পহেলা ফাল্গুন হয়নি,
ফাল্গুনীর মৃত্যু হয়েছে!!
মৃত লাশের পিছু ছুটেছে সবাই,
সেই শহর থেকে গ্রাম অব্ধি।
মিলে একাংশ নারী পুরুষ,
কেউ বাদ যায়নি!
আমিও না,
একদম শেষের বেলায় গিয়ে,
শেষ যোগদৃষ্টি দিয়েছি।
শেষবারের শেষ দেখা দেখে,
শেষশয়নে চিরনিদ্রায় শায়িত করে,
ফিরেছি ক্ষুধাবোধ নিয়ে নীড়ে!!
পহেলা ফাল্গুন হয়নি...
আর হবেও না, কোন ফাল্গুনেও না!!
ফাল্গুনীর মৃত্যু হয়েছে!!
আজে পহেলা ফাল্গুনে হুট করে ফুফুর চলে যাওয়া তে, ফুফুর নামটা দিয়ে দিলাম ফাল্গুনি, (ফাল্গুনি=ফুফু)।
আরেক ফাল্গুন আসলেই ফাল্গুনির কথা মনে হবে, কোন বাগানে হুয়তো ফুটবে চম্পা, চামেলি, কিংবা কৃষ্ণচূড়া ফুল।
কিন্তু এ পারিবারিক বাগানে শুধুই ফাল্গুনির মৃত্যুর ফুল ফুটবে আর কোন ফুল নয়।
ফুফু নামের কোন সারাংশ আমাতে নেই, শুধুমাত্র ওষ্ঠ দুটি জানে।
ফুফুর সাথে ঘটে যাওয়া আদুরী বাদুরী কিংবা মায়া মমতায় ছোয়ায় শেয়ার করার মত হেনতেন কোন গল্পজোট আমাতে
নেই।
কিঞ্চিত একজোট গল্প আছে, মায়ের সাথে।
দুজনার বর, কনের গল্প!
মা বাড়ি ফিরে যখন গল্পটা আমাকে বলেছিলেন,
তখন আমি হাসতে হাসতে বোবা হয়ে গিয়েছিলাম।
তারপর তাদের বর, কনের ছবি দেখে বোবাত্ব হারিয়ে ফেলে আবার হো হো করে হেসে উঠেছিলাম, সাথে মাও।
মায়ের সেই হাসিমাখা মুখখানা এখনো মনে পরে, হয়তো ফুফুর এই দুষ্টামির কারনে মায়ের এই প্রাণ খুলে হাসিখানা দেখেছিলাম।
ছোট ফুফুর এই একটাই স্মৃতিপট আছে আমাতে।
একজন মানুষ কে মনে রাখার জন্য একটাই স্মৃতি যথেষ্ট।।
ভাল থেকো ফুফু, খুব করে ভাল থেকো।।
দোয়া রইলো, মায়ের মত করে..।।