somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনএফ - সরকারী বিরোধী দলঃ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এবং ভারতের ২৯তম রাজ্য

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লিখার শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ আজ এমন কিছু বিষয় এ লিখায় উঠে আসছে যা কারো কারো আবেগে আঘাত হানতে পারে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় আমার কাছে যা সত্য মনে হচ্ছে তাই লিখার চেষ্টা করেছি।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রবনতায় পূর্বাভাস করা যায় আগামী ১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ভারতের অষ্টম ইউনিয়ন টেরিটরি এবং ২০ বছরের মধ্যে ২৯তম রাজ্য হিসাবে স্হান করে নিবে ভারতের মানচিত্রে। দাবার চক সেভাবেই কষা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত যতটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পারে সম্ভবত সে নিজে তার বর্তমান ৭ টি ইউনিয়ন টেরিটরীতেও এতবেশী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনা। এই ৭টি ইউনিয়ন টেরিটরি সবগুলোই বিভিন্ন সিমান্ত অন্চলে অবস্হিত। এখানে দেখুনঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Union_territory

শেখ হাসিনার মত ক্ষমতা অন্ধ, ভারত বান্ধব, এবং প্রধান দলের নেতা থাকলে ভারতের জন্যে এই কাজ খুবই সহজ। সেনাবাহিনীতে কু করে ক্ষমতায় আসা এরশাদ অনেক আগ থেকেই ভারতের আয়ত্বে। বাকী থাকে বিএনপি এবং জামাত। বিগত ৭ বছরে এই ২ দলের কোমর অনেকাংশে ভেংগে দেয়া হয়েছে। যে টুকু শক্তি এদের বাকী আছে তা আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিঃশেষ করার প্রচেষ্টায় বিএনএফ গঠন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে জামাতের নিঃশেষ আমাদের অনেকেরই কাম্য।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আমার যে আবেগ এবং মোহ ছিল তা অনেকাংশে ভেংগে গেছে। একটি দেশের মূল শক্তি তার রাজনীতির সততা, নৈতিকতা, এবং বিশ্বাস যোগ্যতা। এই শক্তিই দেশের যাবতীয় শক্তিগুলোকে সংগঠিত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এ শক্তি ক্ষয়ে যেতে যেতে এখন প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। বিএনএফ এর আত্নপ্রকাশ সম্ভবতঃ দেশের ক্ষয়িষ্নু স্বাধীনতার শেষ প্রতিক।


খবরে প্রকাশ ৫ জন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিএনএফকে হাজার কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে বিএনপির সাবেক এবং বর্তমান মিলে ৫০ এর অধিক নেতাকে দলে ভিড়িয়ে নির্বাচন করার জন্যে। উদ্দেশ্য হচ্ছে ১৮ দলীয় জোট বিহীন নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্যতা দেয়া। তবে এ টাকা সরবরাহ করছে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্হা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্হিতি এবং বিএনএফ এর রেজিষ্ট্রেশন পাওয়ার পদ্ধতিতে মনে হচ্ছে এ খবর বিশ্বাসযোগ্য।

শেখ হাসিনার ধ্বংসাত্নক রাজনৈতিক পদক্ষেপ, ভারতীয় দুতাবাসের সরাসরী রাজনীতিতে জড়িয়ে যাওয়া, আর বিকলাংগ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভূঁইফোড় বিএনএফ এর প্রসব এবং এসব কিছুর সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্হার যোগাযোগ ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনারই অংশ। ভারত যেভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রন করছে, তাতে স্বাভাবিক ভাবে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ আর স্বাধীন দেশ নেই।

ইদানিংকালে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে বংগবন্ধুকে হত্যার পিছনেও ভারতের হাত ছিল। কারণ তাঁকে হত্যা পরিকল্পনা এবং হত্যা পরবর্তী সরকারে আওয়ামীলীগের লোকজনই অংশ নিয়েছিল। তাঁকে হত্যার অন্যতম কারণ সম্ভবত স্বাধীনতার পর তার স্টেটমেনশীপ ভারত বিরোধী ভূমিকা।


একটি দেশের স্বাংস্কৃতি ধ্বংস হলে তার স্বাধীনতা হুমকীর মুখে পড়ে। আর রাজনীতি ধ্বংস হলে দেশ স্বাধীনতা হারায়। বাংলাদেশের রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। সমসমায়িক কালে নৈতিকতাটুকুও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য প্রধানত দায়ী শেখ হাসিনা এবং এরশাদ। খালেদা জিয়া বা বিএনপির রাজনৈতিক ব্যার্থতাও কম দায়ী নয়।

রাজনীতির অসততা, অনৈতিকতা, এবং অবিশ্বাসকে গ্রহনযোগ্য করতে এই তথাকথিত রাজনীতিবিদ এবং তাদের চাটুকারেরা একটি বাক্য চালু করেছেন - "রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই"। এটা হচ্ছে রাজনীতির চুড়ান্ত অবক্ষয়কে মেনে নিতে বাধ্য করার একটি কৌশল মাত্র। মনে রাখতে হবে রাজনীতির অবক্ষয়কে মেনে নেয়া মানে স্বাধীনতার অবক্ষয়কে মেনে নেয়া। ৪০ বছর আগের প্রজন্মের স্বাধীনতার ভূমিকা দিয়ে আজ স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ বিচার করতে গেলে আমাদেরকে চুড়ান্ত পরিনতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×