উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিমানবন্দর সড়ক থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে করা হবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়া, ঢাকা ইপিজেড হয়ে চন্দ্রায় গিয়ে শেষ হবে এক্সপ্রেসওয়েটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সঙ্গে ৩০ জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোরে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরের ৩০ জেলার চার কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে। বর্তমানে ঢাকা প্রবেশের জন্য দেশের উত্তর-পশ্চিমের প্রায় ২৪টি জেলার জনগণ আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ছয়টি জেলার জনগণ আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-নবীনগর সড়ক ব্যবহার করে। এ অবস্থায় ৩০টি জেলার চার কোটির বেশি মানুষকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এ সড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। শ্রমঘন শিল্পাঞ্চল হিসেবে আশুলিয়া, সাভার, ডিইপিজেড ও গাজীপুরে প্রায় তিন হাজার টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। এ এলাকার যানজটের কারণে রফতানিমুখী পণ্যবাহী ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহনকে শিল্পাঞ্চলের প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করতে অনেক ক্ষেত্রে ৩-৪ ঘণ্টাও লেগে যায়। এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ হলে শিল্প-কারখানার উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ ২৬ জেলার ৪০ লাখ মানুষের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজতর হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১১