আজ প্রয়াত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী।
এই নেতার মৃত্যুর ( ১৯৮১ সালের ৩০ মে ) পরে ওই সময়ে জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তারেবর আলোচনায় এইসব জাতীয় নেতারা কি বলেছিলেন?
আওয়ামী লীগের আছাদুজ্জামান খান : মরহুম জিয়াউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, জাতি সেটা স্মরণ করবে।
তখনকার গণতন্ত্রী পার্টির এমপি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত : ৩০ মে থেকে ৩রা জুন যে লাখ লাখ জনতা শুধু ঢাকা নগরীতেই নয়, গোটা বাংলাদেশে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছে, তার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি (জিয়াউর রহমান) বাংলাদেশের মানুষের কত কাছাকাছি এবং প্রাণপ্রিয় ছিলেন। এটা বলতে যদি কেউ কুণ্ঠাবোধ করেন, এটা তার মানসিক দৈন্য এবং তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার অভাব বলে আমি মনে করি। এই যে লাখ লাখ জনতার স্রোত কেন এসেছিল, এই লাশটির পাশে, কেন এসেছিল জানাজায় ও গায়েবি জানাজায়? এসেছিল একটি মাত্র কারণে—সাবেক রাষ্ট্রপতির সততার প্রতি অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাতে। ওই যে কোটি কোটি মানুষের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলে এসেছিলাম এবং যে কথা বলে আমরা বিশ্ববিবেকের সমর্থন পেয়েছিলাম এবং তাকেই আমরা সংবিধানে গৃহীত করেছি।
রাশেদ খান মেনন এমপি : মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার পরিচয়। তাকে সেভাবেই দেখেছি, সেভাবেই সম্মান করেছি। তার যে কীর্তি সেই কীর্তি অমর এবং অক্ষুণ্ন থাকুক—এটা কামনা করি।
ন্যাপের প্রফেসর মোজাফফর আহমদ : জিয়াউর রহমান একজন দৃঢ়চেতা, সত্ ও দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং রেডিও মারফত স্বাধীনতার বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি ঢাকা শহরে আত্মগোপন অবস্থায় ছিলাম। তখন রেডিও মারফতই তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’ এমনিভাবে কেউ বললেন জিয়াউর রহমান একজন গ্রেট লিডার বা মহান নেতা ছিলেন। কেউ বললেন তিনি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ জাগিয়ে তুলেছেন। বহুদলীয় রাজনীতি চালু করেছেন। দেশের জন্য দিবারাত্রি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সাদাসিধা সরল জীবনযাপন করেছেন তিনি।
মির্জা গোলাম হাফিজ : মরহুম জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ জাগিয়ে তোলার একজন অক্লান্ত কর্মী ও নিবেদিতপ্রাণ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা সুসংহত ও দেশের গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার নিমিত্তে তিনি ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে এক নজির স্থাপন করেন।
আতাউর রহমান খান : (ঢাকা-১২) হৃদয় আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত, বেদনাহত, শোকসন্তপ্ত। কোনো কথা বলার ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না—কী করে এই মর্মবেদনা প্রকাশ করতে পারব।
শাহ আজিজুর রহমান : জিয়াউর রহমান আদর্শ হিসেবে শুধু বাংলাদেশে নয়, দুনিয়ার নিপীড়িত জনগণের জন্য একটি প্রেরণার উত্স হয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন কেয়ামত পর্যন্ত। তিনি ইতিহাসের পৃষ্ঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে। তিনিই প্রথম চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
আর আজ?????
সবকিছুই নাকি উল্টে গেছে। বই থেকে মুছে দেয়া হয়েছে তার নাম।
আমাদের নতুন প্রজন্ম কে জানতে দেয়া হবে না ইতিহাস।
তাইতো মিথ্যার ইতিহাস থেকে মুক্তি চাই, এই পারিবার কেন্দ্রীক নেতা (!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!) দের থেকে মুক্তি চাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



