আমার বড়বোনের আজকে গলব্লাডার অপারেশন হলো। আজকের আগে পর্যন্ত খালি শুনতাম গলব্লাডার কেটে ফেলে দেওয়া/অপারেশন করা, ইত্যাদি, আপনজনের মাঝে এই প্রথম দেখলাম। আমার ভাইবোনরা, এমনকি বোনের ছেলেও অফিস/চাকরি নিয়ে সাংঘাতিক ব্যস্ত থাকে। তবু একটা ক্রাইসিস এর সময় টের পাওয়া যায় "ফ্যামিলি" কী জিনিস!
অনেক ভাইবোন থাকার বেনেফিট টা তখন খুব টের পাই। অটোমেটিকালি ডিউটি ভাগ হয়ে যায়, হাসপাতালে রোগীকে ঘিরে ছোটখাটো একটা আড্ডাও জমে যায়। দেখা যায় পেটের অকল্পনীয় ব্যাথা নিয়ে, নাকে অক্সিজেন নিয়ে-ও বড়আপা নিজেই আমাদের হাসি-ঠাট্টায় যোগ দিচ্ছে।
সারাবছরে সবাই একসাথে হওয়ার সময়-সূযোগ তেমন হয়না, কর্পোরেট-এর দাসত্বে বন্দী মোটামুটি সবাই (আমি বাদে সবাই
আমার আম্মু দু্ই বছর আগে সীরিয়াস অসুস্থ হয়ে প্রায় ৩ সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন...তখন তো কেবিনে রীতিমত পার্টি পার্টি পরিবেশ! আমার তাই মাঝে মাঝে মনে হয় "অনেক" ভাইবোন থাকলে এটা খুব লাভ, আরো ভালো লাগে সবাই দেশে থাকলে।
আমার শশুরবাড়ীতেও ১৪ বছর পর গত রোজার ঈদে প্রবাসী-দেশী সব ভাইবোন একসাথে হলো। সত্যি, আমার বিয়ের পরে এই প্রথম এতো হইহুল্লোড় দেখলাম ঐবাসায়।
আস্তে আস্তে এই আনন্দটা হারিয়ে যাবে।নেক্সট জেনারেশনেই এই "ফ্যামিলি" কে ঘিরে "আনন্দবন্ধন" উড়ে যাবে।ভাইবোন ম্যাক্সিমাম দুইজন, তা-ও যে-যার জগত নিয়ে ব্যস্ত। বাবা-মার সাথেও আজকাল বাচ্চাদের গ্যাপ অনেক বাড়ছে। দেখা যায় "ফ্যামিলি" র চাইতে "বন্ধু"/"কলিগ" রাই প্রাধাণ্য পায় বেশি।পরিবারপ্রথা উঠে গেছে অলরেডী।জয়েন্ট ফ্যামিলি আর কি দেখা যায়?এমনকি স্বামী-স্ত্রীর একসাথে থাকা নিয়েই জটিলতা এখন ঘরে ঘরে।
ভাবলেই কেমন মন খারাপ হয়ে যায়!!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




