ক’দিন ধরে ভাবছি মহান ছাগু সম্প্রদায়ের মনস্তত্ত্ব নিয়ে। ভাবতে ভাবতে মনে হলো, তাদের দীর্ঘ মেয়াদে রেখে গবেষণার জন্য একটা গোয়াল ঘর থাকলে মন্দ হতো না।
দুয়েকটা উদাহরণ দিলেই কথাটা তর্কসাপেক্ষে প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক হবে আশা করি। লেখা না পড়েই ছাগু দেবদের গালাগালি বর্ষণ, ভগবানের শিরোধার্য ধরে নিয়েই সামনে এগুচ্ছি। মাওলা রহম কর।
একটা লম্বা সময় ধরে জান্নাতবাসী ছাগুরা শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসকে সুদখোর, ঈমান নষ্টকারী ইত্যাদি বলে গালাগাল করে আসছিল। এখন যেমন তারা করে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে নিয়ে (আগেও করত)। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো নির্বিবাদী মানুষও ছাগুদের চোখের বিষ। যাইহোক ইউনূস প্রসঙ্গে ফিরি। জীবনের চলতি পথে বেচারা ইউনূসের লেগে গেল চেতনার ভ্যাটিকান বর্তমান সরকারের সাথে। ওমনি লাফিয়ে উঠল মর্দে মুজাহিদ ছাগু বাহিনী। পারেন না তারা ইউনূসকে নিয়ে হনুমান পূজা শুরু করে দেন। সুদখোর ইউনূস রাতারাতি হয়ে গেল তাদের ধর্ম ভাই আর তার পক্ষে কলম ধরাটা হয়ে দাঁড়াল ঈমানি দায়িত্ব। ছাগুদের এই বৈপরিত্য আমাকে খুব একটা অবাক করে না। তবে পরজীবীদের জীবন কেমন হতে পারে তা নিয়ে উৎসাহ তৈরি করে, যারা সবসময় পরিচয়হীনতার সংকটে ভোগে।
ছাগুরা প্রায় সময়ই নানা ইন্টারেস্টিং কাজ করে থাকেন। যেমন ধরেন, সপ্তাহ তিনেক ধরে অভিনেতা জাহিদ হাসান ছাগু সম্প্রদায়ের বিশেষ প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছেন। কারণ কিছুই না। তিনি খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে একটি টকশোতে গিয়ে উপস্থাপকের করা প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, দাড়ি রেখে দেখিনা কেমন লাগে। এখন তার দাড়ি ছাড়া একটা ছবি আর দাড়ি সমেত আরেকটি ছবি দিয়ে চলছে, মাশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ’র প্রচারণা। সাথেও দোয়াও, দ্বীনের পথে জাহিদ ভাইকে আল্লাহ কবুল কর। যেই জাহিদ হাসান দু’দিন আগেও ছিলেন ন্যাংটা অভিনেতা, জাহান্নামী, এখন তিনি রাতারাতি হয়ে গেছেন ছাগু সম্প্রদায়ের ভাই। যার কোন অঙ্গে চুলকানি হলে ছাগুরাও সমানতালে নিজেদের অঙ্গে সে চুলকানি টের পায়।
বছর কয়েক আগে বোধহয়। ছাগুদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেল শিল্পী আরেফিন রুমি। রুমি ভাইয়ের হিজাবওয়ালী বউয়ের জন্য কয়টা লাইক হবে ফ্রান্স মর্মে প্রচারণাও চলল। বছর না ঘুরতেই আরেকখান শাদি করল রুমী। দুই বউয়ের সাথে এক ঈমানদার জামাইয়ের মহামিলন। ছাগুদের উৎসাহ আরও বাড়ল। ক’দিন পর তাদের বইনের করা মামলায় প্রিয় ভাই গেল শ্রী ঘরে। তার পরেরটা ইতিহাসের জন্য থাক।
সাম্প্রতিককালে ছাগুদের সাঁড়াশি আক্রমণে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান (ভালোলাগার মতো তার কোন অভিনয় আমি এখনো দেখিনি)। ধর্মের সেবা করতে গিয়ে এমন কোন হেন নেই জয়াকে নিয়ে বলছেন না মুমিন মুসলমানেরা। কেউ তারে বাজারের মেয়ে বানাচ্ছে, কেউ নিজেই বাজারের মেয়ের সাথে পরের কাজটা সারছে। আরও আগে পর্নোস্টার মিয়া খলিফার একটা হিজাবি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ছাগুরা মাশাল্লাহ বলে ঝাপিয়ে পড়েছিল (অবশ্য ভুল ভাংতে বেশি সময় লাগেনি)। জনপ্রিয় শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ'র কিছু কথাও তারা নানা ফ্রেমে বন্দী করে প্রচারণা চালাচ্ছে সম্প্রতি, সাথে এই গুণী শিল্পীর কিছু হিজাব পরিহীত ছবিও।
কথা হচ্ছে, জয়াও কিন্তু একটা হিজাবি ছবি ফেবুতে পোস্টাইলে রাতারাতি পতিতা পল্লীর মেয়ে থেকে ছাগু সমাজের বইনে পরিণত হবেন। এখানে এসে আমার কৌতূহল, অনলাইন জুড়ে দেখি পান থেকে চুন খসলেই মাননীয় ছাগুসমাজ একজনকে বইন (আপা) বানাই ফেলতেছেন। কাউকে বউ বানাতে মন চায় না তাদের? নাকি সেটা গোপন। তাদের পূর্বসূরীদের দিকে তাকালে অন্তত এটাতো স্বীকার করতে হবে পারিবারিক জীবনকে তারা স্রষ্টার দেওয়া নেয়ামত হিসেবেই নেয় এবং সদা সক্রিয় থাকে। অ্যাকটিভ বলেই একেকজনের প্রোডাকশন অন্তত হালিখানেক মাশাল্লাহ।
নোট: কে হবে ছাগুদের আগামির ভাই বা বোন তা দেখার অপেক্ষায় আছি। কৌন বনেগা!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৭