শুভ জন্মজয়ন্তী
পুরোনো ক্লান্ত সূর্যটি ডুবে গেছে
রাত পোরোলেই ওঠবে নতুন সূর্য
উচ্ছ্বসিত হবে এই ধরণী নতুন সূর্যরাগে।
পাখিরা কলতানে করবে নতুন কোন গান
ফুটবে নতুন ফুল, তাতে কাঁঠাল চাঁপার ঘ্রাণ
ঝিরিঝিরি বাতাসে জানি জুড়োবে সকল প্রাণ।
শ্রাবণের এই শরৎ মোহনাতে বৃষ্টিস্নাত আলোয় রাঙা নতুন প্রভাতে
অথবা এমন কাব্যিক সুষমার রাতে
স্বপ্নিল অনুরাগে —এই ধরনী রাগাবে বলে
জন্মেছিলে জানি এই ধূসর পৃথিবীতে।
শ্রাবন জলে জেগে ওঠা লাউয়ের ডগার মত
জেগেছে এ তনুমন— সুতীব্র শিহরিত
জানি আজও তুমি সেজেছো অপসরা সাজে আর মম প্রাণ ধূলোয় ধূসরিত।
আজ ধূলোরা ঝরে যাক সেই পরশ পাথর ছোঁয়ায়,
মনময়ূরী উঠ নেচে আনন্দ সারা গাঁয়;
অনেকগুলি সুখে সাফল্যের পালক লাগুক একে একে।
তোমার চলায় পায় — বিছিয়ে দিতে পারি যেন লাল গালিচায়
আজ আনন্দে কাটুক তোমার সারা বেলা
অতীতের সব বেদনা ভুলে সখি ভাসাও সুখের ভেলা।
দাবি
তোমাকে ভালবাসবো বলেই আমার জন্মের অনেক আগে তার সৃষ্টি;
তোমাকে ভালবাসবো বলেই অনেক পরে এসেও তোমার দরজায় কড়া নাড়ছি।
যে ঈশ্বর তোমাকে গড়েছেন তার কথাই মানছি,
সে ঈশ্বর নিজহাতে আমার এ ভগ্ন হৃদয় গড়েছেন তার অনুমোদনে লিখছি।
যে ঈশ্বর তোমার কণ্ঠে যাদু ঢেলেছেন
সেই ঈশ্বর তোমায় শ্রবণে এ মনে প্রণোদনা দিয়েছেন;
এ মনে ভালবাসার অনুভূতি দিয়েছেন,
প্রেরণা দিয়েছেন,
কবিতা লিখার মনন সপেছেন,
এ গায়ে উষ্ণতা দিয়েছেন ,
এ মনে মাংশাসি অভিপ্রায় চেপেছেন।
এই তোমায় জন্মদিয়েছেন সে আমারই ভাগ্য দোষে
তাই আমি ক্রন্দনজলে তোমার বেলা হেসে হেসে।
যে ঈশ্বর তোমাকে গড়েছেন
সে ঈশ্বর আমার এ প্রাণে ভালবাসা ঢেলেছেন।
তুমি এ প্রাণে যেন তিমির রাতের একফালি চাঁদ
আমি নিশি জেগে থাকা প্রজাপতি তুমি তাতে ঘুচাও বিষাদ।
আকুতি
বৃষ্টি পড়ে মিষ্টি মধুর
হৃদয়ে তুফান;
মনময়ূরী আনন্দেতে
গাইছে যেন গান।
মেঘের ভেলায় চড়ে
যেন মনটা উড়ে উড়ে,
বৃষ্টিভেজা এই দিনে
তোমায় মনে পড়ে।
শীতল ভেজা হাওয়ায়
মনটা ব্যাকুল আজ—
তোমায় ফিরে পাওয়ায়।
বিষন্নতা
আমার আছে জল তাতে তোমার কঠোরতা,
জীবন নামের কাব্য ঘিরে তাই শুধুই বিষন্নতা।
প্রেম
আজ পথিক পথ হারাবে বোধ হয়;
আজ ভালবাসা হয়ে যাবে নিশ্চয় ।
উৎসর্গঃ প্রিয় ব্লগার অপসরা /বরুণা/শায়মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫