বল লুল-
দিবো খোপায় টগর ফুল।
লুল বিহারী তব আমারি মত লুল,
নারী দেখিলেই শিষ বাজাইতে করিনা কভু ভুল।
বল লুল-
বাস, টেম্পু, অফিস কিংবা চেম্বার,
লিখে দেই আমি নিজের মোবাইল নাম্বার।
গ্রাম, গঞ্জে, হাট-বাজার আর নদীর পাড়ের ব্রিজ।
দাঁড়াইয়া আমি মেয়েদের করি উত্তক্ত করি টিজ।
মহিলা কলেজে দাঁড়াইয়া থাকি, হাতে নিয়া গোলাপ ফুল,
বল লুল।।
আমি চির উন্নত লুল,
আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস
মহা লুইচ্চা, আমি অভদ্র, ইতরের বংশ।
আমি উচ্ছিস্ট, আগাছা আমিই নাটের মুল,
আমি পথভ্রষ্ট,
লুল ফেলাইয়া মেয়েদের পথ করি আমি বিনষ্ট,
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
প্রেম নিবেদন করে যাই আমি, মানি না বাধা শৃঙ্খল।
আমি মানি না কোনো নীতি,
আমি হাতে তুলে দেই রঙ্গিন খামে একই লেখা চিঠি।
আমি বদের হাড়ি, বদনাম করি ভেঙ্গে দেই দুকুল,
কলংক লেপে কেড়ে নেই আমি নববধুর নাকফুল।
বল লুল
দিবো খোপায় টগর ফুল।
আমি ইতর, থাকি ভদ্র লোকের খোলসে,
এসিড ছুড়ে আমি যাকে তাকে দেই ঝলসে।
আমি অশ্লিল, আমি মন্দ,
আমারি কারণে অনেক মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ।
আমি হাম্বার, আমি লম্পট, আমি বেতাল
আমি চপলা চপল লুইচ্চা,
পাড়ার মোড়েতে পায়ে পা তুলে খাই সারাদিন রঙ চা।
ফিং দিয়া দিই তিন তাল;
আমি মদ খেয়ে হই মাতাল
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা',
দিনে রাতে আমি দুই বার করে চারবার টানি গাঞ্জা।।
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী আমি ভীতি রংবাজ বুলবুল
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি জোর করে বলাই কবুল।
আমি ত্রাস, আমি সন্ত্রাস, আমি ভয়ংকর গোটা পাড়াতে,
কোন কিশোরী, তরুনী, যুবতী পারেনা মম লোলুপ দৃষ্টি এড়াতে।
বল লুল।
আমি চির উন্নত লুল।
মহা- বিদ্রোহী লুল-ক্লান্ত,
আমি সেইদিন সব শান্ত,
যেদিন পাবলিক দিবে গনধোলাই,
ভাঙ্গবে দুপাটি দন্ত
বিদ্রোহী লুল-ক্লান্ত।
শিশুকালেতেই মেরে ফেলা হত,
যদি বাবা মা আগে তা জান্তো।
আমি চির বিদ্রোহী লুলু গাংচিল,
আমি গোটা সমাজটাকে করে দিয়েছি পিচ্ছিল।
আমারি কারণে নারীরা পারেনা বেরুতে ঘরের বাইরে,
আমি উদ্দম, নাচি হরদম, তা ধিন ধিনতা ধাইরে।
নাহ আর সম্ভব না। নজরুলের কবিতা প্যারোডি করাও কঠিন।
সালাম তোমায় হে কবি। সালাম।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯