাই মার পছন্দ হয় নি। এটা খারাপ, সেটা পচা। বিভিন্ন বাহানায় এড়াতে চাইছে।
উনি যে যেতে চান না, এমনটা না। আসল উনার ইচ্ছা কনজুগালে থাকা। বাবার সঙ্গে একসাথে, আফটার অল দশ বছর ধরে আলাদা আছে। কিন্তু সেটাতো সম্ভব না, অতো টাকা আমার নেই। অনেকভাবে বোঝানো হয়েছে। বাবাও বুঝিয়েছেন। ‘থাকতে শুরু কর, পরে দেখবা আর খারাপ লাগছে না’।
না, এতোটা অকৃতজ্ঞ ছেলে আমি না। সেমি কনজুগাল যে আমি ট্রাই করিনি, তা নয়। যদিও আমার কষ্ট হতো খরচ যোগাতে, তারপরও আমি চেষ্টা করেছি। যতগুলো সেমি কনজুগাল ওল্ড হোম ছিল সব গুলোতে নাম লিখিয়ে এসেছি। একই সঙ্গে দুইজন মারা যাওয়া তো এতো সহজে ঘটে না। আবার একজন মারা যাওয়ার পরে যে বুকিং দিবো, কিছুদিনের মধ্যে যদি আরেকটাতে আরেকজন না মরে? বুকিং এর টাকাটা নষ্ট যাবে।
বাবা মাকে নিয়ে একদিন বসেছিলাম। বাবাকে সেমি কনজুগাল এ শিফট করতে চেয়েছিলাম। পরে যদি পাশের ফিমেলটায় কেউ মারা যায় তখন বুকিং দিয়ে রাখা যাবে। বাবা রাজী হননি। উনাকেও দোষ দেয়া যায় না। একটা ফ্রেন্ড সার্কেল তৈরি হয়ে গেছে। উনি নড়তে চাচ্ছেন না।
যে দুটো থেকে ফোন এসেছে সে দুটোর কোনটাই হাতছাড়া করিনি। কোনটা মার পছন্দ হয় এই ভেবে গত ২ মাস থেকে ফুল চার্জের টাকা দিচ্ছি। মাকে আগে জানাইনি।ভেবেছিলাম একেবারে বাক্সপ্যাটরা নিয়ে যাব। এখন ওখানকার কোন একটাতে না উঠলে টাকাটা নষ্ট যাবে। তাঁর চেয়েও বড় কথা, আবার কখন ফাঁকা পাবো তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই।
এদিকে নতুন কিছু নিয়ম চালু হয়েছে। ইউথানাশিয়া বা পেইনলেস ডেথ এখন আইনগতভাবে বৈধ, তবে জটিল রোগ থাকতে হবে। একটা ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা ছাড় আছে। সেটা হচ্ছে ৭০ এর ওপর কেউ চাইলে নিতে পারে। বিশেষ করে যাদের ছেলেমেয়েরা বাবা মাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় কিংবা ওল্ড হোমে রাখার ক্ষমতা রাখে না তাঁরা চাইলে আপ্লাই করতে পারেন। একটা ফর্ম এ সই করতে হয়, কনসেন্ট দেয়া, ‘আমি স্বেচ্ছায় মৃত্যু চাই’ । ইঞ্জেকশান দেয়ার ঘণ্টা দুএক পরে মৃত্যু হয়।
এরকম একটা সেন্টারে আমার বন্ধু কাজ করে। ওর সঙ্গে কথা বললাম আমার সমস্যা নিয়ে। — মাকে নিয়ে যে কি করবো, বুঝে পাচ্ছি না।
সব শুনে ও হেসে ফেলল। বললাম
— হাসছিস যে?
— তুই কি ভুলে গেছিস, যে বাংলাদেশে থাকিস।
অবাক হয়ে জানতে চাইলাম
— মানে?
— চিন্তা করিস না, ব্যবস্থা করে দিব। শুধু এই ফর্মে সই নিয়ে রাখবি।
সেই প্ল্যান মোতাবেক, ফর্মে সই নিয়ে রেখেছি। মাকে সত্যটা বলিনি। বলেছি, ওল্ড হোমে আপ্লাই করার ফর্ম। এরপরে? না, যতটা হৃদয়হীন ভাবছেন, এতোটা আমি না। মনের ভেতর ঝড় চলছে। আর কিছুদিন কি অপেক্ষা করব? যদি সেমি কনজুগ্যাল কোনটা পাওয়া যায়। এমন অপেক্ষা আমি গত ছয়মাস ধরেই চলছে। আই মিন, ইউথ্যানাসিয়ার অফারটা আমি পাই ছমাস আগেই। এতোদিন ফর্মে সই নিইনি। গতকাল যে নিয়েছি, ইচ্ছের বিরুদ্ধেই নিয়েছি। আর এখন? এখনও বিবেক ছটফট করছে। ওখানে নিয়ে যেতে মন চাইছে না।
কিন্তু উপায় ও তো নেই। মা যেভাবে অবুঝের মত নিজের জেদে আটকে আছে, তাতে আমার হাতে আর কোন অপশানই উনি রাখেননি। কনজুগালে রাখবার মত এতো টাকা আমি কোথায় পাব? বেতন, ঘুষ সব মিলিয়ে যা পাই তাতে নিজের সংসার চালিয়ে অল্প কিছু হাতে থাকে। তাঁর ওপর আবার টানতে হচ্ছে বাবার ওল্ডহোমের খরচ।
শুধু কি তাই। আমার সন্তানরা কি করবে সেই ভরসায় না থেকে আমাদের দুজনের ওল্ড হোমের জন্যও ইনুরেন্স নিয়েছি, তার প্রিমিয়াম দিতে হচ্ছে। ফলে এই মুহুর্তে আমার নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়।
মাকে অনেক রকম করে বুঝালাম। ‘আপাতত যাও। সেমি কনজুগাল কোনটা পেলে তখন দুজনকেই শিফট করব। ব্যাপারটায় দুজনেরই মত জরুরী। বাবা অবশেষে কিছুটা নিমরাজি হয়েছেন। উনার নিজের ওল্ড হোম ছাড়তে। কিন্তু মা অনড়। কিছুক্ষণ আগে শেষবারের মত বুঝালাম। রাজী না। উনি হয়ত ভাবছেন, রাজী না হলে আমার এখানেই থাকতে পারবেন। তা তো সম্ভব না। অনেকদিন তো দেখলাম, আর কত? আমার নিজেরও তো একটা জীবন আছে। চাওয়া পাওয়া আছে।
একটু আগেই বন্ধুটিকে ফোন করেছিলাম। ‘আমরা আসছি’। আর মাকে বলেছি, তোমার যে কালকে জ্বর জ্বর বলছিলা? চল, ডাক্তার দেখিয়ে আনি। মা ও তৈরি। এখনই বেরবো। ভালোয় ভালোয় সব শেষ করতে পারলে বাঁচি।

শেষ
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×