somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাব্য-নাটক: ডাকাত (২য় অঙ্ক)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম অঙ্ক

-------------------------------- দ্বিতীয় অঙ্ক -----------------------------------
--------------------------------- দৃশ্য - ১ ------------------------------------


স্থান: কলেজ ক্যান্টিন
কাহিনীসূত্র: শিউলি এবং তিতলী এক টেবিলে বসে। একটু দূরে অন্য টেবিলে তারেক।


শিউলি।।
শাহীন ভাইয়ের কী হল বল তো আজকাল?
মেজাজ দেখি সপ্তমে থাকে সারাক্ষণ !
কাজল ভাইয়ের সাথেও তো দেখা যায় না
তোর সাথে কোনও ঝগড়া-ঝামেলা হয়েছে?
এই বয়সের টিপিক্যাল প্রেম-কাহিনী...

তিতলী।।
আমার সাথে দেখাই বা কবে হল তার?
তোদের মুখেই কেবল এসব শুনছি
গত দুইদিনে ছায়াটাও তার দেখিনি
পা সেরে গিয়ে মাথায় চাপল নাকি ভূত?
আজকে আসুক। ওইটা তারেক ভাই না?
(তারেকের দিকে আঙুল তুলে)

শিউলি।।
(সেদিকে তাকিয়ে চিৎকার করে)
তারেক ভাই ! এই যে আমরা - এদিকে !
কী ব্যাপার ভাই, আমাদের চেনা যায় না?
(তারেক এগিয়ে আসার পর)
আচ্ছা ভাইয়া, শাহীন ভাইয়ের কী হল?

তারেক।।
(প্রশ্ন শুনার সাথে সাথে বিরস মুখে হাই তুলে)
ডাকাত হতে পারছেনা, তাই ক্ষেপেছে!

শিউলি।।
এর মানে কী? আরে ভাইয়া তুমি বসো না?

(তারেক চেয়ার টেনে ওই টেবিলে বসে)

শিউলি।।
শাহীন ভাইয়ের ঘটনাটা কী, বলো তো?
তিতলীও বসে বলছিল এইমাত্র -
গত দুইদিনে তার ছায়া নাকি দেখেনি !

তারেক।।
উরি বাপরে, 'ছায়া'র নামও নিস না !
ছায়া'র সাথেই লড়াই করছে বাপধন
ছায়া'কে হারিয়ে নিজেই ডাকাত সাজবে

শিউলি।।
ছায়া, ডাকাতি - কী বলো মাথামুন্ডু !

তিতলী।।
নাটকের ওই ডাকাতের রোল বলছো?

তারেক।।
(একগাল হেসে)
যে বুঝবার, সে-ই বুঝে নেয় ঠিকঠাক

তিতলী।।
কিন্তু ওটা তো কাজল ভাই না করছে?
'ও' তো এবার নাটকের মাঝে ছিলো না

তারেক।।
পা সেরে গেল - তবু ওকে ডেকে নিলো না
এই নিয়েই তো দুজনের মাঝে গোলমাল

তিতলী।।
কাজল ভাইয়ের সঙ্গে লেগেছে গোলমাল?
আমার উপর খেপলে তবুও বুঝতাম
কাজল ভাইয়ের সাথে ও করবে ঝগড়া?

তারেক।।
তিতলী বেগম, কথা বিশ্বাস হয় না?
(তারেক হাসতে থাকে)
জ্ঞানের কথা - নোট কর্, কাজে লাগবে:
পুরুষ লোকের 'ইগো'ই হচ্ছে গয়না !

শিউলি।।
ভাইয়া তুমি ফাজলামো করছো না তো?

তিতলী।।
দোহাই লাগে, ঢং রেখে প্লিজ বলবে?

তারেক।।
আচ্ছা, তাহলে ইতিহাস শুরু করছি
ক'দিন আগেও এই ক্যাম্পাস জানতো
এ্যাক্টর মানে এক নাম্বারে কে? - শাহীন
কাজল হঠাৎ এসে এত ভাল করল
শাহীনের পুরো পজিশন গেল উল্টে
শাহীন ছাড়া এবার নাটক নামবে
একমাস আগেও এই কথা কেউ ভাবতো?

তিতলী।।
কিন্তু ওর তো পায়ে ইনজুরি ছিল, তাই...

তারেক।।
সে তো যখন ছিল, তখন ছিলই
এখন তো মাল ঘোড়ার মতন ছুটছে
'সুস্থ শাহীন' দলে চান্স পাচ্ছে না আর
এই কথাটা মানা কি এতই সোজা তোর?

তিতলী।।
অথচ 'ও'ই তো কাজল ভাইকে তুললো

তারেক।।
বুঝতে পারেনি, কাজল ওকেই নামাবে !

তিতলী।।
কাজল ভাইয়ের দোষ-ও তো দেখছি না...

তারেক।।
লড়াই যখন 'ইগো'র সঙ্গে লেগে যায়
দোষ থাকাটা অত্ত জরুরী না...
(চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে)
আচ্ছা, তাহলে তোরা থাক, আমি যাই।

তিতলী।।
ওর সাথে যদি দেখা হয়, তবে বলবে...

তারেক।।
বলবো বলবো, যদি ডাকু'টার দেখা পাই -
মজনু শাহীন, তোর লাইলী তো কাঁদছে

(শিউলি শব্দ করে, আর তিতলী নিঃশব্দে হেসে ওঠে। তারেক চলে যাবে)

শিউলি।।
তারেক ভাই'টা একটু জোকার টাইপের।
আমিও উঠছি, তুই কি বসেই থাকবি?

তিতলী।।
তুই যা শিউলি, আমি কিছুক্ষণ থাকব
তারেক ভাইয়ের কথা শুনে যদি ও আসে

শিউলি।।
আচ্ছা তাহলে পরে দেখা হবে তিতলী।

(শিউলি চলে যাবে। তিতলী একা বসে)

তিতলী।।
হঠাৎ এসব কী হয়ে যাচ্ছে এখানে?
ওদের এমন মনে হয়নিতো কখনও!
মুখ দেখাদেখি বন্ধ কি কোনও সমাধান?
কথা না বললে ভুল বোঝাবুঝি কমে না
একসাথে বসে কথা বললেই সব ঠিক

(কাজল ক্যান্টিনে ঢুকবে। তার একটু বাদে পত্রিকা হাতে মনসুর, আলাদাভাবে।
কাজল তিতলীকে দেখে ওর পাশে গিয়ে বসবে। পাশের টেবিলে মনসুর পত্রিকা খুলে বসবে। মনসুরের চোখ পত্রিকায় থাকলেও ভঙ্গি দেখে বোঝা যাবে সে ওদের কথায় কান পাতছে)


তিতলী।।
কী কাজল ভাই, কী শুরু করলে বলো তো?
ওর সাথে নাকি মুখ দেখাদেখি বন্ধ?

কাজল।।
তিতলী দোহাই, ওসব কথা ছাড়ো তো?
সবখানে শুধু এই কথা - আর পারি না !
(একটু থেমে)
আচ্ছা এখানে আমার দোষ কী, বলবে?
শাহীন বলল, তাই তো নাটকে আসলাম
ভাল পারফর্ম করাটা আমার অপরাধ?

তিতলী।।
কিন্তু তোমরা দূরে কেন সরে যাচ্ছো?
একসাথে বসে কথা বলে ঠিক করে নাও

কাজল।।
দূরে কী আমিই আগে সরে গেছি, নাকি সে?
ও-ই তো কেমন জেদ ধরে আছে সারাক্ষণ
এই একটাবার আমি যদি করি, ক্ষতি কী?

তিতলী।।
(হেসে)
তুমিও কি তবে নাটকের প্রেমে পড়েছো?

কাজল।।
মনে তো হচ্ছে, রক্তেই ছিল অভিনয়
মঞ্চে উঠলে মগজে আগুন লেগে যায়
মনে হতে থাকে আমার ভীষণ ক্ষমতা
যা করব তা-ই সৃষ্টি-সুখের খুশিতে !
(একটু শান্ত হয়ে)
এসব বলায় মনটা এখন হালকা
তিতলী তোমায় দেখে খুব ভাল লাগছে
তিতলী মানে যে প্রজাপতি, তুমি জানতে?

তিতলী।।
বাপরে, তুমি তো নাটকের দলে ঢুকতেই
পুরোদস্তুর কবি হয়ে গেলে দেখছি !

(কাজল শব্দ করে হেসে ওঠে)

তিতলী।।
তো কাজল ভাই, এইবার আমি উঠব
আজকাল ওর দেখা পাওয়াটাই দুষ্কর
ওর জন্যেই এতক্ষণ বসে থাকলাম
তুমি ছিলে বলে সময়টা ভাল কাটল

কাজল।।
ঠিক আছে চলো, আমিও এখন বেরোব।


(দুজনেই পাশাপাশি হেঁটে বেরিয়ে যাবে। মনসুর হাতের পত্রিকা টেবিলের উপর রেখে সরাসরি দর্শকদের দিকে তাকাবে আর 'নেশা লাগিল রে' গানের সুরে শিস বাজাতে থাকবে। শিস বাজাতে বাজাতে সে পত্রিকা হাতে উঠে দাঁড়াবে আর চলে যাবে।
সে অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত শিসের শব্দ থাকবে।)











-------------------------------- দ্বিতীয় অঙ্ক -----------------------------------
--------------------------------- দৃশ্য - ২ ------------------------------------


স্থান: কলেজ করিডোর
কাহিনীসূত্র: শাহীন এবং মনসুর বিপরীত দিক থেকে হেঁটে আসবে। শাহীনকে দেখে মনসুর থামাবে।

মনসুর।।
সেকী রে শাহীন, অবসরে যাবি নাকি তুই?
তোর সব দেখি কাজলই প্রক্সি দিচ্ছে !
খানিক আগে ক্যান্টিনে দেখি তিতলী
কাজলের বলা ডায়লগে ভারি মুগ্ধ
(কাজলকে অনুকরণের ঢং-এ)
তিতলী তোমায় বড় সুন্দর লাগছে
'তিতলী' মানে যে প্রজাপতি - তুমি জানতে?
(গলার স্বর নামিয়ে)
তোকে যে ডাকাতি করে নিয়ে গেল কাজলে

শাহীন।।
বাজে বকবি না, কাজলকে আমি চিনি না?

মনসুর।।
বন্ধু চিনতে ভূল করলি রে বন্ধু
কাজলের মন কাজলেই পরিপূর্ণ !

শাহীন।।
মনসুর তুই মাইর খাবি, আমি বললাম

মনসুর।।
(কপট রাগে)
দোষ তো আমার, কোন কুক্ষণে ভাবলাম
বন্ধু হিসেবে তোকে সাবধান করে যাই
আর তুই চাস পিটাতে - সেই তো চাইবি
মেজাজ ছাড়া আর কিছু বাকি আছে তোর?
তা-ই নিয়ে তুই পড়ে থাক; আমি চললাম।

(মনসুর বেরিয়ে যাবে। ঠিক তখনই শাহীনের বিপরীত দিক থেকে কাজল আর তিতলী পাশাপাশি হেঁটে আসবে। পরস্পরকে দেখে তিনজনই থমকে দাঁড়াবে।
কাজল একটু এগোতেই শাহীন উল্টো ঘুরে হাঁটা শুরু করবে। তিতলী দৌড়ে এসে শাহীনের পাশে দাঁড়াবে। কাজল যেপথে এসেছিল, সেপথে বেরিয়ে যাবে।)


তিতলী।।
আরে-রে দাঁড়াও ! এমনটা কেন করলে?
আমাদের দেখে চলে এলে মুখ ঘুরিয়ে?

শাহীন।।
পাছে তোমাদের ডিস্টার্ব যদি হয়ে যায়
আমাকে ছাড়াই ভালই তো আছো দেখছি
অন্য কাউকে পেয়ে গেছো খুব তৎপর...

তিতলী।।
(থমকে দাঁড়িয়ে পড়বে। তারপর খুব দৃঢ়ভাবে বলবে)
গত দুইদিনে একবারও দেখা দাও নি
তারপর এখন যেইসব কথা বলেছো
আমার এখন রেগে যাওয়া হতো স্বাভাবিক
কিন্তু তোমাকে চিনি বলে আমি শান্ত।
(একটু থেমে শাহীনের সামনে এসে)
কাজল ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়
এই ব্যাপারটা আজকে নতুন কিছু নয়
কিন্তু তুমি আজকে এমন বললে...
কী হয়েছে তোমার - আমায় বলবে?

শাহীন।।
কী জানতে চাও - সেটাই বলো প্রথমে
আমি কত বেশি খারাপ হয়েছি - এই তো?

তিতলী।।
কেন অকারণে আমাকে কষ্ট দিচ্ছো?
আমি কি তোমাকে কোনওদিন ভুল বুঝেছি?
এদিকে তাকাও, এবার আমাকে বলো সব।

শাহীন।।
তুমি কি শোনোনি, আমি যে কী নিয়ে আপসেট?

তিতলী।।
শুনেছি তবুও তোমার মুখেও শুনব

শাহীন।।
(হঠাৎ কাতর হয়ে)
তুমি তো জানোই, নাটকই আমার ধর্ম
তুমি ছাড়া এই নাটক-ই আমার প্রেমিকা

তিতলী।।
মাঝে মাঝে খুব হিংসেও লাগে, সত্যি

শাহীন।।
এই ক্যাম্পাসে নাটক দলটা দাঁড়াতে
কী না করেছি, কত প্রাইজ এনে দিয়েছি
সেই দলে আজ আমার জায়গা হয় না
কাজল আসাতে আমি নাকি অতিরিক্ত
অথচ আমিই ওকে অভিনয় শেখালাম

তিতলী।।
তোমার কাছেই শিখে যদি কেউ বড় হয়
তাতে কি তোমার গর্ব করার কথা না?

শাহীন।।
কিসের গর্ব? নিজের জায়গা হারানোর?

তিতলী।।
সব বুঝলাম, কিন্তু আমায় বলো তো
কাজল ভাইয়ের দোষ এইখানে কতটা?

শাহীন।।
সত্যি বলছি, ওর 'দোষ' আমি দেখি না
অভিনয় ওর রক্তে ছড়িয়ে রয়েছে
রত্ন চিনতে আমি কোনও ভূল করিনি
কিন্তু ভাবো তো - ঘোর বিপদের সময়ে
সাময়িকভাবে যেই পদে ওকে বসালাম
আমি ফিরে এলে সে কি তা ফিরিয়ে দেবে না?
এটা এথিক্যাল ! নিয়মের মাঝে পড়ে না
সে হোক ব্যাক-আপ, কিংবা অন্য কোনও রোল,
আমার রোল'টা জেদ করে ধরে রাখবে?
নীতির ব্যাপার, দোষ খুঁজলে তো পাবে না

তিতলী।।
তোমরা দুজনই এত জেদ ধরে রাখছো !
আমাকে এখন যেভাবে বুঝিয়ে বললে
ওকেও এভাবে বুঝিয়ে বললে পারতে

শাহীন।।
বুঝেও বুঝে না যেজন, তারে কী বোঝাবো?
(দীর্ঘশ্বাস এবং একটু বিরতি)
তবু দেখো আমি এই পদে ফিরে আসবোই
সেদিন কে যেন কাব্য শুনিয়ে গেল না?
"এ জীবন-মন সকলই দিয়েছি গল্পে
তুমি জানো আমি কতটা স্থির-প্রতিজ্ঞ
সবটা যে দেয়, সেই পারে সব নিতে"

তিতলী।।
এ তো মনে হয় শাহেদের লেখা কবিতা

শাহীন।।
যার হবে হোক, এটাই আমার মন্ত্র

তিতলী।।
(আক্ষেপের স্বরে)
যত ভালোবাসা নাটক'কে তুমি দিয়েছো
তার ছিটে-ফোঁটা তিতলী'কে যদি বাসতে

শাহীন।।
(হাত ধরে)
কত ভালোবাসি, তুমি বুঝি টের পাও না?
আমি যাই করি, তোমাকে ছাড়া যে হবে না

তিতলী।।
(কপট রাগে)
তাই বুঝি গত দুইদিনে দেখা দাও নি?

শাহীন।।
ভুল করি আমি, ক্রমাগত ভুল করে যাই
তবুও তো তুমি আমায় জড়িয়ে রাখছো
ভুলগুলোকেও হয়তো বা ভালোবাসছো

(দুজন মুখোমুখি হাত ধরে থাকবে কিছুক্ষণ। আবেগপূর্ণ দৃষ্টি, মাত্র ৩-৪ সেকেন্ড। এবং ভাল হয়, যদি কপালে কপাল লাগিয়ে দাঁড়ায়)

তিতলী।।
(হঠাৎ উঠে)
দুপুর গড়ালো, নিশ্চয়ই খাওয়া হয়নি?
ক্যান্টিনে চলো, আমার ডাকাত-সর্দার

দুজন বেরিয়ে যাবে। অবশ্যই হাসিমুখে।










-------------------------------- দ্বিতীয় অঙ্ক -----------------------------------
--------------------------------- দৃশ্য - ৩ ------------------------------------


স্থান: কলেজের টিচার্স কমনরুম
কাহিনীসূত্র: রাসেল স্যার চেয়ারে বসে। তার সামনে কাজল এবং শাহীন দাঁড়িয়ে।

রাসেল স্যার।।
দুজনের নাকি একসাথে দেখা পাওয়া ভার?
দুজনেই নাকি ডাকাত সাজতে মরিয়া !
আমার জন্যে মধুর এই সমস্যা
তবে তোমরা তো বাড়াবাড়ি শুরু করলে
(কিছুক্ষণ চুপ থেকে আলাদাভাবে দুজনের দিকে তাকাবেন)
কাল সন্ধ্যায় অডিশন নেব দুজনের
ওই রোলটাই দুজনেই প্লে করবে
যদিও আগেই দুজনেরটাই দেখেছি
আলাদা দেখেছি, তুলনা করে তো দেখিনি
কাল যারটায় বেশি ভাল লাগা থাকবে
তাকেই রাখব, দুজনেই মেনে নেবে তা।
যেতে পারো আজ। ভাল করে প্রস্তুতি নাও।

(কাজল এবং শাহীন বেরিয়ে যাবে। দুইজন দুইপাশ দিয়ে)

রাসেল স্যার।।
(চেয়ার ছেড়ে হেঁটে টেবিলের সামনে এসে দাঁড়াবেন)
এই ছেলেগুলো জংশনে এসে পড়েছে
নিজেও জানে না কোন ট্রেনে উঠে বসবে
একসাথে যাবে? নাকি প্রত্যেকে আলাদা?
ট্রেন ছাড়বার সময়ও নিকটবর্তী !

(শেষ লাইনটা বলার সময় টেবিল থেকে ডেস্ক ক্যালেন্ডার হাতে নিয়ে তাকাবেন। তারপর সেটা রেখে বেরিয়ে যাবেন।)





----------------------------- দ্বিতীয় অঙ্ক সমাপ্ত --------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×