ইলাস্ট্রেটর। মাই ওয়ার্ক।।
জানি,
জীবন একদিন থমকে যাবে। কিন্তু থমকে যাবেনা এই পৃথিবী। তবে যেদিন পৃথিবী থমকে যাবে সেদিন আমি নতুন করে প্রাণ ফিরে পাব। সে প্রাণে থাকবেনা কোন স্পন্দন, থাকবেনা কোন ভয়, জড়তা কিংবা সৃষ্টি সুখের উল্লাস। আমি হয়ত ঈশ্বরের মুখোমুখি হবো। ঈশ্বর কে দেখে আতৃপ্ত আত্মা, নয়ন কে জুড়াতে চাইব। কিন্তু, কিন্তু... তার আগেই পাপ পূণ্যের বিচার শুরু হয়ে যাবে! আমি হয়ত ঈশ্বরের আদালতে দোষী সাবস্ত হবো। আমাকে নরকে পুড়া হবে। এ এক আজব খেলা। নরকে যাবো সেখানেও থাকবে আজাবের বৈচিত্র। অপরাধ অনুযায়ী আজাব ভোগ করব। প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে আজবের ধরণ পাল্টাবে। তাহলে কি আজাবের মধ্যেও আর্ট বা শিল্পের চর্চা হবে! ঈশ্বর কি শিল্পের চর্চা করেন! তাহলে তো তিনি সব থেকে বড় শিল্পী!
আমাকে বরণ করার জন্য নরক হয়ত আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে থাকবে। নরকে প্রবেশ করে আগুনের ফুল্কিতে নিজেকে জালিয়ে খাটি করে নিব।। শুনেচ্ছি, কোন কিছু পুড়লে নাকি খাটি হয়। তাহলে পোড় খাওয়ার মধ্যেও মাহাত্ম্য আছে।
এই আমি.. আমার নাম হবে মানবাত্মা। আমার উপরে একজন থাকবেন তিনি হলেন পরমাত্মা। দুনিয়াতে পরমাত্মা কে পাওয়ার জন্য মানবাত্মা তত একটা ব্যাকুল ছিলোনা, আর সেইজন্য সে পাপী তাপীর খাতায় নাম লিখিয়েছে। আমি হয়ত পাপী থেকে যাবো..., নরকের আগুনে জ্বলতে থাকব অনন্তকাল। হয়ত কোন একদিন দুদণ্ড সুখের জন্য ঈশ্বরের কাছে আর্জি জানব। আমার আর্জি কি ঈশ্বর রাখবেন? আর রাখলে কিভাবে তিনি সুখের ব্যবস্হা করবেন? তিনি কি আমার মনের মানুষ কে এনে দিবেন? আমরা কি নরকে বাসর রচনা করতে পারবো? নাকি পৃথিবীর মত সুখ নামক অচিন পাখিটা অধরা থেকে যাবে অন অনন্তকাল?
হে ঈশ্বর তুমি আমাকে ক্ষমা করো...।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৯