প্রথম ক্রুসেডের পর যখন খ্রিস্টান দের হাতে জেরুজালেমের পতন হল , তখন তারা জেরুজালেমে রক্তের বন্যা বইয়ে দেয় , নারী ও বাচ্চাদের কেও তারা রেহাই দেননি । ধারণা করা হয় সেয় সময়ে ১ লক্ষ রেও বেশি নিরিহ জনগন এই হত্যার শিকার হন ,কিন্তু সুলতান সালাউদ্দিন আয়ুইবি যখন জেরুজালেম দখল করেন , তিনি যে আচারন করেন তা খ্রিস্টান রাও স্বীকার করে , তিনি সামান্য মুক্তিপনের বিনিময়ে সবাইকে ছেড়ে দেন এমনকি যাঁদের মুক্তিপন দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না তাদের মুক্তিপন তিনি নিজে আদায় করে দেন , যার যার সম্পত্তি নিয়ে প্রস্থান করার অনুমতি দান করেন ।
অথচ লায়ন হার্ট বলে পরিচিত ইংল্যান্ড এর রাজা রিচার্ড যখন আরেকটি শহর আক্রে দখল করেন তিনিও সেইখানে রক্তের বন্যা বইয়ে দেন ।
আজকে গাজা ইহুদি দের দখলে , কেও যদি সেই দিন গুলি র সাথে এখন তুলনা করে তাদের স্বভাব এবং ভিতরে অন্তনিহিত দুরভিসন্ধি সহজেই টের পাবে ।
ইহুদিরা এমন এক জাতি যারা নিজেদের কে তাদের কর্মের দারা সবার কাছে আলাদা জাতি হিশাবে পরিচিত ক্রুসেদের সময় তারা খ্রিস্টান দের সাথে মিলে গিয়ে পোপ কর্তৃক টেম্পলার হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে গণহত্যায় মেতে উঠে , অথচ সেই জুগে মুসলমান সম্রাজ্জে তারা বেশ আরামেই দিনাতিপাত করেছিল ।
আমি কোন একবার ছাত্র জীবনে বলেছিলাম হেইল টু হিটলার , তা শুনে এক সহপাঠী বলেছিল তুমি তওবা করো , কেননা হিটলার যা করেছিল তা যদি সত্য হয় তাহলে তা সমর্থন যোগ্য নয় , কারণ তা একজন মুসলমানের ব্যাবহার নয় । আজকের এই পরিস্থিতির জন্য মুসলমান নিজেরাই দায়ি , দ্বীনহীন ব্যাক্তির দোয়া এবং জিহাদ কোনটাই কাজে লাগবে না ।
প্রকৃত মুসলমানের আখলাক, ইবাদত এবং দোয়ার মধ্যে আল্লাহ যে শক্তি দিয়েছেন তার সমতুল্য অন্য কোন শক্তি হবে না ।
রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস , আশুন দোয়া করি তাদের জন্য , যারা জীবিত আছেন তাদের কষ্ট আল্লাহ তাআলা লাঘব করুন , আর যারা পরলোকে গমন করেছেন তাদেরকে আল্লাহ তাআলা বেহেশত নসিব করুন ।