অনেক কামুক পুরুষ সামাজিকতা, লৌকিকতা বজায় রাখতে গিয়ে এবং সময় ও সুযোগের অভাবের কারণে যখন তাদের কামনার রিপু এবং কামভাব কে চরিতার্থ করতে পারে না, তখন তাদের জন্য এগিয়ে আসে পাভার্ট ধর্ষক নামক কুলাঙ্গারের দল। এই কুলাঙ্গার ধর্ষক যখন অসহায় নারীকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত এবং ঘর্মাক্ত করে পড়নের কাপড় চোপড় ছাড়া অথবা কাপড় সহ সবার জন্য উম্মুক্ত করে ময়দানে ফেলে যায় তখন এই সমস্ত কামুক পুরুষ এবং সাধারণ মানুষেরা নির্ভয়ে লোলুফ দৃষ্টিতে তাকিয়ে মনে মনে কামভাব পূ্র্ণ করে।
পৃথিবীতে অনেক কিছুর আপডেট হলেও ধর্ষণের কৌশল সেভাবে আপডেট হয়নি। আপডেট বলতে, প্রাচীন কালে যেখানে অসহায় মা বোনদের জোড় জবরদস্তি করে করে ধর্ষণ করা হত, সেখানে এখন ধর্ষণের আগে মিউচুয়াল আন্ডার স্টান্ডিং করা হয় এবং তারপর ধর্ষণ কর্ম (কিছু কিছু ক্ষেত্রে) সাড়ে।
দুনিয়াতে যদি কেউ ঈশ্বরের আপন মহিমা দেখতে চায় সে যেন ধর্ষণ পরবতী শিকার কোন মা-বোনের গর্ভে সদ্য জন্ম নেয়া ফুটফুটে মাসুম সন্তান কে দেখে। কি নিষ্পাপ মায়াবী চেহারা, এই চেহারায় ঈশ্বরের হাত পড়েছে নিশ্চয়ই। সেজন্য সে এভাবে হেসে খেলে পৃথিবীকে অভিবাদন জানাতে পারছে। আর মাতৃদুগ্ধ পানে যে আমৃত সুদা পাচ্ছে তাতে বেহেস্তের সু- ঘ্রাণ পাচ্ছে।
সব ধর্ষণই ট্রাজেডিক কিন্তু সবচেয়ে মারাত্মক ট্রাজেডিক ধর্ষণ হলো স্বামী যখন তার নিজ স্ত্রীকে বন্ধুদের দিয়ে গণধর্ষণ করে মেরে ফেলে।
সবশেষে, যে সমস্ত মা-বোন কুলাঙ্গার ধর্ষকদের অপকর্মের শিকার হয়েও আত্মাহুতি না দিয়ে বরং জীবন ধারণের জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি লাল সালাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৫