somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২৪ জন সহব্লগারের কবিতা'র বই

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(এই পোস্টের সকল অনুভূতির প্রকাশ লেখকের একান্তই ব্যক্তিগত। সবার সবটা ভাল লাগার আশা লেখকও করে না অবশ্যই)

এবারই প্রথম বইমেলা, যেখানে আমি এমন সব লেখদের বই কিনতে যাচ্ছি - যাদেরকে অনেককে আমি চিনি। চেনা বলতে পুরোটাই এই ব্লগের সূত্র ধরে। যেসব বইয়ের কথা বলব, সেসব বই নিয়ে এর মাঝেই অনেক পোস্ট হয়ে গিয়েছে দেখছি। আমার পোস্ট পড়ে কেউ সেসব বই চিনবে - এই আশা তাই করছি না আপাতত। তবু বলতে আসলাম সেই বইগুলো আর কবিদের কথা। আমার মত করে - আমি যা দেখেছি, যেমন জেনেছি।

ভূমিকা শেষ। বই-য়ের কথায় চলে যাই:

১। একজন স্বদেশ-এর কথা:



স্বদেশ হাসনাইন। পেশায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী, কিন্তু আমাদের কাছে শুধুই কবি। খুবই প্রিয় একজন কবি।

এবারের বইমেলায় দেখলাম অনেক কবি'কেই। যদিও আমি বিচক্ষণ সব মানুষের মাঝে বেশিক্ষণ থাকতে খুব অস্বস্তি বোধ করি, তবু একদিন এক সহব্লগার (সেও কবি) ধরে নিয়ে গেল লিটলম্যাগে কবিদের এক আড্ডায়। খানিকবাদেই তারা সবাই মিলে বাংলা কবিতা'র ভূত-ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন এক বিমূর্ত বিস্তারিত আলোচনা উপস্থিত করলেন যে, আমি ক্রমাগত ডাইনে-বাঁয়ে তাকাতে শুরু করলাম। কোনদিকে ভীড় বেশি। কোনদিকে পালালে সহজে কেউ খেয়াল করবে না ! তো এই হল আমার অবস্থা !
এর মাঝে স্বদেশ হাসনাইনের সাথে দেখা হওয়াটা আমার জন্য সত্যিই ছিল আনন্দের একটা ব্যাপার। লেখায় গভীরতা আর কথায় সরলতা - এ চমৎকার ব্যাপারটার কারণে প্রিয় কবি একজন প্রিয় মানুষও হয়ে গেলেন। খুব বেশিক্ষন কথা হয়নি, তবু ওই অল্প আলাপেই নিত্য যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি হয়ে গেল।

তাঁর কবিতা পাঠকের কাছে পরিচিত করে দেয়ার আমি কেউ না, আমি নিজে পাঠক হিসেবে যা বলার বলছি। কবি স্বদেশের ছোট্ট পরিসরের এই বইটার কবিতাগুলো অনেক শক্তিশালী, অল্প কথায় গল্প বলে যায় পুরোটাই। মানুষ গল্প-উপন্যাস পড়ার সময় চরিত্রগুলোর কাছাকাছি চলে যায়, সুখ-দুঃখ টের পেতে শুরু করে; কবি স্বদেশ ছোট একটা কবিতার মাঝেই এই বোধটা নিয়ে আসতে পারেন আশ্চর্যভাবে ! অনেকের কবিতার মত তা শুধু ভাবকে নাড়া দেয় না, দৃশ্যগুলোও দেখিয়ে যায় ! এবং এটা আমার ভাল লাগে অনেক।

কবি'র দেয়া অটোগ্রাফসহ বইটা নিয়ে যেদিন ফিরেছি, ঘুমাতে রাত হল, তাই এর মাঝে বইটা ওল্টাতে লাগলাম। কী সব দৃশ্য - আমি আর থামতে পারি না। জ্বর আসছিল, শুয়ে পড়া দরকার। বইটা রাখলাম আপাতত। তবু মাথা'র ভিতর যেন লাইন কতগুলো স্টিকি হয়ে ছিল। ছোট্ট পাড়ার কুয়ো'র জল, ইট খসানো পলেস্তারা, ইলেক্ট্রিকের তারে কাক - সমস্তটা নিয়ে মাথা নষ্ট করে দিচ্ছিল ! কয়লা শ্রমিক সস্তা মানুষ, নিলিন পিসি - এইসব মানুষগুলোও যেন চারপাশ থেকে তাকিয়ে ছিল ! আর কানের ভেতর অবিরাম অবিরাম কে যেন ফিসফিস করছিল:

"সুবর্ণাদি সতীশ লেনের
বেঁচে আছ?"

বইটা ভাল না লাগার কোনও কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
(লিটল ম্যাগ চত্বরে "ভনে প্রকাশ" স্টলে পাওয়া যাবে। মূল্য: ১০০ টাকা)



২। কী এক আশ্চর্য জলধারা:



মাহী ফ্লোরা। আরেকজন ব্লগার, যার কবিতা'র শক্তিমত্তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু অন্য কবিদের তুলনা'য় মাহী'র লেখায় আমার যে বিষয়টা একদম আলাদা লেগেছে সেটা হল মমত্ববোধ। মাহী'র লেখাগুলো গাঢ় মমতায় লেখা - সেটা টের পাওয়া যায়। তার তীব্র কবিতায় যতটা না থাকে রাগ, তার চেয়ে বেশি থাকে দুঃখবোধ; তার প্রেমের কবিতায় থাকে প্রার্থনা, তার সব হারানোর কবিতাতেও সে হারিয়ে যাওয়টাকেও আদরেই দেখে।

মাহী'র কবিতা অনেক কিছু সহ্য করে, কিন্তু সে নির্লিপ্ত নয়। কথা ঠিকই বলতে জানে নিজের মত। এটাই তার কবিতাকে পাঠকের কাছে নিয়ে যাবে খুব দ্রুত।

আমি যা বললাম সবটাই আমার মত। জানি না, মাহী নিজেই এরচে ভিন্নমত পোষণ করতেই পারে। তবে তার অনেক লেখাতেই আমার আচ্ছন্ন ভাব ছিল। ব্লগে পড়া আর বই পড়া সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। ক্রস-বাটনে ক্লিক করার পরই ব্লগে কী পড়লাম অনেক সময়ই সেটা আর থাকে না। বই থাকে সারাক্ষণ। বই সত্যি বন্ধুর মত পাশে থাকে। এই যেমন সেদিন খানিকটা মন খারাপের দুপুরে গীটার নিয়ে বসে আছি, কিছু হচ্ছে না। একটা বই টেনে নিতে গিয়ে এ বইটা নিলাম। পাতা উল্টিয়ে গেলাম ~

"একদিন চলন্তিকায় কিছু নতুন শব্দ ঢুকিয়ে
আমরা ফেরারী হয়ে যাব..."

বসন্তের তপ্ত দুপুরের মত চরম বেরসিক সময়। তবু কখন সুর তুলতে শুরু করলাম। এ-মাইনর স্কেলে...

যাক, সে আমার মনে নাই মনে নাই।

আশ্চর্য জলের তোড়ে কবে ভেসে গেল সমস্ত মন-খারাপ ! সত্যিই বুঝলাম, কী এক আশ্চর্য জলপ্রপাত !
(বইটি লিটল ম্যাগ চত্বরে "ভনে প্রকাশ" স্টলে পাওয়া যাবে। মূল্য: ১০০ টাকা।)



৩। মৌনতার মুখরতা:



রেজওয়ান মাহবুব তানিম। তবে বইয়ে কবি'র নাম আরেকটু সংক্ষিপ্ত : রেজওয়ান তানিম। এ আরেকজন ইন্জিনিয়ার ! B-)

তানিমের সাথে আমার ব্লগে পরিচয় অনেক আগে থেকেই। যখন তেমন কেউই আমার ব্লগে আসত না, তানিম তখনও নিয়মিত আসত, যোগাযোগ রাখত। তো বন্ধুর মতই আমরা একজন আরেকজনের ব্লগে সবসময়েই একটু হলেও খোঁচা দিয়ে কথা বলি। কবিতায় একটু হলেও খুঁত বের করে সেটা কমেন্টে লিখি ! এতদিনের ট্র্যাডিশন ভাঙা ঠিক না। তাই তানিমকে খোঁচা দিয়েই শুরু করি !

তানিম, তোমার বইয়ে ১৩ নম্বর পৃষ্ঠায় শেষ লাইনে যা বলেছ (শুধু শেষ লাইন'টা) - আমার মনে হয় ওভাবে না লিখলেও পারতে। ওটা ব্লগে লিখলে কিছু বলতাম না, কিন্তু এখন এটা বই, অনেক নতুন পাঠক যারা কখনও ব্লগে যাননি - তারাও এটা পড়বেন ! তাঁদের মজা'টা নিজেকেই খুঁজে পেতে দাও? যারা তোমার পুরানো পাঠক, তারা মজা'টা ঠিকই পাবে - তুমি না বললেও। যারা নতুন, তারা বরং এক্ষেত্রে খানিক ভুরু কুঁচকাবে, "কই মজা পেলাম নাকি? কেমনে কি?" রবি'ঠাকুর থাকলে এক লাইনে বলতেন, "যাহারা জানেন তাহাদের জন্য ইহা প্রকাশ করা বাহুল্য, আর যাহারা জানেন না, উহাদের নিকট প্রকাশ না করাই শ্রেয়"

কী এমন লেখা আছে ঐ লাইনে? পাঠক, জানতে হলে আপনাকে তানিমের বই'টা হাতে নিতে হবে ! :P

কবি হিসেবে, তানিমকে যতটা দেখেছি, সে কবিতা অন্তপ্রাণ। তার সুখ-দুঃখ-রাগ-আনন্দ সব'টা কবিতাকে নিয়েই। এই ছেলে জানে না, সে কবিতা'কে বিয়ে করে ফেলেছে ! আমি যখন দেখি তানিম কারও ওপর রেগে আছে, নিশ্চিত থাকি এর পেছনে কবিতা জড়িত। আবার সে যখন খুব আনন্দিত, তখনও সেটা কবিতার জন্যেই।

তানিম খুব মনোযোগী লেখক। আমার মত 'একটানে যা হয় একটা কিছু' লিখেই সে কাজ শেষ মনে করে না। সে পরিশ্রমী, আর পর্যাপ্ত ঘষা-মাজা করার ধৈর্য-শ্রম তার আছে। কবিতাকে সে সুন্দরতম করতে পারে।

তার ঘরে কবিতা আসবে না কেন?
(বইটি প্রকাশ করেছে "জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন"। মূল্য: ১১০ টাকা)



৪। ২১ মাত্রা:



২৪ জন সহব্লগারের কবিতা'র বই শিরোনামে পোস্ট শুরু করেছি। এর মাঝে ২১ জনই এই এক বইয়ে ! এ বইটা নিয়ে আমি আলাদা করে কী বলব জানি না। আমি নিজেও ২১ জনের একজন। নিরপেক্ষ থাকার প্রশ্নই আসে না ! তাই প্রশংসাসূচক কথা-বার্তা না বলে গল্পই বলি।

এই আনন্দযজ্ঞে আমাকে যে আমন্ত্রণ জানায় সেও একজন ইন্জিনিয়ার (ব্লগার মোঃ আরিফ রায়হান মাহি) B-) জানুয়ারী'র শেষের দিকে ওটা। লেখা দেবার শেষ সময় প্রায়। থতমত খেয়ে দু'টা পাঠিয়ে দিলাম তক্ষুণি। কোনও ধারণা নেই কী হতে চলেছে !

আর ধারণা ছিল না একদম বই হাতে পাবার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত ! পুরো কাজে আমরা বেশিরভাগই কেউ কারও সাথে একবার দেখা পর্যন্ত করিনি ! অনলাইনে লেখা জমা, নগদ জমা, প্রুফ দেখা, ডিজাইন-অলঙ্করণ থেকে কুরিয়ারে বইগুলো রাজধানী আসার আগ পর্যন্ত কেউ জানি না কোথায় কী !!! ব্লগ বা অনলাইনে অনেক প্লাটফর্মেই এখন এভাবে লেখা জমা হচ্ছে, কিন্তু আমাদের যে কোনও প্লাটফর্মও ছিল না ! আমরা আমরাই !

শেষতক যা হল, আমি মুগ্ধ। অত্যন্ত চমৎকার একটা বই। প্রতিটা পৃষ্ঠাজুড়ে হালকা আকাশী'র বুকে কালো অক্ষরগুলো এত্ত দারূণ লাগছিল ! প্রত্যেকের মত আমারও মনে হতে লাগল, আমারটাই সবচে খারাপ লেখা (বিনয় করছি না। আমার সত্যি একাধিকবার মনে হয়েছে। এবং আমি মিথ্যা বলি না)।

আর কবির সংখ্যা অনেক বলেই কবিতার ভিন্নতাও সেইরকম ! মন-খারাপের কবিতা থেকে তীব্র ভালবাসা'র কবিতা, প্রবল স্বপ্নময়তা থেকে প্রচন্ড বাস্তবতা - কোনটা নেই এখানে? ২১'টা সম্ভাবনা ! আমি খুব প্রার্থনা করি এদের মাঝে কেউ একদিন বাংলা ভাষার উপরের সারি'র কবি হবেন। তিনি সাক্ষাৎকারে বলবেন, "আমার প্রথম বই ছিল বহুমাত্রিক"। আর আমি ফিসফিসিয়ে নিজের ঘরেই বলব, "আমিও ছিলাম ওখানে সেদিন..." :!>

আচ্ছা, ব্লগে সম্প্রতি বেশ খানিক অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। অনেক সাধারণ'কেই দেখেছি ব্লগের উপর ত্যক্ত হয়ে যেতে। অনেককেই বলতে শুনেছি, "এখানে ভাল কিছু আর হবে না"।

কোথাকার শাহেদ খান তখন আপনাদের সামনে এই বইটা দেখিয়ে বলতে আসছে, "দেখুন? খারাপ কিছু হয়নি কিন্তু !"

(বইটি মেলায় রকমারি.কম স্টলে পাওয়া যাবে। স্টল নং - ৪৯৩। মূল্য: ১২৫ টাকা)


(শুধু আমার পরিচিত কয়েকজন সহব্লগারের শুধুমাত্র কবিতা'র বই নিয়ে এই পোস্ট। নতুন আরও বই নিয়ে আপডেট করা হতে পারে, নাও হতে পারে।)

[পোস্টের একদম প্রথম ছবিটা গুগল ডট কম থেকে নেয়া]
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭
৩৭টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×