[ধানসিঁড়ি নদীতীর থেকে তোলা অপূর্ব একটা ছবি। ছবি তোলক :ছাইরাছ হেলাল]
কবিতায় যাই:
একটা লেখা আটকে ছিল, আটকে কবি'র মাথার ভিতর
দিচ্ছিল না থাকতে তারা শান্তিতে আর - কী স্বার্থপর !
কবি তখন নদীর কাছে বলতে গেল সেসব কথা,
কিন্তু নদী কবি'র তরেই বলল তখন কী অন্যথা -
ভাবল কবি, নদীর কথাই নিজের মত লিখি যদি,
হোক না সেটা স্রোতের মত, হোক না তখন কবি'ই নদী !
এই না ভেবে কবি যখন লিখবে বলে আত্মহারা
আকাশ থেকে উঠল হেসে সন্ধ্যা-রাতের একটা তারা !
আকাশটাও ঠাঁয় তাকিয়ে কবি'র অমন নদীর ঘাটে
কবি তখন একলা বসে, আর কেউ নেই সে তল্লাটে;
লিখতে গিয়ে নদীর কথা, কবি শুধু নিজেকে পায় -
লিখতে গিয়ে নিজের কথা, নদীর মাঝেই কবি হারায় !
অমনি তখন আকাশটাও নেমে এল নদীর কাছে !
অমনি তখন বাতাসটাও দেখতে এল, 'আর কী আছে?'
কবি তখন খুঁজছে কিছু, দিগন্তে চোখ - সুদূরপানে
খুঁজছে কী যে কবি'র দু'চোখ - তা বুঝি সেই কবি'ই জানে !
বাতাস তখন অপেক্ষাতে, আকাশটাও দাঁড়িয়ে ঠাঁয়,
সন্ধ্যার চাঁদ মেঘগুলোকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছিল প্রায়...
ঠিক তখনই ঘোর'টা ভেঙে কবি হঠাৎ উঠে দাঁড়ায় -
সবাই সজাগ - লিখছে কবি - গাছের পাতার নীরবতায়;
কবি তখন লিখেই যাচ্ছে; 'কার তরে?' - কে বলতে পারে?
আকাশ'টা চোখ কচলে দেখে, বাতাস এসে উঁকি মারে।
কবি হাসে, "দুষ্টু বাতাস, অমন করে নিস না পিছু,
নিজের তরেই লিখছি এবার - লুকানোর আর নেই তো কিছু !"
উৎসর্গ : ধানসিঁড়ি তীরের কবি ছাইরাছ হেলাল-কে।
আর, আমার উৎসর্গ শুধু মুখের কথায় নয়। আমি এর আগে কখনও কোনও ব্লগপোস্ট কোনও ব্লগারকে উৎসর্গ করিনি। সরাসরি সাক্ষাতে বেশ ক'জনকে ইন্সট্যান্ট লিখে দিয়েছি, কারও বইয়ের পাতায়, কারও টুকরো কাগজে; আর দু'একটা বাদে আমি সেসব কবিতা ভুলেও গেছি, ওগুলো এখন তাদের। ব্লগপোস্টের উৎসর্গেও এর ব্যতিক্রম হবার নয়। উৎসর্গ করার মানে, এ লেখা আমি নিজের নামে আর দাবি করার অধিকার রাখি না। উপহার যে দেয়, তা কি সে পুরোপুরিই দেয় না?
এছাড়া, রবি'ঠাকুর তো বলেই গেছেন, "অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মত এমন বিড়ম্বনা..." ইত্যাদি ইত্যাদি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






