somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাগুদেব-ছাগুনামা-ছাগুচু

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক’দিন ধরে ভাবছি মহান ছাগু সম্প্রদায়ের মনস্তত্ত্ব নিয়ে। ভাবতে ভাবতে মনে হলো, তাদের দীর্ঘ মেয়াদে রেখে গবেষণার জন্য একটা গোয়াল ঘর থাকলে মন্দ হতো না।



দুয়েকটা উদাহরণ দিলেই কথাটা তর্কসাপেক্ষে প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক হবে আশা করি। লেখা না পড়েই ছাগু দেবদের গালাগালি বর্ষণ, ভগবানের শিরোধার্য ধরে নিয়েই সামনে এগুচ্ছি। মাওলা রহম কর।

একটা লম্বা সময় ধরে জান্নাতবাসী ছাগুরা শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসকে সুদখোর, ঈমান নষ্টকারী ইত্যাদি বলে গালাগাল করে আসছিল। এখন যেমন তারা করে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে নিয়ে (আগেও করত)। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো নির্বিবাদী মানুষও ছাগুদের চোখের বিষ। যাইহোক ইউনূস প্রসঙ্গে ফিরি। জীবনের চলতি পথে বেচারা ইউনূসের লেগে গেল চেতনার ভ্যাটিকান বর্তমান সরকারের সাথে। ওমনি লাফিয়ে উঠল মর্দে মুজাহিদ ছাগু বাহিনী। পারেন না তারা ইউনূসকে নিয়ে হনুমান পূজা শুরু করে দেন। সুদখোর ইউনূস রাতারাতি হয়ে গেল তাদের ধর্ম ভাই আর তার পক্ষে কলম ধরাটা হয়ে দাঁড়াল ঈমানি দায়িত্ব। ছাগুদের এই বৈপরিত্য আমাকে খুব একটা অবাক করে না। তবে পরজীবীদের জীবন কেমন হতে পারে তা নিয়ে উৎসাহ তৈরি করে, যারা সবসময় পরিচয়হীনতার সংকটে ভোগে।



ছাগুরা প্রায় সময়ই নানা ইন্টারেস্টিং কাজ করে থাকেন। যেমন ধরেন, সপ্তাহ তিনেক ধরে অভিনেতা জাহিদ হাসান ছাগু সম্প্রদায়ের বিশেষ প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছেন। কারণ কিছুই না। তিনি খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে একটি টকশোতে গিয়ে উপস্থাপকের করা প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, দাড়ি রেখে দেখিনা কেমন লাগে। এখন তার দাড়ি ছাড়া একটা ছবি আর দাড়ি সমেত আরেকটি ছবি দিয়ে চলছে, মাশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ’র প্রচারণা। সাথেও দোয়াও, দ্বীনের পথে জাহিদ ভাইকে আল্লাহ কবুল কর। যেই জাহিদ হাসান দু’দিন আগেও ছিলেন ন্যাংটা অভিনেতা, জাহান্নামী, এখন তিনি রাতারাতি হয়ে গেছেন ছাগু সম্প্রদায়ের ভাই। যার কোন অঙ্গে চুলকানি হলে ছাগুরাও সমানতালে নিজেদের অঙ্গে সে চুলকানি টের পায়।

বছর কয়েক আগে বোধহয়। ছাগুদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেল শিল্পী আরেফিন রুমি। রুমি ভাইয়ের হিজাবওয়ালী বউয়ের জন্য কয়টা লাইক হবে ফ্রান্স মর্মে প্রচারণাও চলল। বছর না ঘুরতেই আরেকখান শাদি করল রুমী। দুই বউয়ের সাথে এক ঈমানদার জামাইয়ের মহামিলন। ছাগুদের উৎসাহ আরও বাড়ল। ক’দিন পর তাদের বইনের করা মামলায় প্রিয় ভাই গেল শ্রী ঘরে। তার পরেরটা ইতিহাসের জন্য থাক।



সাম্প্রতিককালে ছাগুদের সাঁড়াশি আক্রমণে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান (ভালোলাগার মতো তার কোন অভিনয় আমি এখনো দেখিনি)। ধর্মের সেবা করতে গিয়ে এমন কোন হেন নেই জয়াকে নিয়ে বলছেন না মুমিন মুসলমানেরা। কেউ তারে বাজারের মেয়ে বানাচ্ছে, কেউ নিজেই বাজারের মেয়ের সাথে পরের কাজটা সারছে। আরও আগে পর্নোস্টার মিয়া খলিফার একটা হিজাবি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ছাগুরা মাশাল্লাহ বলে ঝাপিয়ে পড়েছিল (অবশ্য ভুল ভাংতে বেশি সময় লাগেনি)। জনপ্রিয় শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ'র কিছু কথাও তারা নানা ফ্রেমে বন্দী করে প্রচারণা চালাচ্ছে সম্প্রতি, সাথে এই গুণী শিল্পীর কিছু হিজাব পরিহীত ছবিও।
কথা হচ্ছে, জয়াও কিন্তু একটা হিজাবি ছবি ফেবুতে পোস্টাইলে রাতারাতি পতিতা পল্লীর মেয়ে থেকে ছাগু সমাজের বইনে পরিণত হবেন। এখানে এসে আমার কৌতূহল, অনলাইন জুড়ে দেখি পান থেকে চুন খসলেই মাননীয় ছাগুসমাজ একজনকে বইন (আপা) বানাই ফেলতেছেন। কাউকে বউ বানাতে মন চায় না তাদের? নাকি সেটা গোপন। তাদের পূর্বসূরীদের দিকে তাকালে অন্তত এটাতো স্বীকার করতে হবে পারিবারিক জীবনকে তারা স্রষ্টার দেওয়া নেয়ামত হিসেবেই নেয় এবং সদা সক্রিয় থাকে। অ্যাকটিভ বলেই একেকজনের প্রোডাকশন অন্তত হালিখানেক মাশাল্লাহ।

নোট: কে হবে ছাগুদের আগামির ভাই বা বোন তা দেখার অপেক্ষায় আছি। কৌন বনেগা!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৭
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×