ইয়াজিদি শিশু আজিজ মারা গেল শেষমেশ
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আজিজের মা বাবা বাধ্য হয়েছিল শিঞ্জির পর্বতমালায় আজিজকে ত্যাগ করতে কারন সে জন্ম থেকেই পঙ্গু।আজিজকে বহন করা নাকি তাদের জন্য অসম্ভব ছিল । ১৪দিন যাবত শিশুটির কোন নাম ছিলনা, ছিলনা পানি ও খাবার । প্রখর সূর্যের তাপ আজিজের চোখ দুটির ক্ষতি করেছিলো। তবুও আজিজ বেচেছিল ঈশ্বরের অনুগ্রহে । সিরিয়া ও ইরাক বর্ডারের এই নো ম্যান্স ল্যান্ডে অগ্রসরমান আই এস এর ঘাতক যোদ্ধারা পৌঁছানোর আগেই সবাই সরে পড়ছিল আরও নিরাপদ অবস্থানে । পঙ্গু আজিজ বোঝা হয়ে দাঁড়ালো তার নির্দয় বাবা মার জন্য। তারা তাকে ওই পাহাড়ে রেখেই ত্যাগ করল রিফিউজি ক্যাম্প। কুর্দি মুক্তিসেনারা দখল নিল ওই জায়গার। তারা দেখল একটি অর্ধমৃত শিশু পড়ে আছে একাকী। দ্রুত তাকে সিরিয়ার একটি হাসপাতালে পাঠাল। চিকিৎসা পেল আজিজ। তার পানিশূন্যতা এতটাই বেশী যে এতে তার কিডনি দুর্বল হয়ে গিয়েছিলো। খুব দ্রুত ওর ছবি ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক সাইটে চলে এলো। প্রতিবেশিরা আজিজের বাবাকে জানাল এই খবর। নির্দয় এই বাবা রওনা হল কুর্দিশদের নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার এই হাসপাতালে। কিন্তু পিতা জালালের জন্য দেরি হয়ে গেছে । সে পৌঁছানোর আগেই ভোরবেলা আজিজ দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল পরপারে।
ভালই হল, এইরকম পশু বাবা আর মার সাথে না থাকাই উত্তম।
সামাজিক সাইটগুলো হারিয়ে যাওয়া মানুষকে কিভাবে সাহায্য করে আপনজনের খবর পেতে তার বড় প্রমান শিশু আজিজ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫
সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে...
...বাকিটুকু পড়ুন কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে
চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা:
http://www.peakpx.com এর প্রতি।
আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর...
...বাকিটুকু পড়ুন এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার...
...বাকিটুকু পড়ুন