ভারত এবং চীনের মধ্যে এখন যুদ্ধাবস্থা বজায় রয়েছে সুতরাং এইমুহূর্তে ভারতের জন্য সামরিক সরঞ্জামের সফলতা অনেক জরুরী। অথচ ভারতীয় সেনাবাহিনী যেন যুদ্ধ শুরুর আগেই ভেঙ্গে পড়ছে নিজেদের অভান্তরিন দুর্বলতার জন্য। কিছুদিন পূর্বে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধট্যাঙ্ক রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক T-90 ট্যাঙ্কের নল ভেঙ্গে পড়বার পর এবার ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি দূরপাল্লার হাউইটজার কামান ধানুশের পরীক্ষা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বার বার উন্নয়নের পরও তাদের এই কামানের সফল পরীক্ষা চালানো সম্ভব হয় নাই। ফলে সম্ভাব্য যুদ্ধে এ কামান ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছে। ভারতীয় সেনাসূত্র থেকে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে অন্তত তিন দফা এ কামান দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে গোলা ছোঁড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গত তিন মাসে তিন দফা ছয়টি ১৫৫এমএম/৪৫ ক্যালিবার ধানুশ কামানের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রতিবারই গোলা ছোঁড়ার সময় কামানের নল ফেটে গেছে। এ কামানের সর্বশেষ পরীক্ষা করা হয় গত সপ্তাহে। সেখানেও একই ঘটনা ঘটেছে।
গোলার ত্রুটিসহ নানা কারণেই কামানের নল ফাটতে পারে। এর আগে ধানুশে জাল যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কেলেঙ্কারিও ধরা পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাণকারী সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তা এবং যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
কামানে ব্যবহৃত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব যন্ত্রাংশকে বেয়ারিং বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলোর গায়ে ‘মেড ইন জার্মানি’ লেখা থাকলেও এগুলো চীনের তৈরি সস্তা যন্ত্রাংশ বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়। ৮০ এবং ৯০'র দশকে কেনা বোফর্স কামান বর্তমানে ব্যবহার করছে ভারতের সেনাবাহিনী। এ কামান কেনা নিয়ে কেলেঙ্কারি হয়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬