বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম, বাইসাইকেল রেন্ট সেবাটি নিঃসন্দেহে অনেক চমৎকার হবে। আমরা অনেকেই সার্ভিসিং এর ভয়ে বাইসাইকেল ব্যাবহার করছি না। তবে অ্যাপের মাধ্যমে যদি ঘণ্টা চুক্তিতে বাইসাইকেল সেবা পাওয়া যায় তবে সত্যিই দারুন হবে। প্রয়োজনে সিকিউরিটি মানি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাবহার করে এই সাইকেল চুরি সংক্রান্ত সমস্যা রোধ করা যেতে পারে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে এই বাইসাইকেলের স্ট্যান্ড পয়েন্ট রাখা যেতে পারে। এর পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের একটি সেবা চালু হয়েছিল। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে অ্যাপের মাধ্যমে সাইকেল ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। যদিও ভার্সিটি দুইটির এই সেবা ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং তা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্যই বরাদ্দ।
১৩ মার্চ ২০১১, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (বেন), ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশন ও গ্রীণ বেল্ট ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে ক্যাম্পাসভিত্তিক বাইসাইকেল সার্ভিস কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছিল। তবে এখন সম্ভাবত সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
উবার-পাঠাও মত বেসরকারি বা সিটিকর্পোরেশন বা সরকারি উদ্যোগে অ্যাপ ভিত্তিক বাইসাইকেল সেবার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়, তবে সেবাটি বেসরকারি হলে সার্ভিসের মান ভালো থাকবে বলে মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৮