বিজিএমইএ ভবন ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে আদালত বলেন, ভবনটি সৌন্দর্য ও মহিমান্বিত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো। এই ধ্বংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট করা না হলে এটা শুধু হাতিরঝিল নয়, গোটা ঢাকা শহরকে সংক্রমিত করবে।
রায়ে আদালত বলেন, বিজিএমইএ যাদের কাছে ওই ভবনের ফ্ল্যাটের অংশ বিক্রি করেছে, তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। দাবি করার এক বছরের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয় রায়ে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, বিজিএমইএ ভবনের সঙ্গে তাদের সঙ্গে চুক্তি ছিল বেআইনি। বিজিএমইএ ওই ভবন নির্মাণ বা ভবনের অংশ কারও কাছে বিক্রি করার কোনো অধিকার ছিল না। ওই জমির ওপর বিজিএমইএর মালিকানা নেই বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। ভবনটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করায় তারা কোনো সুদ পাওয়ার দাবিদার নয় বলে আদালত মত দেন।
রায়ে আদালত বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অর্থাত্ যাদের প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তারা মোট ৬.২১ একর জমি অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায় ছেড়ে দেয় ১৯৬০ সালে। পরে ১৯৯৮ সালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ওই জমি একটি স্মারকের মাধ্যমে, বিজিএমইএ তার নিজস্ব ভবন তৈরির জন্য বেআইনিভাবে প্রদান করে। অথচ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত ওই জমির মালিক ছিল না। অর্থাত্ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যা করেছে, তা হলো—পরের ধনে পোদ্দারি। ভবনটি নির্মাণ করে বিজিএমইএ বহু প্রত্যাশিত হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তাদের আর্থিক প্রতিপত্তির কারণে, যা কোনো অবস্থাতেই আইনের শাসনের আঙ্গিকে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




