ধূমপান অতি উপকারী একটি জিনিস। ধূমপানে ব্যাপক উপকার পাওয়া যায় বলেই দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের গাঁটের পয়সা খরচ করে বিপুল আনন্দ নিয়ে ধূমপান করতে থাকেন।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ধূমপান পাবলিককে দেখিয়ে করার নিয়ম। একারণেই ধূমপায়ীগণ সাধারণ পাবলিক প্লেসেই ধূমপান করতে অধিক মাত্রায় উৎসাহবোধ করেন। ভালো জিনিস একা খেতে নেই। তাই ধূমের কিঞ্চিৎ অংশ যাতে আম জনতার পেটেও যায় তাই আমাদের সদাশয় ধূমপায়ীগণ বাসে, ট্রেনে, পার্কে, রেস্টুরেন্টে, ফুটপাতে, খেলার মাঠে সর্বত্র ধূম ছড়িয়ে দেয়। জ্ঞান যেমন দান করলে বেড়ে যায় ধূমও তাই। এই কারণেই উনারা ধূম দান করেন।
বিক্রমপুরের প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক বি চৌধুরী বিটিভির এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন- কোন ধূমপায়ী যদি ধূমপানের পক্ষে একটি যুক্তিও তুলে ধরতে পারেন তাহলে তিনি নাকি খুব খুশী হতেন। এই কথাটি তিনি বলেছিলেন আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে। তখন আমার কাছে ধূমপানের পক্ষে কোন যুক্তি ছিল না । তাই উনাকে খুশী করতে পারিনি। অনেক পরে হলেও একটি উদাহরণ পেয়েছি। সেটা অবশ্যই আমার নিজের নয়। আমার এক জন শিক্ষক বন্ধুর।
শিক্ষক বন্ধুটি প্রচুর পরিমাণে ধূমপান করতেন। তাকে প্রচুর পরীক্ষার খাতা দেখতে ( মূল্যায়ন) হয়। নিজ স্কুলের খাতা তো আছেই । বোর্ডের খাতাও তো কম না। এক রাতে তাকে খাতা দেখে শেষ করতে হবে। কেননা, বোর্ডের হেড এক্সামিনার তাড়া দিচ্ছেন খাতা জমা দেবার জন্য। অথচ ঘুমে তিনি নাকাল। উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি একটা বিড়ি ধরালেন। আর ঘুম পালিয়ে গেল। তিনি মহা আনন্দে বাকি রাতে খাতা দেখে শেষ করলেন।
আরেক দিনের ঘটনা। তার পরদিন ঢাকা যেতে হবে খুব ভোরে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরা দরকার । অথচ মুখপোড়া ঘুম আসছেই না। তিনি তখন চোখে মুখে ঠান্ডা পানি দিয়ে আরাম করে বসে একটা বিড়ি ধরালেন। তার দু’চোখ জুড়ে নেমে এলো আরামের ঘুম।
ধূমপানের পক্ষে ২টি শক্ত ও খাড়া যুক্তি পেয়ে গেলাম। অথচ অধ্যাপক সাহেবকে বলতে পারছি না। অনেক সময় পার হয়ে গেছে। তাতে কি। বিখ্যাত এক কবি তো বলেই গেছেন- Better Late than Never!
অতএব অধিক ধূমপান করুন। ধূমের উপকার গ্রহণ করে নিজে ধন্য হোন। দেশ ও জাতিকে ধন্য করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৯