দিল্লির সুপ্রিম কোর্টে ফেলানীর মামলা লড়ার জন্যে যাবতীয় কাগজপত্র যোগাড় করতে মানবাধিকার কর্মীদের বাংলাদেশ ভ্রমনের জন্যে ভিসা দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। কি বুঝলেন এর থেকে। যা বুঝার বুঝে নেন। তবে আমি মনে করি এটা ভারতীয় দালালীর সরকারের চুড়ান্ত একটি রুপ মাত্র।
সরকারের জনপ্রিয়তা যখন তলানীতে, যুদ্ধাপরাধের ইস্যুটা কিছুটা হলেও কোরামিনের কাজ করছে সরকারের জন্যে। কিন্তু সরকার যারা পরিচালনা করেন তাদের জানা উচিত এ দিয়ে পার পাওয়া যাবেনা। যে সমস্ত কারণে জনমত সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে, যুদ্ধাপরাধ মামলা ছোট একটি কারণ মাত্র।
ফেলানী ইস্যুতে আমাদের আত্নমর্যাদা প্রকাশ করা এবং ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা সরকারের দায়িত্বের মাঝে পড়ে। কিন্তু সরকার করছে উল্টোটা। ভারতের মানবাধিকার গ্রুপকে ফেলানী ইস্যুতে মামলার প্রয়োজনে বাংলাদেশে আসতে না দিয়ে সরকার তার আসল রুপ প্রকাশ করে দিয়েছে।
আজ যখন ৪২ বছর আগের ফাকি রাজাকারের বিচার চলছে, তখন এই সরকার ভারতীয় রাজাকারের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যেমন ফাকি রাজাকারের বিচারকে সায় দিয়েছে, তেমনি ভারতীয় রাজাকারের বিচার হবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে এই প্রজন্ম কারো সেবাদাসী পছন্দ করেনা।
আমি সরকারের আচরণে চরম ভাবে হতাশ এবং মর্মাহত। এখন তো মনে হচ্ছে এই সরকারই সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার লাইসেন্স দিয়ছে ভারতকে।
ক্ষমা কর বাংলা মা। ফেলানী আমাদের কাছে শুধু এক বালিকা নয়, বরং বাংলার মানচিত্রের আরেক রুপ মাত্র।
খবরের লিংকঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




