somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

বান্ধবী-৪( গল্প)

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি বদি।বদের হাড্ডি। আমাকে চেন নি? তুমি যখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়।তোমার রূপে তখন আমি দেওয়ানা।তোমাকে প্রেম পত্র দিলাম।তুমি তোমার বাবাকে সেটি দিয়েছো। তোমার বাবা আমাকে তোমার বাসায় ডেকে নিয়ে তারপর কি অপমানটাই না করলো।তোমাদের গেটের সামনে কান ধরে সারা বিকেল দাড় করিয়ে রেখেছিল।সবাই দেখে হাসছিল। তোমাকে আমি ভালবেসেছিলাম। তোমার নবযৌবনে মাতোয়ারা হয়ে গিয়েছিলাম। তোমার অনিন্দ সুন্দর চেহারার প্রেমে মজে ছিলাম। তাই তোমার বাবা শাস্তি দিলেন।তোমার তেমন কোন দোষ ছিল না। তুমি হয়তো বোকামী করেছো। কিন্তু তোমার বাবা।কত বড় অপমানটাই না করলো ।আমার বাবা এসে আমাকে নিয়ে যায় ।তখন যে কি লজ্জায় পড়েছিলাম বোঝাতে পারবো না।

তোমাকে বিয়েটা করে নিই ।তারপর দেখবা জামাই শ্বশুর খেলা। আর তোমার পিয়ারের লোক রাতুল।তাকে একটা ভাল শিক্ষা দিব।তোমারেও শিক্ষা দিব।আমার জানটা তামা করছ তুমি।সোজা আঙ্গুলে তো ঘি ওঠে নাই।আঙুল বাকা করছি ।এখন আমার প্রতি তোমার প্রেম জন্মিয়েছে।তোমাকে দেখলে আমার মাখা আওলিয়ে যায়।তোমাকে না দেখলে আমার জীবন ছাড়খার মনে হয়


রাতুলরে প্যাদানী দিলে তুমি ফুরুৎ করে উড়াল দিবে জানি। আমার ময়না পাখি। তাই তারে কিছু বলি না।বিয়েটা হোক ।তারপর আমার সন্তানের মা হলে রাতুল সাবের ট্রিটমেন্ট করবো। আর তারও পরে তোমার বাবার। বিড়বিড় করে বলতে থাকে বদি।ছায়ানীড় এ রাতের খাবার শেষে দুজনে রিকশায় ।টিনাকে রোকেয়া হলে পৌছে দিবে।টিনা জিজ্ঞাসু ভঙ্গিতে

কিছু বলছ বদি?

কই নাতো।

তাহলে বিড়বিড় করছো কেন?তোমার এই বিড়বিড় স্বভাব আমারা মোটে ই ভাল লাগেনা।সারাদিন কি ভাব আর কি বল?

না ভাবছিলাম তোমার বাসার অবস্থা কি? তোমার বাবা মা দুজনেই তো রাজি? তোমার মেজো ভাই কি বলে?

সত্যি বলতে কি মেজো ভাই তোমাকে পছন্দ করে না।
কেন?

জান না বুঝি? মেজো ভাবির সঙ্গে কি করেছো মনে আছে?

দেখ তখন সে তোমার মেজো ভাবি ছিল না। ও সব বাদ দাও।

সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তোমার মাথা খারাপ হয়ে যায়।

দেখ টিনা এর জন্য দায়ী তুমি। তুমি আমার ভালবাসা প্রত্যাখ্যান না করলে তেমনটি হত না।তোমার জন্য আমি নেশা করেছি। বখে গিয়েছি।মেধাবী ছিলাম বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করতে পেরেছিলাম।নাহলে আমি সেটিও পারতামনা।তোমার ঠোটে চুমু দেয়ার আজন্ম সাধ আমার যখন ভেস্তে যাওয়ার উপায় । আমি উন্মাদ হয়ে যাই। এসব গাজা ডাইল খেয়ে নেশায় সময় কাটাই। এখন আমি এসবে নেই।শুধু সিগারেট খাই।

রাতুল তোমাকে ফোন করে এখনো।

না করে না।

গুড।রাতুর কি আর তোমাকে ভালবাসে।ওরটা ছিল মোহ। অল্প সময়েই কেটে গেছে।আমি এই বদি তোমাকে ভালবাসি মন প্রাণ উজার করে ভালবাসি।

টিনা কিছু বলেনা। আকাশের দিকে তাকায়। আজ বিরাট চাদ ওঠেছে।সুপার মুন। চাদের হাসির বাধ ভেঙেছে।এমন পূর্ণিমায় নদীতে সাগরে জোয়ার আসে।পানি ফুলে ফেপে ওঠে। চাদের রূপালী আলোয় উদ্ভাসিত চারিদিক। বদি সিগারেট খাচ্ছে। নাক দিয়ে ধোয়া ছাড়ছে।ও র অবয়বে একটা বদ বদ ভাব।বদি নামটা তাই যুতসই হয়েছে।বদির একটাই ভাল গুণ আর তাহলো সে টিনাকে ভালবাসে।বদি টিনার চিবুক ধরে।তারপর একবার চাঁদের দিকে তাকায় আরেকবার টিনার দিকে।বদির চোখে প্রেমের জোয়ার। টিনা কেঁপে ওঠে।বদি ওকে গভীর চুম্বনে সিক্ত করে।


বান্ধবী -চ্যাপটার-৩ (গল্প)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১২
১১টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×