কাওরান বাজারে
কাঁচা বাজার শেষে
অপেক্ষায় থাকি;
কোনো রিকশাওয়ালা
গন্তব্যে পৌঁছে দিতে
হয় না রাজি!
পারবো কি যেতে?
ভেবে পাইনা কূল,
চোখে যেনো তাই
দেখি শরষে ফুল।
এমন কঠিন সময়
আচমকা এক স্রষ্টার দেবদূত
অবাক রিকশা ওয়ালা এলো।
কোথায় যাবেন স্যার?
আমাকে শুধালো।
বললাম আমি ,
রমনা থানার কাছে
বললেন তিনি তবে
ষাটটি টাকা আমায়
দিতে হবে।
মাথায় তার টুপি
শশ্রুমন্ডিত মুখ
ভদ্র অবয়বে যেনো
তিনি স্রষ্টার দেবদূত।
এমনি করে আমার রিকশা ভ্রমণ
প্রিয়তমা নেই পাশে
মনে মনে তারে লয়ে
করি হিমেল হাওয়া সেবন।
রিকশা ভ্রমণ শেষে
রিকশা ওয়ালা শুধায় মোরে স্যার
এখানে যারা থাকে
তারা কি সবাই অফিসার?
বললাম আমি হাঁ
এটা সরকারি কোয়ার্টার।
শুধাই আমি তুমার বাড়ি কোথায়?
বললো সে রাজশাহী
. ক'দিন ধরে রিকশা চালাও বলো?
. বছর দুয়েক হলো
স্যার আমাকে তেজগাঁও এ একখণ্ড
জমি দিয়েছে
আর বলেছে রিকশা চালাতে
রিকশা ভাড়ার টাকায় ইট কিনি;
. বানাবো একটা ঘর,
বিয়ে করে সেথা
থাকবো জনম ভর ।
......................................
গতরাতে রিকশাভ্রমন সত্যি ঘটনা। ২ঘন্টার লোড শেডিং গেলো। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় বিদ্রোহ করেছে বোধ হয় ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬