somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

জনৈক বনি ইসরাইলী যুবকের তওবার বিবরণ(কিচ্ছা)ও সম্মানিত ব্লগার বর্গ সমীপে আরজি

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নবী হযরত মূসা(আঃ)-এর যমানায় দূর্ভিক্ষ দেখা দিল । বৃষ্টি হচ্ছিল না।কওমের লোকেরা মূসা আঃ এর নিকট এসে বৃষ্টির জন্য দোয়া করার আবেদন জানালো ।হযরত মূসা (আ) ৭০ হাজার লোক নিয়ে এক জামআতে নামায আদায় করলেন কিন্তু তীব্র রোদ ওঠলো । হযরত মূসা আঃ বললেন হে আল্লাহ নামায আদায় করলাম দোয়া করলাম কিন্তু প্রচন্ড রোদ ওঠেছে।

আল্লাহ বললেন তোমাদের মধ্যে এমন একজন আছে যে গত ৪০ বছর কোন ভালো কাজ করেনি শুধু নাফরমানি করেছে । সেই অত্যাচারী জালেম যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের সঙ্গে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বৃষ্টি বর্ষন করবো না । হযরত মূসা আঃ
বললেন যদি এরকম পাপী কেউ থাকো,যে ব্যক্তি ৪০ বছরে কোন ভালো কাজ করোনি , শুধু আল্লাহর নাফরমানী করেছো তবে সে বেড় হয়ে যাও । তার পাপের কারণে অন্য সকল মানুষ কষ্ট পাচ্ছে,বৃষ্টি হচ্ছে না।

সেই পাপী লোকটি ডানে বামে সামনে পিছনে তাকালো । কিন্তু চিন্তা করলো
যদি আমি এখন সকলের চোখের সামনে দিয়ে বের হয়ে যাই তবে অপমানের শেষ থাকবে না।যদি এখানে দাড়িয়ে থাকি তবে বৃষ্টি হবে না।এখন আমি কি করবো?সেই ব্যক্তি লজ্জিত ভাবে বলল


হে আল্লাহ আমি ৪০ বছর যাবত তোমার নাফরমানী করেছি।কিন্তু আমাকে সুযোগ দিয়েছো ।আমি এখন তোমার নিকট তওবা করছি।তুমি আমার তওবা কবুল কর।একথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হলো।


আল্লাহ বললেন যার কারণে বৃষ্টি হচ্ছিল না সে তওবা করেছে আমি তওবা কবুল করেছি।

হযরত মূসা আঃ জানতে চাইলেন সেই ব্যক্তি কে?আল্লাহ বললেন ,সে যখন ৪০ বছর যাবত পাপ করেছে তখনো আমি কাউকে তার পরিচয় প্রকাশ করিনি এখন তওবা করে পরিচ্ছন্ন হয়েছে এখনো তার পরিচয় প্রকাশ করবো না।


মানুষকে আমি গীবত করতে নিষেধ করেছি,আমি কিভাবে বান্দার নামে গীবত করবো।
-------------------------------------------------
রসুল সঃ এক মজলিসে অবস্থান করছিলেন এমন সময় এক সাহাবীকে দেখিয়ে বললেন যে সে জান্নাতী।অন্য এক সাহাবীর মনে প্রশ্ন জাগলো সে কি এমন আমল করে যে সে জান্নাতী।তিনি তাকে তিনদিন অনুসরন করলেন অথচ বিশেষ কোন আমল করতে দেখলেন না।পরে অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন আপনি এমন কি আমল করেন যে রসুল সাঃ আপনাকি জান্নাতী বললেন।তিনি উত্তর দিলেন আমি তেমন কোন আমল করি না।তবে প্রতি রাত্রে ঘুমের আগে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে ঘুমাই।ক্ষমা স্বর্গীয় গুণ। উৎস..হেকায়েতে সাহাবা
---------------------------------------------------------
পবিত্র কোর আনের সারাংশ হলো সুরা ফাতেহা।সুরা ফাতেহার মধ্যে যা আছে তা বিসমিল্লাহর মধ্যে আছে ।আর বিসমিল্লাহর সব কিছুই বা এর নিচে যে নুক্তা আছে তার মধ্যে আছে।নুক্তার অর্থ হলো মিলিয়ে দেয়া।তাই মিলে মিশে থাকা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ।পুরো সৃষ্টি জগতের উদ্দেশ্যে হলো মিল মহব্বত।আল্লাহ তায়ালা এটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। আর অপছন্দ করেন ঝগড়া বিবাদ কলহ।রসুল সঃ শবে কদর নির্দিষ্ট করে দিবেন এন সময় দুইজনের ঝগড়া শুরু হলো।রসুল সঃ ভুলে গেলেন আল্লাহ তায়ালা শবে ক্বদর অনির্দিষ্টই রাখলেন।এটা ঝগড়ার কুফল।
--------------------------------------------------------
প্রথম ঘটনায় বুঝা যায় স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা মানুষের দূষ গোপন রাখেন তাকে লজ্ঝায় ফেলেন না।আমাদেরও উচিৎ অপরকে শ্রদ্ধা করা।সম্মান করে কথা বলা।এতে মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়।হাদিসে আছে যে জিহবা ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে তার বেহেশতের জিম্মাদর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা।মুখ নিঃসৃত বাণী অমূল্য ।একটা কটু কথা মুখ দিয়ে বেড়িয়ে গেলে সেটি আর ফিরানো সম্ভব নয়।তার বাজে ফলাফল আসবেই।তাই সাধু সাবধান।আমরা যেন সকল ব্লগারদের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ সহ সকল মানুষকে সম্মানের সঙ্গে সমালোচনা করি।এতে আমাদের ছোট হওয়ার কিছু নাই।বরঞ্চ এর মধ্যে আভিজাত্য আছে।
--------------------------------------------
আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস।এই মহান দিবসে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছাও অভিনন্দন।যাদের কল্যাণে আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা তাদের সবাইকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।আমরা বীরের জাতি।আসুন এমন মহান দিনে এই শপথ করি সকল মানুষকে শ্রদ্ধা করবো তার অনুভূতিকে চিন্তাকে মূল্যায়ন করবো্।আর দেশও জাতির সার্বিক উন্নয়নে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৮
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×