somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

ছদকায়ে ফিতর কে দিবে ,কাকে দিবে, কত দিবে? জেনে রাখা ভাল

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যার নিকট নিজের ও নিজের পরিবারবর্গের জরুরী খরচ পত্র বাদেও অতিরিক্ত মালামাল থাকে তার জন্য ছদকায়ে ফেতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদের রাত্রে কিংবা দিনে নিজের,নিজের সন্তান সন্ততির ,স্ত্রীর ,চাকর-চাকরানির,পিতা-মাতা, ভাই-ভগ্নির এবং ভরণ -পোষণের দায়িত্বগ্রস্ত অন্যান্য ঘনিষ্ঠ ও নিকটবর্তী আত্নীয়দের তরফ থেকে ছদকায় ফিতর আদায় করতে হবে।(যে কোন বয়স)

হয়রত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাঃ হইতে বর্ণিত,রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যাক্তিকে মক্কার অলিগলিতে এই কথা ঘোষণা করতে পাঠোলেন যে, মুসলমান নারী -পুরুষ ,আযাদ-গোলাম এবং ছোট বড় সকলের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজেব। এই সদকার পরিমান দুই মুদ্ (প্রায় দুইসের) গম অথবা এক ছা (সাড়ে তিন সেরের কিছু অধিক) খাদ্য শস্য ।(তিরমিজী)

পরিমাণঃ

খেজুর, কিসমিস,গম,যব,ছাতু,আটা প্রভৃতি এক ছায়া পরিমান যা সাড়ে তিন সেরের কিছু অধিক পরিমান হয়।আর যে সকল শহর বা এলাকায় উল্লেখিত জিনিসগুলি না থাকে সে সকল জায়গায় যে সকল খাদ্য শস্য পাওয়া যায় তা বা উল্লেখিত দ্রব্যের মূল্য দিয়া ছদকায় ফিতর আদায় করবে। (উৎস -গুনিয়াতুত তালেবীন)

১)যদি গম বা যব না দিয়ে উপরোক্ত পারিমান গম বা যবের মূল্য নগদ পয়সা দিয়া দেয় তবে তাহা সবচেয়ে উত্তম।

২) ফেৎরা যদি গম বা গমের আটা বা ছাতু দিয়ে আদায করতে চায় তবে আধা ছা অর্থাৎ ৮০ তোলার সেরে এক সের বার ছটাক দিতে হবে। কিন্তু পূর্ণ দুই সের দেয়া উত্তম। কেননা বেশি দিলে ক্ষতি নাই।কম হলে ফেৎরা আদায় হবে না্ ।

৩)যব বা যবের ছাতু দিয়ে আদায় করতে চাইলে পূর্ণ এক ছা অর্থাৎ তিনসের নয় ছটাক দিতে হবে পূর্ণ চারি সের দেয়া উত্তম।

৪) বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত এই বৎসর ফেৎরার পরিমান ৬৬ টাকা ।

ফেতরা দেয়ার সময়ঃ

১)সদকায়ে ফিতর ঈদের দিবসে ঈদগাহে যাওয়ার আগে আদায় করা মুস্তাহাব বা উত্তম। যদি কোন ব্যক্তি ঈদ উল ফেতরের আগেই সদকায়ে ফিতর আদায় করে তাহলেও সদকায়ে ফিতর আদায় হয়ে যাবে।

২)যদি কেউ ঈদের দিন ফেৎরা না দেয় তবে তার ফেৎরা মাফ হয়ে যাবে না;

ফেৎরা কার উপর ওয়াজিব?

১) ঈদের দিন যে সময় ছোবহে ছাদেক হয় সেই সময় ছদকায়ে ফেৎর ওয়াজিব হয়।কাজে ই কেউ ছেবহে ছাদেকের আগে মারা গেলে তার উপর ছদকায়ে ফেৎর ওয়াজীব নয়।

২) ঈদের দিন ছোবহে ছাদেকের পূ্র্বে যারা জন্মগ্রঞন করে তাদের পক্ষে ফেৎরা দিতে হবে। পরে জন্মালে দিতে হবে না।

৩)ঈদের দিন ছোবহে ছাদেকের পর কেউ মুসলমান হলে এটি দিতে হবে না কিন্তু আগে হলে দিতে হবে ।


ফেতরা কাকে দিতে হবে?

১)আত্নীয় স্বজন পাড়া-প্রতিবেশি এবং পার্শ্ববর্তী লোকদের মধ্যে যাহারা গরীব-দুঃখী আছে তাদেরকে দিতে হবে।সাইয়্যেদকে, মালদারকে,মালদারের নাবালেগ সন্তানকে এবং নিজের মা বাপ দাদা নানা নানী বা নিজের ছেলেমেয়ে নাতি নাতনী ইত্যাদিকে ফেৎরা ,যাকাত দেওয়া যায়েয নহে। অবশ্য সাইয়্যেদ বা বাবা মা দাদা দাদী নানা নানী বা ছেলেমেযে , নাতি নাতনি যদি গরীব হয় তবে তাদেরকে হাদিয়া -তোহফা স্বরূপ পৃথকভাবে দান করে সাহায্য করতে হবে।

২)মসজিদের ইমাম ,মোয়াযযিন বা তারাবীহর ইমাম গরীব হলে তাদেরকেও ফেৎরা দেয়া দূরস্ত আছে কিন্তু নেসাব পরিমান হলে দেয়া যাবে না এবং বেতন স্বরূপও দেয়া যাবে না। বেতন স্বরূপ দিলে ফেৎরা আদায় হবে না।

৩) একজনের ফেৎরা একজনকে দেয়া বা একজনের ফেৎরা কয়েকজনকে ভাগ করে দেযা উভয়ই জায়েজ আছে।

৪)কয়েকজনের ফেৎরা একজনকে দেয়াও জায়েজ আছে।

উৎসঃ-বেহেশতি জেওর( আশরাফ আলী থানবী রঃ, ওসওয়ায়ে রাসুল আকরাম
সঃ (ডাঃ আব্দুল হাই) গুনিয়াতুত তালেবীন (মূল -বড় পীর আব্দুল ক্বাদের জিলানী অনুবাদ)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×