somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবার কলকাতা ১

১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রিজেন্ট এয়ারলাইন্সে চড়ে কলকাতায় যাচ্ছি শুনে অনেকেই নাক সিটকে ছিলেন। হয় ভালো এয়ারলাইন্সে যাও না হলে ট্রেনে যাও রিজেন্টে কেন?

এবার আর হঠাত করে যাওয়া নয়। প্রায় মাস খানেক খুঁজে টুজে সবচেয়ে সস্তার টিকেট কেটেছি। ১০,৪০০ টাকায় আসা যাওয়া। কিন্তু উপরে বসে যিনি আমাদের সবার চলাফেরার উপর নজরদারি করছেন, তাঁর দৃষ্টি এড়াবো কী করে। যাওয়ার দুইদিন আগে আমার এক সহযাত্রী কে জ্বরে ফেলেদিলেন। আর আমাকে আরও সাড়ে সাতহাজার টাকা জলে ফেলে টিকেট বদলাতে হল।তারপরও সময় মত যাত্রা শুরু হলনা। সকালের তুমুল বর্ষায় ডুমুর পাতার নিচে লুকিয়ে থাকা দোয়েল পাখির মত ঘাড় গুজে পড়ে রইলো রিজেন্ট।

একটু পর বড়, মাঝারি দুই একটা প্লেনের অড়া শুরু হল। ক্ষুদ্র রিজেন্টের ঠাঁই হয়েছে প্রায় ট্যাক্সিওয়ের মাথায়। ব্যাপারটা মন্দ হলনা। এ জার্ণি বাই বাস ফ্রম লাউঞ্জ টু এয়ার ক্র্যাফট করে যখন প্লেনে উঠে বসলাম তখনও থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। দু’একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর রিজেন্ট জনিত আশঙ্কা আমাতেও সংক্রমিত হতে শুরু করছে। রিজেন্টের কেবিন ক্রুদের সেবা যত্নে সে শঙ্কা কেটে গেল ধীরে ধীরে। বার্গার, কেক আর জুসের নাস্তা শেষ হতে হতে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টারমাক ছুলো আমাদের প্লেন।

গতবার কলকাতায় আসার সময় খুত ধরার মানসিকতা নিয়ে এসেছিলাম। অনেক কিছুই ভালো লাগেনি। এবার ব্যাপারটি হল উলটো, কলকাতা বিমান বন্দর অনেক দিক দিয়েই ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের চেয়ে আধুনিক। খুব বেশি প্লেন ওঠা নামা করেনা বলে ভিড় ভাট্টা কম। ইমিগ্রেশন পার হতে সময় লাগলো না। লাগেজ কালেকশনও হলো ঝামেলা ছাড়াই।

কলকাতা বিমান বন্দরের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা রকম সেবা ও তথ্যের চমৎকার পরিবেশনা। কাস্টম পেরুনোর পর রেলের টিকেট বুকিং কাউন্টার আছে। মোবাইলের সিম কেনার কাউন্টার আছে, তিন রকম ট্যাক্সির কাউন্টার আছে, চিকিৎসা নেবার জায়গা আছে। ট্যাক্সির জন্যে তাড়াহুড়োর দরকার নেই। একটু কষ্ট করে লাইনে দাঁড়ালেই প্রিপেইড ট্যাক্সি পাওয়া যায়। নিয়ম হলো কাউন্টারে গন্তব্য বলে পয়সা দিয়ে একটি রশিদ নেওয়া। রশিদটা বাইরের কাউন্টারে দিলে তারাই আপনাকে ট্যাক্সি চিনিয়ে দেবে। পুরো ব্যাপারটা বড় জোর পাঁচ ছয় মিনিটের কাজ।

এসব শেষ করে ট্যাক্সি চড়ে বিধান নগর এয়ারপোর্ট অথরিটির কাছে এসেছি, ড্রাইভার বলল, স্যার মির্জা গালিব স্ট্রিট তো আপনি চেনেন?
বললাম, আমি আরো দু’বার ছিলাম। চিনি।
ড্রাইভার বলল, ;খুবই ভালো হল স্যার আমি কলকাতায় নতুন এসেছি। পথ চিনিনা’।

আমি ভাবলাম, বলে কি?বললাম পথতো আমিও চিনিনা।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×