somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জুলিয়া নামের মেয়েটি, আমায় পাঠালো কবিতা-চিঠি!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জুলিয়া নামের ইউক্রেনের একটি মেয়ে আমাকে একটি চমৎকার কবিতা পাঠিয়েছিলো, যার অনুবাদ সামুতে পোস্ট করেছিলাম ক'দিন আগে। প্রথম আলো ব্লগেও। সবাই উচ্চসিত প্রশংসা করেছে তার কবিতার।

সেই মেয়ে আমাকে নিবেদিত তার দ্বিতীয় এই কবিতাটি গতকাল পাঠিয়েছে, যার অনুবাদ নিচে দিলাম।

অনেকে প্রশ্ন করেন--এটা কার লেখা? আমারও জানা ছিলো না তা, কিন্তু মেয়েটি বলেছে সেই নাকি লিখেছে। যাহোক, ভালো একটা সাহিত্যকর্ম তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য।...

তার আগের চমৎকার কবিতাটি যারা পড়েননি, তারা সত্যি মিস করেছেন। তাই তার লিঙ্ক দিলাম এখানে

You and I are connected
in a way that goes beyond romance,
beyond friendship,
beyond what we've ever had before.
It has defied time, distance,
and changes in ourselves
and in our lives.
It has defied every explanation.
Except one:
Pure and simply, we're soul mates.

I can't explain, I just feel it.
It's there in the way my spirits lift
whenever we talk.
The sound of your voice brings me home,
in a way I can't explain.
It's in the delight I feel, when we laugh
at exactly the same things.
When I'm with you,
it's like a tiny piece of the universe
shifts into place.
A place it's supposed to be,
and all is right with the world.

These things and so many more,
have made me understand
that this is a once in a lifetime,
forever connection.
A connection that could only exist
between you and me.
And deep in my soul,
I know that our relationship
is a rare gift.
One that brings us
extraordinary happiness
all through our lives.

এক বিরল উপহার

তুমি আর আমি এক হয়ে গেছি,
ঠিক সেইভাবে
যা ছাড়িয়ে যায় প্রণয়,
ছাড়িয়ে যায় বন্ধুত্ব, তার লয়,
ছাড়িয়ে যায়, যা কিছু ছিলো
আমাদের অতীত, তার যেনো সবটাই।

আমাদের সংযুক্তি এবং একাত্বতা
সময় ও দূরত্বকে মানিয়েছে হার
পরাভূত করেছে আমাদের জীবনকে আর
আমাদের জীবনের সব পরিবর্তন।
ব্যাখ্যাতীতভাবে পরাজিত ব্যাখ্যাসকল,
এতকিছুর মাঝেও থাকে শুধু এক ব্যতিক্রম,
সাধারন কোনো অসাধারনত্বে, আমরা পরমাত্মীয়।

আমার কাছে এর কোনও ব্যাখ্যা নেই,
শুধু অনুভবে বুঝি,
যখনই কথা হয়, যতবার কথা হয়
প্রফুল্লতা আমার ক্রমশই বেড়ে চলে---
তোমার কন্ঠস্বর আমায় সতত ঘরে ফেরায়।
কীভাবে, কোন উপায়ে, সত্যিই তা ব্যাখ্যাতীত।

যখনই আমরা হাসি,
উদ্বেলিত হই অনুভবে আর আনন্দে
তাও যেনো আমার ফিরে আসা সেইভাবে
আমারই আপন ভূবনে।
তোমার সাথে আমার থাকা, আমার সাথে তোমার,
তা যেনো ঠিক মহাবিশ্বের ছোট্ট এক টুকরো অবস্থান
আমার সাথে, আমার মাঝে,
যা থাকার কথা ছিল, শুধু এখানেই আর
আমার পৃথিবীর সব যেনো, ঠিক থাকে শুধুই তখন।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এ বিষয়গুলো সব
এবং তার সাথে আরো অনেক কিছুই-
আমাকে বুঝতে শিখিয়েছে, দিয়েছে সে অনুভব,
তোমার আমার যে সংযুক্তি-সম্পৃক্ততা,
এটা সেই সে অলীক সেতুবন্ধন
এক জীবনে শুধু একবারই, যা সম্ভব ।
এটা সেই যোগাযোগ, এটা সেই কাঙ্খিত টানাপোড়ন
যা টিকে থাকে সতত,
শুধুই তোমার আর আমার মাঝে
এবং আমাদের হৃদয়ের গভীরে, আরো গভীরে।

এ আমি সহজাতেই জানি,
আমাদের সম্পর্ক এক বিরল উপহার
যা আমাদের মাঝে বয়ে আনে
অনন্য সাধারন সুখ আর সুখের ফল্গুধারা
আমাদের জীবনভর।


(কৃতজ্ঞতা-বাতায়ন এ আমরা কজন )

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×