somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাঙ্গুয়ার টানে,সৌন্দর্যের খোঁজে।। শেষ পর্ব।।

১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্প গুজব এক পর্যায়ে শেষ হল এবং আমরা নৌকার
ভিতরে প্রবেশ করলাম ঘুমানোর উদ্দেশ্যে।। অনেক সময়
নাকি নৌকার ভিতরে চোর ঢুলে সব চুরি করে নিয়ে
যায়।। আমার কিছুটা ভয় হচ্ছিল।। কিন্তু ভয় টা চোরের
জন্য না।। দুপুরে এবং সন্ধ্যায় কিছুটা হলেও ঘুমিয়েছি।।
এখন নৌকার মধ্যে যদি ঘুম না আসে তাহলে খুবই
বিরক্তিকর একটা অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।। কিন্তু
আমার ভয়কে ভুল প্রমাণিত করে ঘুমের রেশ আসতে
একটুও দেরি হল না।। এরপর ঘুম ভাঙল হয়ত খুব ভোরের
দিকে।। ঘুম ভাঙতেই বুঝতে পারলাম বাইরে বৃষ্টি
হচ্ছে আর বৃষ্টির শীতল পানিই আমার ঘুম ভাঙার কারন।।
তবে বৃষ্টির ছোঁয়া আমার ঘুমে কোন ব্যাঘাত ঘটাল না
বরং আমার অভিজ্ঞতায় নতুন এক মাত্রা যোগ করল।।
বৃষ্টির ছিটেফোঁটা গায়ে এসে পরছে এবং আমার
ঘুমকে আরও গভীর করছে।।

এরপর ঘুম ভাঙল রাসেল ভাইয়ের ডাকে।।সকাল হয়ে
গেছে।। হোটেলে ফিরতে হবে।। বৃষ্টি তখন আর নেই।।
তবে পাহাড়ের পাদদেশে বেশ সকালে বৃষ্টিস্নিগ্ধ
আবহাওয়াতে হাটার অনুভূতিটা যে কতটা মধুর তা
বুঝতে খুব বেশি সময় লাগল না।।শীতল বাতাস শরীরকে
ছুয়ে দিচ্ছে পরম মমতায়।। অসাধারণ সেই অনুভূতি।।
হাটতে হাটতে পৌছে গেলাম হোটেলে।।সবাই ঘুম
থেকে উঠে গেছে।।আমরাও তারাতারি ফ্রেশ হয়ে
ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম।। তার কিছুক্ষন পরেই আমরা
হোটেল ত্যাগ করলাম নতুন কোন সৌন্দর্য উপভোগের
আশায়।। তবে উপভোগের পূর্বে করতে হবে ভোগ।।তাই
স্থানীয় একটা খাবার হোটেলে আমরা সকালের
নাস্তা করলাম।।পরোটা ও সবজি।। নাস্তা করে আমরা
সকলে পৌছে গেলাম আগের দিনের সেই চুনা
পাথরের লেকে।। গতদিন অন্ধকারের জন্য যা করা হয়নি
তা করতে ব্যস্ত হয়ে পরল সবাই।।আর তা হল লেকটির
সৌন্দর্যকে ফ্রেম বন্দি করা।।বেশ কিছু সময় ছবি
তোলার পর আমরা একটা ঝরনা দেখার জন্য অগ্রগামী
হলাম।।

অনেকক্ষণ হাটার পর যখন একজনকে জিজ্ঞেস করা হল
ঝরনাটা কতদূর?? সে বলল আর ৫মিনিট হেটে গেলাই
ঝরনা পাওয়া যাবে।। আবার হাটতে শুরু করলাম।। কিন্তু
৫মিনিট আর শেষ হয়না।।যতবারই কাওকে জিজ্ঞেস
করা হয় সবাই বলে ৫মিনিট, কিন্তু এই ৫মিনিট আর শেষ
হচ্ছে না।। অবশেষে চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের
সহযোগীতায় প্রায় আধা ঘন্টা হাটার পর আমরা
পৌছালাম সেই ঝরনায়।। ঝরনাটা খুব বড় বা উঁচু না তবে
দেখতে বেশ সুন্দর এবং এর পানি খুবই পরিস্কার এবং
শীতল।। পানি একদম কাঁচের মত পরিস্কার।। তবে মজার
ব্যাপার হল ঝরনাটার অবস্থান আসলে ভারতে।।অর্থাৎ
আমরা তখন ভারতের ভূখণ্ডে দারিয়ে।। ঝরনার একটু
সামনেই রয়েছে দেশ বিভাগের পিলার।।যার
একদিকে লেখা বাংলাদেশ এবং অন্যদিকে লেখা
ভারত।। যাই হোক ঝরনার শীতল পানিতে গা না
ভিজালেই না।।তাই আমরা কয়েকজন সকালের মিষ্টি
রোদে ঝরনার শীতল পানিতে গোসল সেরে নিলাম।।
পানি ছেড়ে ওঠার ইচ্ছা না থাকলেও উঠতে হল।।এরপর
চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলে আমাদের চা পান
করিয়ে এবং আবার এখানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে
বিদায় জানাল।।

এবার আমরা সকলে নৌকায় গিয়ে উঠলাম।।সূর্য মামা
তখন বেশ গরম পরিবেশ সৃষ্টি করে ফেলেছে।। তাই
সকলে নৌকার ছাউনির ভিতরে বসলাম।।মাঝি আবার
ননৌকা ভাসিয়ে দিল টাঙ্গুয়ার বুকে।।আমাদের
যাত্রা এখন বারেক্কা টিলার উদ্দেশ্যে।। এর আসল নাম
আসলে বারেক সাহেবের টিলা তবে স্থানীয়্রা একে
বারেক্কা টিলা বলেই ডাকে।। অনেক আগে এই
বারেক সাহেব এই এলাকায় বাস করতেন এবং বেশ
সুনাম অর্জন করায় তার নামেই টিলাটির নাম দেওয়া
হয় বারেক্কা টিলা।। কালকের টাঙ্গুয়ার রূপের সাথে
আজকের রূপের কোন অমিল নেই তবুও আমি দুচোখ ভরে
দেখতে থাকলাম এর সৌন্দর্য।।
প্রায় একঘণ্টা যাত্রা করার পর প্রিয় টাঙ্গুয়াকে
বিদায় জানিয়ে আমরা প্রবেশ করলাম জাদুকাটা
নদীতে।।ততক্ষণে আমি নৌকার উপরে চলে এসেছি এই
নদীর সৌন্দর্য নয়ন ভরে দেখতে।।এ নদী যেন জাদুর মতই
সুন্দর।। অপরূপ এর সৌন্দর্য।।এই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হওয়া
ছাড়া কোন উপায় নেই।।এ নদীর পাশেই বারেক্কা
টিলার অবস্থান।। নদীর পাশাপাশি আকাশও যেন
আমাদের মুগ্ধ করতে ব্যস্ত হয়ে গেল।। নীল আকাশে
সাদা মেঘ খেলা দেখে মনে হচ্ছে নীল সাগরে
অসংখ্য সাদা রাঙের ভেলা ভেসে বেরাচ্ছে।।
আকাশ ও নদী উভয়ে মিলে এমন এক রূপ তৈরি করল যা
শুধু শিল্পীর হাতে আঁকা দৃশ্যেই দেখা যায়।।
জাদুকাটা নদী দিয়ে আমরা পৌছালাম বারেক্কা
টিলায়।।

টিলাটি যেন একটি দ্বিপ।। দুপাশে পানি আর আর
মধ্যেখানে ঠায় দারিয়ে আছে এই অপরূপ টিলা।।
টিলার উপর থেকে জাদুকাটা নদী দেখতে আরও সুন্দর
আরও অপরূপ।। নদীজুরে ছোট ছোট নৌকার ছড়াছড়ি নদীর
সৌন্দর্যে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।। সত্যিই এই
নদী জাদুর মত সুন্দর।।এজন্যই হয়ত এর নাম দেওয়া হয়েছে
জাদুকাটা।। এই অপরূপ সৌন্দর্যকে ফ্রেম বন্দি করতে
কারো ভুল হল না।। জাদুকাটা নদীর এক পাশে অনেক
মানুষ নদী থেকে কয়লা আরহন করছে।। এটাই এখানকার
মানুষের একটি সাধারণ জীবিকা।। কয়লা সংগ্রহ করেই
অনেকে জীবন নির্বাহ করে।।

বেশ কিছু সময় আমরা টিলায় কাটালাম।।এরপর আবার
নৌকায় উঠে পরলাম।।টিলার পার্শ্ববর্তী একটি
গ্রামেই আমাদের নৌকা যাত্রা শেষ হল।। এই গ্রামেই
আমরা দুপুরের খাবার খাব।। দুপুর তখন দময়ের সাথে
সাথে বিকালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।। বেশ
খোঁজাখুঁজির পর দুইটা হোটেল পাওয়া গেল তবে এদের
কোনটাই পনের জন মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করতে
পারবে না।।তাই আমরা দুইটি দলে ভাগ হয়ে পৃথক
হোটেলে ভাত মুরগির মাংস ও ডাল দিয়ে দুপুরের
খাবার শেষ করলাম।। খাবার শেষে নৌকার মাঝি
কামরুলকে আমরা বিদায় জানালাম।। এবার আমাদের
করতে হবে ফিরতি যাত্রা।। হোটেলের মালিকই
আমাদের যাওয়ার জন্য মটরসাইকেলের ব্যবস্থা করল।।
এবারও ঠিক আগের মতই সাতটি মটরসাইকেলে আমরা
যাত্রা করলাম।।এরাই আমাদের নিয়ে যাবে সেই
বৈঠা খালির ঘাটে।। কিন্তু পথিমধ্যে একটা আশ্রম
আছে।।যাওয়ার সময় সেই আশ্রমটা আমরা দেখে যাব।।
গ্রামের আঁকাবাঁকা ও গাছে ঘেরা পথের মধ্য দিয়ে
অল্পসময়েই আমরা আশ্রমে পৌছালাম।। আশ্রমটির
পরিবেশ খুবই মনোরম।। সুসজ্জিত গাছপালায় ঘেরা।।
যেন একটি পার্ক।। আশ্রম থেকে ভারত বাংলাদেশের
মধ্যকার বর্ডারের তারকাটা যেমন দেখা যায়
তেমনি মেঘালয় পাহাড়ও এখান থেকে স্পষ্ট দেখা
যায়।। এই মনোরম পরিবেশে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে
আমরা আবার আমাদের যাত্রা শুরু করলাম।। আমাদের
যাত্রার সময়কাল যতটা দীর্ঘ হচ্ছে মেঘালয় যেন
আমাদের থেকে ততই দূরে সরে যাচ্ছে।। আমাদের
রাস্তাটি গ্রাম্য হলেও পাকা রাস্তা তবে রাস্তার
অবস্থা বেশি ভাল না।। প্রায় একঘণ্টা যাত্রার পর
আমরা পৌছে গেলাম বৈঠা খালির ঘাটে।।এখানেই
মটরসাইকেল যাত্রার সমাপ্তি হল।। এবার ঘাট পার
করে ঠিক প্রথম দিনের যাত্রার মত করে আমরা পৌছে
গেলাম সুনামগঞ্জ পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে।।

বেলা তখন বিকাল গরিয়ে সন্ধ্যা।। আমাদের ঢাকা
ফেরার বাস রাত ১০টায়।।অর্থাৎ হাতে বেশ কিছুটা
সময় আছে।। তাহসিন ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে
পারলাম কাছেই আছে বিখ্যাত হাসন রাজার একটি
বাড়ি।। সেটি দেখতেই আমি,মাসুদ আঙ্কল, রাসেল
ভাই এবং আশরাফ ভাই বেরিয়ে পরলাম।।পথ খুজে খুজে
যেতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল।। যখন আমরা সেখানে
পৌছালাম তার কিছুক্ষন পূর্বেই বাড়িটি বন্ধ হয়ে
গেছে।। সঠিক তথ্য জানা না থাকলে ভ্রমণে এধরনের
অভিজ্ঞতা হওয়া স্বাভাবিক।। তাই আমরা আবার
সেখান থেকে ফিরে আসলাম।।তবে এটা বলতেই হবে
সুনামগঞ্জ শহরটা বেশ গোছানো এবং পরিস্কার।।
রাস্তা দিয়ে হাটতে বেশ ভালই লাগছিল।। ফিরে
এসে বাস কাউন্টারে কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর
আমরা সামনের হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে
নিলাম।।

বাস আসার তখন আর অল্প কিছু সময় বাকি।। পরবর্তী
দিনে শান্ত এই পরিবেশ ছেড়ে আমরা চলে আসব
যান্ত্রিক ঢাকায়।। সুনামগঞ্জ থেকে নিয়ে যাচ্ছি মধূর
কিছু স্মৃতি।।যার শুরু হয় তার শেষও হয়।।তবে আমি মনে
করি প্রতিটা শেষই হয় নতুন এক শুরুর জন্য।। বাসে উঠে
ফিরতি যাত্রার মাধ্যমেই শেষ হল আমাদের প্রিয়
টাঙ্গুয়া ভ্রমণ।। বেঁচে থাকলে আবার আসব টাঙ্গুয়ার এই
অপরূপ সৌন্দর্য আহরণ করতে,প্রিয় এই টাঙ্গুয়াকে
আলিঙ্গন করতে।।।।।।।।।।।।।

*****সমাপ্ত*****
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×