
ধর্ষক গুরু রাম-রহিম সিং
ঈশ্বর:
ঈশ্বর কারো মুখাপেক্ষী নন, তিনি কারো জন্ম দেননি, আর তিনি কারো জন্মের নন।
ইসলাম ধর্মে ঈশ্বরের যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য দেয়া আছে, এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য সূচক সিম্বলের মধ্যে পরস্পর যোগ সাজেশ করলেও ঈশ্বরের কর্ম ক্ষমতা নির্ধারণ করা এবং তার গঠন আকৃতিকে মূর্ত করা যায়না। অর্থাৎ কোরানিক বর্ণনা মতে, ঈশ্বর একটি বিমূর্ত ধারণা (নিরাকার)।
এখন প্রশ্ন আসে ঈশ্বর তাহলে কেমন বা কি?
আমার মতে, সৌরজগৎ/ মহাজগৎ/ সৃষ্টির জগৎের দৃশ্যমাণ বা অদৃশ্যমান অথবা এর বাইরে যা কিছু থাকুক না কেন তা সচল রাখতে এবং সৃষ্টির ধারাক্রম ঠিক রাখতে একটি কেন্দ্রীয় একক শক্তির প্রয়োজন হয়। এই কেন্দ্রীয় একক শক্তিই হলেন আমাদের বিশ্বাসকৃত ঈশ্বর।
ধর্মে ঈশ্বরের কনসেপ্ট (ধারণার) তারতম্যের কারণে অনেক সময় তার সাধারণ অনুসারীদের বিপদ ডেকে আনতে পারে। বর্তমান সময়ে ভারতের রাম-রহিম এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই ধর্ষক গুরুর কারণে অনেকগুলো প্রাণের অকাল প্রায়াত হয়েছে। এখন এই রাম-রহিমের জন্য যে আত্মাগুলো বিগত হইছে তারা যখন জানতে পেরেছে রাম-রহিম ঈশ্বরের বৈশিষ্ট সূচক কেউনা, তখন তাদের (রাম-রহিমের জন্য উৎসর্গকৃত আত্মা) আত্মার ভিতর যে উত্তেজক সৃষ্টি হয়েছে তা নিশ্চয় সুবিধাজনক ছিলোনা। এখানে এই দায় কে নিবে?
ধর্মের প্রবর্তকগণ নাকি রাম-রাহিম অথবা যারা অহেতুক জীবন দিয়েছে তারা?

------ -
আত্মার প্রস্হান এবং নাস্তিকদের কর্মপন্থা:
আমি জানি, একদিন আমাদের আত্মা খাঁচা ছাড়া হবে। আচ্ছা, আত্মা যখন খাঁচা ছাড়া হবে তখন কি দেহ আত্মা কে ত্যাগ করতে চাইবে? আর আত্মাই কি দেহকে সঙ্গ পাওয়ার জন্য আকুতি জানাবেনা? কেননা দেহ ছাড়া আত্মা তার রুপ/স্বরুপ প্রকাশিত করতে পারেনা। তাহলে কেন তাদের মধ্যে এই প্রস্হান?
প্রকৃত পক্ষে আত্মার অবস্হান নির্ভর করে দেহের অবস্হানের উপর। যতক্ষণ পর্যন্ত দেহে আত্মা ধারণের উপযোগী থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত আত্মা দেহের মধ্যেই থাকে। কিন্তু কোন কারণে দেহ তার আত্মাকে ধরে রাখার যোগ্যতা হারালে তখন আত্না দেহ থেকে চলে যায়।
এখন প্রশ্ন হলো আত্মা কোথায় যায়?
এক্ষেত্রে আপনি দুটি মাধ্যমের আশ্রয় নিতে পারেন:
এক. ধর্ম
দুই. বিজ্ঞান
এক. বিভিন্ন ধর্মে আত্মার প্রস্হান সম্পর্কে কতগুলো তথ্য প্রধান করেছে। এর মধ্যে আলোচিত তথ্য হলো- নরক (জাহান্নাম) স্বর্গ (জান্নাত)। এটা স্ব-স্ব অনুসারীরা ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করে থাকে যে আত্মা হয় নরকে না হয় স্বর্গে যাবে।
দুই.: বিজ্ঞান এই বিষয়ে এখনো পরিস্কার কোন ধারণা দিতে পারেনি। বিজ্ঞান যদি এবিষয়ে প্রমাণযোগ্য কোন ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারে; আর সে ব্যাখ্যা যদি কোন কারণে ধর্মের বিরুদ্ধে যায় তাহলে পৃথিবীর বড় বড় ধর্মগুলো তার বিশ্বাস যোগ্যতা হারাবে। এবং বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তাই যে সমস্ত নাস্তিকরা ঈশ্বর তথ্যকে ব্যর্থ করার জন্য বার বার বিফল মনোরথে ফিরে আসছেন তাদের উচিৎ হবে মৃত্যু পরবর্তী আত্মার রহস্যের প্রামাণ ও বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য আবিষ্কার করা। তারা যদি এই কর্মে সফল হন এবং তাদের নব্য আবিষ্কৃত বিজ্ঞান ও প্রমাণ ভিত্তিক তথ্য যদি ধর্মীয় মতবাদের বাহিরে যায়, তাহলে যুগ যুগ ধরে ঈশ্বর মতবাদ নিয়ে আস্তিক এবং নাস্তিকদের মধ্যে যে মত বিরোধ চলছিল তার সমাধান হবে- আশা করা যায়। ধর্মীয় কারণে পৃথিবীতে যে হানাহানি বিদ্যামান রয়েছে তাও লোপ পাবে।
আর যদি ধর্মীয় মতবাদের সাথে মিলে যায় তাহলেও মঙ্গল; কারণ এতে বিশ্বাস- অবিশ্বাস ব্যবধান ঘুচে যাবে।
খেয়াল: আত্মার রহস্যের প্রমাণ ও বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য কোন আস্তিক আবিষ্কার করতে পারবেনা বা সেদিকে যাবেনা বিশ্বাসের কারণে। আর যে সমস্ত নাস্তিক ঈশ্বর তথ্যকে ব্যর্থ করার প্রচেষ্টা চালান তারা পারবেনা তাদের মানুষিক অক্ষমতার কারণে। কারণ তাদের মানুষিক সংকীর্ণতার ধরুণ তাদের মস্তিষ্ক এই তথ্য আবিস্কারের পর্যায়ে যাবেনা বা তারা কখনো তাদের মাথার ঘিলুকে সে লেভেলে নিতে পারবেনা ।
বুঝতে হবে:
আজ পর্যন্ত যে সমস্ত বিজ্ঞানীরা মানব সভ্যতার আবদান রেখেছেন তার অধিকাংশ কোননা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন। দুই চারজন নাস্তিক থেকে থাকলেও তারা ঈশ্বর তথ্যকে নিয়ে এত ভাবতে যাননি। কারণ ঈশ্বর নিয়ে ভাবলে তারা মানব সভ্যতা নিয়ে ভাবার অবকাশ পেতেন না। এছাড়াও যদি দুই চারজন ভেবে থাকেন তারা 'ঈশ্বরের ব্যর্থ তথ্য' আবিস্কারে পর্যায়ে যেতে পারেনি । আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, বর্তমানে নব্য নাস্তিকতায় অভিনয় কারীদের মত তারা অত গোড়াপন্হী ছিলেন না।
এখন আমাদের মধ্যম পন্থা অবলম্ভনকারী বিজ্ঞানীদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে আত্মার অর্ন্তধানের রহস্য নিয়ে।
(আমার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা)।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




