somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমস্যার অতলে বাংলাদেশঃ ফের তিন বছর ক্ষমতার খোয়াব

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জোর করে অনেক কিছুই করা যায়, কিন্তু ক্ষমতায় থাকা যায়না। এরশাদ জোর করে ক্ষমতায় ছিল, তার পরিনতি সবার জানা। আজ থেকে ৬ মাস আগে লিখেছিলাম, আওয়ামীলীগ যেনতেন ভাবে নির্বাচন করে তিন বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। পিএম হাসিনা মনে করছেন এই তিন বছরে বিএনপিকে ভেনিস করে দিতে পারবেন এবং আরও দুই মেয়াদ সহজেই পার করবেন। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন নেতা বা পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতায় আর যাইহোক ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না যদি না মানুষ সেটা গ্রহন করে। সামগ্রিক পরিবেশ বলছে আওয়ামীলীগ তিন বছর নয়, তিন মাসও এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। এ বিষয়টি যত দ্রুত হাসিনা বুঝবেন তত সহজেই আজকের অবরুদ্ধ অবস্হা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।আর যদি হাসিনা বুঝতে ব্যার্থ হন তবে সময়ের ব্যবধানে যে মূল্যদিতে হবে কর্মীদের তা হয়ত তাঁর অজানা।

কেন আমার এত আকুতি? বর্তমান সমস্যা নেত্রী নিজেই তৈরী করেছেন এবং বাধ্য করছেন সবাইকে তা মেনে নিতে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ক্ষমতাহীন হলে এর মূল্য দিতে হবে আওয়ামীলীগ তথা দলীয় কর্মীদেরই। বংগবন্ধু পরিবার বা তাদেরকে যারা ভূল বুঝিয়ে বিপথে পরিচালিত করছে তাদেরকে আর পাওয়া যাবেনা। কুশীলবদের কেউই তখন থাকবেনা। শুধু মার খেয়ে যাবে নীরিহ কর্মীরা।

গত ৫ বছর সকল শ্রদ্ধা আর ক্ষোভ নিয়ে তোফায়েল ভাইয়ের সাথে ছিলাম। ছিলাম তার প্রতি অসম্মানের প্রতিবাদী। কিন্তু ৩ মাস আগের এক আমেরিকা ট্যুরই তার ব্যক্তিত্ব, অহমবোধ, আর সম্মান সব কিছুকেই জলান্জলি দিতে তাড়িত করেছে। হায়রে আমেরিকা!!! নেত্রী আমেরিকায় নিয়ে গেল আর আপনি তৈরি হলেন অসময়ে গোয়ার্তুমীর ভাগীদার হতে। এখনতো আপনি সব কুলই হারালেন। আপনি কিইবা করতে পারবেন বর্তমান এই অচলাবস্হা নিরষনে। কিছুই করতে পারবেননা। মন্ত্রীত্ব যখন নিবেনই তখন এত নাটকের কি দরকার ছিল? রাজ্জাক ভাই চলে গিয়ে ভাল করেছেন, আপনার এই অধঃপতন তাঁকে দেখতে হলোনা।

আওয়ামীলীগ আজ বন্ধু শুন্য। এক দিকে অবরুদ্ধ আর অন্যদিকে পুড়ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই দায় কার। কে বাংলাদেশকে এই সমস্যার অতলে ফেলে দিয়েছে। কার কথায় শেখ হাসিনা হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন, তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন? যার কথায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন সে আর যাই হোক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হিতাকংখী নয়। সে নয় বাংলাদেশের হিতাকাংখী।

সমস্যার অতলে পড়ে আজ তল খুজে পেতে শেখ হাসিনকে দুহাত উজাড় করে দিতে হচ্ছে। দেশের ভিতর স্বৈরাচারী এরশাদের কাছে রাজনীতির মার খেয়েছেন। আর ভারত এবং আমেরিকাকে দেশের সম্পদ তুলে দিচ্ছেন প্রশ্নাতীত ভাবে। কিন্তু এর খেশারত আওয়ামীলীগকেই দিতে হবে।

নতুন প্রজন্মকে যখন কম্পিউটারের অপারেটিং সিষ্টেম ডলারে কিনতে হবে টিফকা চুক্তির কারণে তখনই বুঝবেন আওয়ামীলীগের রাজনীতি কোথায় গিয়ে দাড়ায়। আজ দেশের ছেলেরা বলতে গেলে বাঁধাহীন ভাবে যে কোন সফটওয়ার ব্যবহার করতে পারছে, কিন্তু আগামী এক বছর পরেই তারা টের পাবে টিফকা চুক্তির ফল।

ভারত, আমেরিকা বসে আছে বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে। রাজনৈতিক যে অচলাবস্হা তার থেকে উদ্ধারের সহজ কোন পথ আওয়ামীলীগের জন্যে আর খোলা নেই।

বিএনপির নেতাদেরকে যখন জামাতী নেতাদের মত আত্নগোপনে থেকে রাজনীতি করতে বাধ্য করা হয়, তার মধ্যেই যে আগামী দিনের আওয়ামীলীগের পতন, তথা বাংলাদেশের অধঃপতন নিহিত তা হয়ত ক্ষমতার বলয়ে থেকে মাননীয় পিএম হাসিনা আপনি বুঝতে পারছেননা।

গার্মেন্টস সেক্টর বাংলাদেশের হাত ছাড়া হতে আর বেশী বাকি নেই। ২ কোটি লোক সরাসরি এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের সার্ভিস সেক্টের প্রায় ৭৫% ই আজ ভারতের নিয়ন্ত্রনে। প্রায় ২ লাখের উপর ভারতীয় এদেশের বেসরকারী সেক্টরের বড় বড় চাকুরীগুলো দখল করে আছে অবৈধ ভাবে। যেখানে বসে তারা বাংলাদেশের বারোটা বাজাচ্ছে। ব্যবসা বানিজ্য পুরোপুরিই স্হবির এখন। আজ যখন প্রতিবেশীদের চ্যালেন্জ মোকাবিলায় আপনি সবাইকে এক সুতোয় গাঁথা প্রয়োজন ছিল, তখন আপনি যে নীতি গ্রহন করলেন তা ক্ষতিগ্রস্হ করল আওয়ামীলীগকে, তথা বাংলাদেশকে। আপনার হাতে সময় আর মাত্র সর্বোচ্চ ৫ মাস। তবে মনে হয় ৩ মাসের বেশী সময় পাবেন না। আপনি হয়ত পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু কি হবে মাঠে ময়দানে থাকা বংগবন্ধুর সৈনিকদের??X((X((X((X((





সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×