somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অদ্ভুত কিছু সমুদ্রের মাছ .......ছবি সহ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমুদ্র কত রহস্যময় একটা জায়গা।বিজ্ঞানের সাথে পাল্লা দিয়ে মনুষ্য সমাজও আজ পৌঁছে যাচ্ছে চরম গভীরত্বে । ঠিক এই ভাবে অজানা সমুদ্রের রহস্য উদ্ঘাতন করতে গিয়ে তারা খুজে পায় অদ্ভুদ আর বিদঘুটে কিছু মাছ।এই রকম কিছু মাছের সাথে আমরা আজ পরিচিত হব।
The Blobfish



আপনার নানিমা মাঝে মাঝে আপনার জন্য ঘরে যে পুডিং তৈরি করে, এটি দেখতে অনেকটা তেমন। এর অদ্ভুদ মজার গঠন এর কারনে এটি বিশ্বের সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়। পাখনা দিয়ে ভর করে চলা এই মাছ বিশ্বের কুতসিত প্রাণীগুলোর একটি। এই blobfish’s সমুদ্রের একদম তলদেশে থাকে, যেখানে পানির প্রেসার থাকে অত্যান্ত উচ্চ, এই কারনে এর স্কিন এর ঘনত্ব এমন হয় যাতে সেটা পানির প্রেসার সহ্য করতে পারে।
এরা বেঁচে থাকার জন্য পানির সাথে যুদ্ধ করতে হয় না। শুধুমাত্র খাওয়ার সময় হলে মুখটা হাঁ করে ভেসে থাকলেই হয়। ভাসমান জলজ খাদ্য তার মুখেই চলে আসে। খাদ্য জোগাড় বা খাওয়ার জন্য এর কোনও কষ্ট বা শক্তির প্রয়োজন হয় না বলে একে সবাই সমুদ্রের অলস মাছ হিসেবেও জানে।

The Hatchetfish



বিজ্ঞানীরা এই ভয়ঙ্কর এবং ক্ষুদ্র মাছটি খুজে পায় সমুদ্রের চরম গভীরতাই , যা hatchetfis নামে পরিচিত। দেখতে বিষণ্ণ এই মাছটির নামকরন করা হয়েছে তাদের ক্ষুর পাতলা গঠনের জন্য। এদের বুকের গঠন দেখতে অনেকটা কুঠার এর মত এবং ঠাণ্ডা ও জ্বলজ্বলে রুপালি রঙের কিছুটা প্রভাব আছে। আকৃতিতে ৫ ইঞ্চির মতো লম্বা হওয়াই কুঠারের সাথে এর গঠন সম্পূর্ণ মিলে যায়। দেখতে আতঙ্কজনক হলেও এরা খুব কম-ই মারাত্মক হয়।

The Fangtooth



কি, দেখতে ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে? এই মাছ টিকে আপনি সমুদ্রের তলদেশের রাগান্বিত ষাঁড়ের সাথে তুলনা করতে পারেন। দেখলে মনে হবে যে আপনার দিকে এখনি তেড়ে আসছে। আসলে এটির চেহেরা যত ভয়ঙ্করই হোক না কেন, এর বড় দুর্বলতা হচ্ছে এর দুর্বল দৃষ্টিশক্তি। এরা যখন শিকারে যায় তখন দুর্বল দৃষ্টিশক্তির কারনে হটাত করেই শিকারিকে আক্রমন করে বসে। এজন্য তাদেরকে খোঁচা-দাঁতের মাছও বলা হয়। সমুদ্রের মাছের মধ্যে সবচেয়ে বড় দাঁতের রেকর্ড তাদের দখলে। এটি সমুদ্রের প্রায় ১৬৪০০ ফুট নিচে বসবাস।

The Goblin Shark



বিজ্ঞানিদের কাছে "জীবন্ত জীবাশ্ম" হিসাবে খ্যাত shark নামের এই অপদেবতা বিশাল ও গভীর সমুদ্রের একটা রহস্য।125 মিলিয়ন বছর বয়সী পরিবারের একমাত্র অদ্যাপি জীবিত এই অপদেবতা সত্যিই বীরত্বের সাথে এখনও সমুদ্র শাসন করে বেড়াচ্ছে। এর বিশ্রী গঠন (যেমন: দীর্ঘ, চেপটা ধরণ, মুখের সামনে বের হয়ে থাকা লম্বা গঠন), ইত্যাদি একে অপদেবতা নামে পরিচয় করিয়ে দেয়।
স্বভাবে এরা নিস্ক্রিয় ও মোটামুটি অলস ধরনের। তবে খুব হিংস্র।
এরা সাধারনত ততটা সহজলভ্য নয়, যতটা আপনি মনে করছেন। সারাজীবনে এটাকে শুধু একবার-ই দেখার চান্স পেতেন, যদি না আপনি এই মুহূর্তে জাপান থাকতেন। একটি মাত্র মাছ নাগালে আসার পর জাপানে একটা একুরিয়াম
এ রাখা হয়েছিল যদিও এর কিছু সময় পর মাছটি মারা গিয়েছিল।

The Flamingo Tongue Snail



নামেই বুঝতে পারছেন, এটা একটা শামুক প্রজাতি। তবে যারা শামুকের খোলস সংগ্রহ করেন তারা একটু নড়েচড়ে বসবেন। কারন এর আকর্ষণীয় খোলস। এই খোলসের নিচে তাদের নরম টিস্যু দ্বারা সংকোচন-প্রসারন এর মাধম্যে তারা চলাফেরা করে। এদের পাওয়া যাবে শুধুমাত্র আটলান্টিক এবং ক্যারিবিয়ান গভীর জলের মধ্যে। তারা যেকোনো ধরনের বিষ নিজেদের শরীরে হজম করতে পারে এবং সমুদ্রের তলদেশের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে।

The Angler Fish



সমুদ্রের একমাত্র চিত্তাকর্ষক এবং উদ্ভট প্রাণীগুলোর মধ্যে এই angler fish একটি। এটি এর কূটবুদ্ধির জন্যও বিখ্যাত। শিকারিরে নানা ধরনের ফাঁদে ফেলতে এর কোনও জুড়ি নাই।
বিজ্ঞানিরা যখন প্রথম এই মাছটি আবিস্কার করেন তখন তারা দেখতে পায় যে, মোটামুটি সব মাছ-ই মেয়ে প্রজাতির। এটা তাদেরকে কিছুটা আশ্চর্য করেছিলো।
পরে গবেষণা করে দেখা যায়, প্রতিটা মেয়ে প্রজাতির মাছের সাথে পরাশ্রয়ী কিছু একটা আছে। এই পরাশ্রয়ী টাই পুরুষ মাছ কম হওয়ার জন্য দায়ি। প্রতিটা পুরুষ মাছের লক্ষ্য থাকে যে প্রজননের জন্য একটা মেয়ে মাছ খুজে বের করা। মেয়ে মাছ খুজে পাওয়ার পর পুরুষ মাছটি তাদের শরীরে কামড় দিয়ে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস , সংবহনতন্ত্র ভাগ করে নেয়। এ যেন দুই দেহ আর এক প্রান। এভাবে এরপর তারা জননক্রিয়ায়ও অংশ নেয়।

ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×