প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় রায়ে গতকাল শনিবার বম্বে হাইকোর্ট মতামত দেয় শিক্ষিত ও প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সংসর্গকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা যাবে না।
মামলার রায়ে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি মৃদুলা ভাটকার বলেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে যৌন সম্পর্ক যদি সেই মুহূর্তে উভয়ের সম্মতিতেই হয়ে থাকে, তা হলে তা কীভাবে ধর্ষণ হবে? তিনি বলেন, নিজেদের ইচ্ছাতেই প্রেমিক-প্রেমিকা অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকেন। পরে আবার অনেকেই এটাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তোলেন। এটা হওয়া উচিত নয়।
বিচারপতি বলেন, সমাজ এখন আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অতীতে বিয়ের আগে কোনো মেয়ে বা ছেলে যৌন সম্পর্ক রাখতেন না। সেটা সমাজের চোখে অপরাধ ছিল। কিন্তু এখনকার যুবসমাজ অনেক বেশি খোলা মনের। নিজেদের ইচ্ছাতেই তাঁরা প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকেন। পরে আবার অনেকেই এটাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সংসর্গ করেন। এটা হওয়া উচিত নয়। কারণ, বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কের পরিণাম কী হতে পারে, তা একজন শিক্ষিত ও প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে অবশ্যই জানবেন। তাই সব ক্ষেত্রেই এমন ঘটনাকে ধর্ষণের পর্যায়ে ফেলা উচিত হবে না।
বিষয়টি একটু ঘোলাটে হলেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় দেখা যায় কর্ত্রীর অনিচ্ছায় ধর্ষণ হলেও যখন কোন শিক্ষিত নারী জেনেশুনে স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছেন তা ধর্ষণের মধ্যে পরে না। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যদি বিয়ে না করে সেক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ প্রযোজ্য হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮