somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিজমা” আমার ঘরের মেয়ে” বাংলা মায়ের আকুতি!!

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রিজমা’র জন্ম বাংলাদেশের কোন এক অখ্যাত রিক্সার গ্যারেজে। সেট ১৯ শতকের প্রথম দিকে। তখন এক অানারী পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল। তার পর অনেক শৈল্পিক পিতাও প্রিজমা’র জন্ম দিয়েছিল। পরে তা ইতিহাস সৃষ্টি করল।

কয়েক বছর হলো প্রিজমার নিঁখোজ, প্রথমে ভাবছিলাম র্যাব বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গুম করছে। এখন চোখ খোলে গেছে। তা দিনের মতো পরিস্কার।
এইত গত কয়েক দিন আগে ছোট পোলার মোবাইলে কিভাবে যেন চোখ পড়ল। আর চোখ পড়তেই চড়াক গাছ। এইত এইত আমার হারিয়ে যাওয়া বড় মেয়ে প্রিজমা। বুকটা ধক করে উঠল। কয়েক গ্লাস পানি গলায় ঢাল-লাম। কয়েকটি নি:স্বাস নিয়ে ছোট ছেলেটাকে বললাম-
বাবাজান, বাবাজান নাড়াস না।
কেন! স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী না করছে?
নারে বাবা। যে ছবিটা দেখছস সে হলো তোর বড় বোন প্রিজমা।
বলেন কি?
হরে হঁ বাবা।
ছোট পোলাডা কিছুক্ষণ এক নজরে প্রিজমা’র দিকে তাকিয়ে থাকে। তার রক্তের বোন কে দেখে আবেগে ছটপট করতে থাকে। তারপর ধ্যান ভঙ্গ করে তার বাবাকে বলে-
আমরা যে জানি তার জন্ম অ্যামেরিকায়, অভিজাত পরিবার আইফোনে।
নারে বাবা না। তা হতে পারে না।
সে যে আমার বড় বোন তার প্রমাণ কি?
তার ছোট বেলার একটা ছবি আছে আমার কাছে।
তাহলে দেখাও।
এই নে দেখ;




ছবিটার দেখে ভালো করে ছেলেটা তাকায়। তারপর বর্তমান প্রিজমার সাথে মিলিয়ে দেখে। সবেই ঠিক আছে। কিন্তু স্টাইল একটু আউলা -জাউল্যা মনে হয়। তাই সন্দেহ দূর করার জন্য তার বাবাকে পুনরায় প্রশ্ন করে-

কিন্তু চেহারা যে ফর্সা ফর্সা আর আধুনিক মনে হয়।
হয়রে বাবা হয়। সে যখন আমার মেয়ে ছিল তখন ছিল বাঙালী। এখন ও দেশে গিয়ে নাগরিক্ত নিয়ে হয়েছে আমেরিকান ফার্স্ট লেডি। তাই এই তফাৎ।

ছেলেটা তার বাবার কথা শুনে কিছুক্ষণ ভেবে দেখে তার বাবার কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে। তাছাড়া চেহারাতেও যথেষ্ট মিল আছে।
আর নিজের বোনের স্নেহ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। পরক্ষণে নিজ মন থেকে বলে উঠে,
এখন উপায়?
বহুত উপায় আছে।
কি সে উপায়?
প্রথমত জানতে হবে সে কিভাবে আমেরিকায় গেলো-
তাই হবে বাবা। এখন আমি সেটার জানার চেষ্টা করছি।

কিছু দিন পর। ছেলেও বাবার মাঝে কথা হচ্চে। বাবা-
তুমি জানতে পেরেছ?
পেরিছি।
তাহলে বল
শোন-
সে এক বহুত হিষ্টুরি। ইউকিলিসের মাধ্যমে যেটুকু জানতে পেরিছি তা হলো- ইনষ্টোগ্রামের জনপ্রিয়তা যখন শীর্ষে
তখন এফবিআই ষড়যন্ত্র করতে লাগলে তাতে ভাগ বসাতে। সে উদ্দেশ্যে তারা গোপনে মোসাদের সাথে চুক্তি করল। (সে চুক্তিতে এরকম একটি ধারা ছিল যে ছবিতে এমন ইফেক্ট ব্যবহার করতে হবে যাতে ইনষ্টগ্রামের সাথে প্রতি যোগিতা করা যায়)। মোসাদ আরবীয় মুসলাম আর নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মারতে উস্তাদ হলেও তারা এক্ষেত্রে ব্যার্থ হলো। শেষ পর্যন্ত তারা এ উদ্দেশ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সাথে যোগাযোগ করল। র’ ও অনেক ঘাটা-ঘাটি করে উদ্দেশ্যে হাছিল করার জন্য আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটি দেশ গোপনে সফর করল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না। পরে তারা বাংলাদেশের দিকে নজর দিলো। বাংলাদেশে তারা পাগলের বেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করল। প্রবেশ করার সাথে সাথে তারা সীমান্তে দেশী প্রজাতির কুকুরের (ন্যাড়ি) ঘেউ ঘেউ শব্দ তাদের বুকে ধড়পড়ানি উঠে। ফলে তারা ব্যার্থ মনোরথ নিয়ে ফিরে যায়। ফিরে গেলে কি হবে তারা নতুন করে চক্রান্তে নামে। তারেই অংশ হিসেবে নাসার সাথে যোগাযোগ করে। নাসা তাদের কথা মতো বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের কিছু ছবি তোলে দেয়। সে ছবি ‘র’ যাচাই বাচাই করতে গিয়ে একটি ছবিতে চোখ আটকিয়ে যায়। ছবিতে গ্রাম্য রাস্তায় রিক্সা চলছে, তার পিছনে ছিল প্রিজমা’র ছবি। আর সেই ছবিটিই পরে
টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আইওএস প্ল্যাটফর্মে পাঠায়। তারা ছবির বিষয়বস্তু দেখে একটি অ্যাপ তৈরি করে।

অ্যাপটিতে যেকোনো ছবিকে পেইন্টিং এ আঁকা ছবিতে রূপান্তরিত করে দেয়। আইওএস প্লাটফর্মের জন্য নির্মিত এই অ্যাপটি কাজ করে নিউরাল নেটওয়ার্ক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে। প্রিজমা কোনো ছবির ওপর একটি ফিল্টার লেয়ার মূল ছবির ওপর যুক্ত করে না। বরং প্রিজমা তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে বিভিন্ন লেয়ার ব্যবহার করে নতুন করে ছবিটি আঁকে।

অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেস অ্যাপের কার্যপদ্ধতির মতো জটিল নয়। নিজের সদ্য তোলা কিংবা গ্যালারিতে জমে থাকা ছবিতে ব্যবহারকারীরা মোট ৩৩ রকমের ইফেক্ট যোগ করতে পারবে। ইম্প্রেশন, মোজাইক, গোথিকসহ নানা ধাঁচের ছবির আদলে পাল্টে ফেলা যাবে ছবিকে।



বলা শেষ হল ছেলে দম নেয়। এই ফাঁকে বাবা বলে উঠল, এবার বুঝছ বাজান; তোর বড় বোনের পরিবর্তনের কাহিন।
হ্, বাবা।
তাহলে আমার বোনকে ফিরত পাব কেমনে।
ক্যামনে আবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে।
দাড়া আমি তোকে তোর বড় আপুর আরো কিছু ছবি দেখাচ্ছি।

০১।



০২।



০৩।



০৪।



বাবার কথা শেষ হলে ছেলেটি ছবিগুলো ছোঁ মেরে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে দৌড়াতে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×