somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জগন্নাথ-নামা

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


“জগন্নাথের রথের চাকা গড়গড়িয়ে এগিয়ে চলে, কখনো বালির গাদায় বসে যায়। বসে যাওয়া রথের রশিতে টান দিতে এগিয়ে আসে লক্ষ মানুষের হাত। শ্রেণিহীন নির্বিচার। মানুষের হাতে জগন্নাথের মুক্তি। রূপকের রূপে দেবতার রূপ।“ -- আশাপূর্ণা দেবী।

এতো গেল ঠুঁটো জগন্নাথের কথা। আজ সত্যিকারের জগন্নাথের কথা শোনা যাক। আজকে শুধুই এর জন্মের ইতিহাসটুকু।


রাজা রামমোহন রায়

ব্রাহ্মসমাজ বা ব্রাহ্মসভা ১৯ শতকে স্থাপিত এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন যা বাংলার পূনর্জাগরণের পুরোধা হিসেবে পরিচিত।কলকাতায় আগস্ট ২০, ১৮২৮ সালে হিন্দুধর্ম সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩) ও তার বন্ধুবর্গ মিলে এক সার্বজনীন উপাসনার মাধ্যমে ব্রাহ্মসমাজ শুরু করেন। তাঁদের উপাস্য ছিল "নিরাকার ব্রহ্ম", তাই থেকেই নিজেদের ধর্মের নাম রাখেন ব্রাহ্ম।


দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮৩৩ সালে ইংল্যান্ডে রামমোহন রায় মারা যাওয়ার পর ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনটি বাধার সম্মুখীন হয়। রামমোহনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী দ্বারকানাথ ঠাকুরের (১৭৯৪-১৮৪৬) পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭-১৯০৫) কাজটি হাতে নেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনটি নতুন মাত্রা ও বৈশিষ্ট্য পরিগ্রহ করে।


কেশবচন্দ্র সেন

কেশবচন্দ্র সেনের (১৮৩৮-১৮৮৪) প্রগতিশীল নেতৃত্বে আন্দোলনটি আরও ব্যাপক ভিত্তি লাভ করে। তিনি ১৮৫৭ সালে ব্রাহ্ম সমাজে যোগদান করেন এবং এক বছরের মধ্যে দেবেন্দ্রনাথের ডান হাতে পরিণত হন। কিন্তু প্রধানত বর্ণপ্রথা পালন ও সামাজিক সংস্কারসমূহকে কেন্দ্র করে তাঁদের দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। যেখানে দেবেন্দ্রনাথের পদ্ধতি ছিল কিছুটা রক্ষণশীল, সেখানে কেশবচন্দ্র সেন জাতিভেদ প্রথা পুরোপুরি বিলোপ করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং সমাজ সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে যান, বিশেষত স্ত্রীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে।


ঢাকা ব্রাহ্ম সমাজ

কলকাতার এই ব্রাহ্ম সমাজের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে ঢাকাতেও। নতুন এই মতাদর্শে আকৃষ্ট হয়ে ঢাকার অনেক যুবক এই মতে দীক্ষিত হন। তারা সমাজ সংস্কারের ব্যাপারে খুবই উৎসাহী ছিলেন। আর সমাজ সংস্কারের প্রথম ধাপ হচ্ছে শিক্ষা। ব্রাহ্ম সমাজের নেতৃবৃন্দ একটি স্কুলের খুবই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। মূলত তারা এমন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছিলেন যেটা থাকবে সকল ধর্ম ও বর্ণের ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত। শিক্ষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে সেখানে শিক্ষা প্রদান করা হবে বাংলা মাধ্যম। যার ফলশ্রুতিতে ১৮৫৮ সালে গড়ে ওঠে ব্রাহ্ম স্কুল। উল্লেখ্য বর্তমানে বাংলাদেশের আরেকটি উজ্জ্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইডেন কলেজর প্রতিষ্ঠাতাও এই ব্রাহ্ম সমাজ।


ইডেন কলেজ

কিন্তু ওই শতকেরই সত্তর দশকে স্কুলটি অর্থ সঙ্কটে পড়ে। ফলে স্কুলটি টিকিয়ে রাখার উদ্দ্যেশ্যে ১৮৭২ সালে ব্রাহ্ম স্কুলের ভার তুলে দেয়া হয়েছিলো মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরীর হাতে। তিনি স্কুলের নাম বদলে, পিতার নামে রেখেছিলেন স্কুলের নাম—জগন্নাথ স্কুল।


বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী


ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, পোগজ স্কুলের অনেক পরে স্থাপিত হয়েও জগন্নাথ স্কুল সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছিলো স্কুলের তৎকালীন হেডমাস্টার গোপীমোহন বসাকের জন্য। যেহেতু স্কুলের আয় যশ এবং খ্যাতি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছিলো তাই স্বাভাবিক ভাবেই গোপীমোহন বসাক জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরীর কাছে আরো কিছু দাবী করে বসেন। কিন্তু জমিদারের উপদেষ্টারা আবার গোপীমোহন বসাককে পছন্দ করতো না। ফলে জমিদার ও স্কুলের মালিক কিশোরীলাল রায় চৌধুরীর সাথে স্কুলের হেডমাস্টার গোপীমোহন বসাকের বিরোধ দেখা দিলো এবং এক সকালে কর্মচ্যুত হলেন গোপীমোহন। গোপীমোহন বসাক যেন ক্ষতিপূরণ দাবী করতে না পারেন এজন্য রাতারাতি স্কুলের নাম বদলে রাখা হলো কিশোরীলাল জুবিলী হাই স্কুল, সাল ১৮৮৭।


কিশোরীলাল জুবিলী হাই স্কুল

তবে এর আগেই জগন্নাথ স্কুল হিসাবে এটি যখন তুঙ্গে ছিলো, বছরে ১ হাজার টাকা লাভ এবং ফলাফলের দিক দিয়েও এটি প্রথম স্থানে থাকতো তখন জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরীর বন্ধু তাকে প্ররোচিত করেছিলো এর সাথে একটি কলেজ খুলতে। কিশোরীলালও খুব আগ্রহী ছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে ১৮৮৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজ হিসাবে যাত্রা শুরু করেছিলো জগন্নাথ কলেজ। জগন্নাথ স্কুল এবং জগন্নাথ কলেজ তখন একই জায়গাতে একই কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হতো। কিন্তু ১৮৮৭ সালে জগন্নাথ স্কুল বিলুপ্ত হয়ে কিশোরীলাল জুবিলী হাই স্কুল নামে নূতন জায়গাতে নূতন ভাবে পথ চলা শুরু করলো। আর স্কুলের সকল জমিজমা জগন্নাথ কলেজের অন্তর্ভুক্ত হলো।


জগন্নাথ কলেজ।

১৯০৮ সালে জগন্নাথ কলেজের ট্রাস্ট্রিবৃন্দ ও সেক্রেটারি অফ স্টেটের মধ্যে এক দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে কলেজের ব্যাবস্থাপনার পরিবরতন ঘটলো। কলেজটি রূপান্তরিত হলো প্রথম শ্রেণীর কলেজে।এসময় এটিই ছিল পূর্ববঙ্গের উচ্চ শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । সরকারী অনুদানের টাকায় নূতন ভবন উঠলো। ১৯১০ সালে টাঙ্গাইলের সন্তোষের জমিদার রাজা মন্মথ রায় চৌধুরী কলেজ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে টাঙ্গাইলস্থ প্রমথ-মন্মথ কলেজটিকে জগন্নাথ কলেজের সঙ্গে যুক্ত করেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা শুরু হলে জগন্নাথ কলেজের স্নাতক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির শিক্ষার্থী , শিক্ষক , গ্রন্থাগারের বই পুস্তক , জার্নাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয় । । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সাজাতে জগন্নাথ কলেজ গ্রন্থাগারের ৫০ ভাগ বই দান করা হয়। জগন্নাথ কলেজে আই,এ, আই,এসসি, বি,এ (পাস) শ্রেণী ছাড়াও ইংরেজি, দর্শন ও সংস্কৃতি অনার্স এবং ইংরেজিতে মাস্টার্স চালু করা হলেও ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ইন্টারমিডিয়েট কলেজে অবনমিত করা হয় জগন্নাথকে। পরে ১৯৪৯ সালে আবার এ কলেজে স্নাতক পাঠ্যক্রম শুরু হয়।

পুরানো ঢাকার নারী শিক্ষায় বাধা দূর করতে ১৯৪২ সালে সহশিক্ষা চালু করা হয়। ১৯৪৮ সালে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৬৩ সালে পুনরায় কো-এডুকেশন চালু করা হয়।

১৯৬৮ সালের ১ আগস্ট পাকিস্তান সামরিক জান্তা সরকার এই কলেজের ছাত্র-শিক্ষককে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারি কলেজে রূপান্তরিত করে। শিক্ষকরা হয়ে পড়েন সরকারের কর্মচারী। ঘোষণা দেওয়া হয় প্রত্যেক শিক্ষকদের পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দেখাতে হবে সরকারি অভিজাত কলেজে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা আছে কি না। শিক্ষকদের বেতনও কমে যায় অনেকাংশে। সরকারি বেতন স্কেলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। যদিও সেই সময় জগন্নাথ কলেজের শিক্ষকদের বেতন ছিল অনেক বেশি। তাদের চাকরিকাল গণনা করা হয় অর্ধেক। সব মিলিয়ে জগন্নাথের শিক্ষকদের ওপর ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। অপমানে, লজ্জায় অনেকে চাকরি ছেড়ে দেন। সরকারবিরোধী অধিকাংশ শিক্ষককে বদলি করা হয় গ্রামে-গঞ্জে ।

যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রবলভাবে পাকিস্তান স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতো এজন্য তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এখানকার ছাত্র রাজনীতিকে বন্ধ করার জন্য জগন্নাথ কলেজকে কেবল বিজ্ঞান কলেজে রূপান্তর করা হয়। এর মানবিক ও বাণিজ্য শাখাকে স্থানান্তরিত করার জন্য ১২ মাইল দূরে মহাখালীতে প্রতিষ্ঠা করা হয় জিন্নাহ কলেজ যা বর্তমানে তিতুমীর কলেজ। তবে তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী সামরিক শাসক এক বছরের মাথায় জগন্নাথকে বিজ্ঞান কলেজ থেকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। আর জিন্নাহ কলেজ জগন্নাথ থেকে পৃথক হয়ে আলাদাভাবে পরিচালিত হওয়া শুরু করে।


পূর্ব জিন্নাহ বর্তমানে তিতুমীর কলেজ

১৯৯৫ সালের ১২ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সরকারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নতুন যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৮ম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিল ২০০৫ সংসদে উত্থাপিত হয়। ২০ অক্টোবর একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দেড় শতকের প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হচ্ছে তখন এর আইনে ২৭(৪) এ একটি ধারা সংযোজন করেন। ২৭(৪) ধারায় বলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরুর পরবর্তী ৫ বছর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ সরকার বহন করবে। পরবর্তীতে নিজস্ব আয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে চলতে হবে। পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করে ২৭(৪) ধারা বাতিল করতে। জগন্নাথের ছাত্রদের এই আন্দোলনের ফলে একই সাথে আরো দুটি নবলব্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ২৭(৪) ধারার কালা আইন থেকে মুক্ত হয়।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

২০০৬ সালে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিরাজূল ইসলাম খান। এর পর ভিসি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে ২০১৬ সালে উপাচার্যের দায়িত্বে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

সর্বশেষ ২০১৫ সালে পোগজ স্কুলকে জগন্নাথ বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।


পোগজ স্কুল
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×