(1st part)
ছুটে চলার সপ্ন পূরনের ২য় পদক্ষেপটা নেওয়া হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই।।কিন্তু এই পদক্ষেপের অভিজ্ঞতাগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়নি বিভিন্ন কারনে।। কিছুদিন আগে খেয়াল করলাম অভিজ্ঞতার স্মৃতি দিনে দিনে যেন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে।। তাই আজ স্মৃতিগুলোকে অমরত্ম দানের উদ্দেশ্যে শ্রীমঙ্গল অভিযানকে লিপিব্দধ করার চেষ্টা করছি।।
আজ ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫।। কিন্তু আমি যে দিনগুলির কথা লিখতে যাচ্ছি তা কয়েকমাস পূর্বের।। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সবেমাত্র শেষ হল।।পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই শ্রীমঙ্গল যাওয়া নিয়ে বন্ধুদের সাথে আলাপ হয় এবং অনেক আলাপ আলোচনার পরে ঠিক হয় তেশরা জুন আমরা শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশে রউনা হব।। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত ৩ তারিখ বুধবার হওয়ায় এবং এই দিন এ সিলেটগামী রাতের উপবন এক্সপ্রেস বন্ধ থায় আমাদের যাত্রা একদিন বিলম্বিত হল।।
৪তারিখ রাতে রউনা হওয়ার জন্য সন্ধ্যার আগেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হল।।ছুটে চলার এই পথে আমার সঙ্গী এবার ফাহিম,মাহাদী,মাজেদ,সামির,আকিব ও জয়।।এদের মধ্যে প্রথম তিনজন আমার বন্ধু এবং বাকিরা তখন সুধুই ফাহিমের এলাকার ছোট ভাই যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা সদ্য পাস করেছে।। বের হওয়ার কিছুক্ষন আগেও সব কিছু ঠিকি ছিল।।কিন্তু মানুষ ঠিকই বলে দুঃসংবাদ আসার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই।।যখন বাসা থেকে বের হব তখনি জানতে পারলাম মাজেদের মামা ইন্তেকাল করেছেন।।অগত্যা মাজেদ আর আমাদের সাথে যেতে পারছে না।।মনটা খারাপ হয়ে গেল।।কি আর করার বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে মাজেদকে ছারাই আমাদের যাত্রা করতে হবে।।
আমি স্টেশনে পৌছালাম ঠিক রাত ৮টা ১০ এ।।আমার আগেই সেখানে পৌছেছে মাহাদী।।মাহাদীর সাথে দেখা হওয়ার পর তার সাথেই গল্পগুজব ছলছিল।।ট্রেন আসতে আখন বেশ কিছুটা সময় বাকি।।আমি এবং মাহাদী অনেক আগেই চলে এসেছি।। আমরা আসার প্রায় এক ঘন্টা পর ফাহিম,সামির,আকিব ও জয় আসলো।। ছোট ভাইদের পরিধেয় দেখে যে খুব বেশি খুশি হলাম তা না।। দেখে বোঝাই যাচ্ছিল যে সবাই বেশ আধুনিক এবং ফ্যশনপ্রিয়।।কিন্তু আমরা যেখানে যেতে চাচ্ছি সেখানে আধুনিকতার ছিটে ফোটাও নেই।। যাই হোক কিছুক্ষনের মদ্ধেই আলাপ হয়ে গেল।।আসলে ছেলেগুলো বেশ ভালই।। এখন যাত্রাপথে কোন সমস্যা না করলেই হয়।। :p
ঠিক ১০টা বেজে ১৯মিনিটে ট্রেন আসলো।। উপবন এক্ষপ্রেস।।আমাদের টিকিট অনুযায়ী বগীতে উঠে নিজেদের সিটে বসে পরলাম।। ১০টা ৩০এ ট্রেন বিমান বন্দর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল।।শুরু হল আমাদের শ্রীমঙ্গল অভিযান।।সবকিছু ঠিক থাকলে তিন দিনেই আমাদের এই অভিযান সম্পূর্ণ হবে।।
ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই সবাই নিজেদের সিট ছেড়ে সামনাসামনি দুটি বেঞ্চে বসলাম।।দুটি বেঞ্চে তিনজন করে মোট ছয়জন বসতে তেমন কোন কষ্ট হল না।।শুরু হল গলগুজব ও আড্ডা।।কিছুক্ষনের মধ্যেই অপরিচিত তিন ছোট বন্ধুকে পূর্ব পরিচিত ঘনিষ্ঠ বন্ধুই মনে হল।।ট্রেনের বগীর হাইড্রোজেন লাইট যেন আমাদের আড্ডার পরিবেশকে আরও সুন্দর করছে।।একের পর এক স্টেশন অতিক্রম করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলছি।।কিন্তু আমাদের যাত্রায় বাধ সাঝল ক্রসিং ওভার।। সম্পূর্ণ রাস্তায় আমরা এতবার ক্রসিং ওভারের শিকার হলাম যে সবাই বিরক্ত বোধ করছিলাম।।বিরক্তির পরিমাণটা আমারই হয়ত সবচেয়ে কম।। কারন................