আমারিকার বিসওয়াল আর ভারতের সুজাতার বক্তব্য বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন সুত্রের মাধ্যমে পাপ্ত তথ্য মতে ভারত এবং আমেরিকা একমত হয়েছে সরকার যদি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যার্থ হয় তবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাড়াতে হবে। আর নির্বাচন গ্রহনযোগ্য কিনা তা মূল্যায়নে ভোটার উপস্হিতিকে মূল্যায়ন করা হবে।গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে ব্যার্থ হলে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনের পর নতুন সরকারের অধিবেশন ডেকে ষোড়শ সংশোধনী করে ত্বত্তাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেওয়া হবে। এ থেকে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সেই পুরোনো পথেই আসছে - ১৯৯৬ মডেল।
এ অবস্হায় ভারত কাজ করছে কি করে বেশী সংখ্যক দলকে নির্বাচনে এনে নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্য করা যায় যাতে অনেকবেশী ভোটার উপস্হিত থাকে। তবে আমেরিকাও বসে নেই।
তার আগে তারানকোকে দিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে দুই পক্ষকে রাজী করানোর চেষ্টা চলছে। বিএনপি এতে শর্ত সাপেক্ষে রাজী থাকলেও আওয়ামীলীগ রাজী নয়।
শেখ হাসিনা সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে জরুরী অবস্হা জারী করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চান । কিন্তু শেষ খবর হচ্ছে সরকার সেনাবাহিনীকে রাজী করাতে পারেনি এখন পর্যন্ত। সোনাবাহিনীর ভয় জাতিসংঘের শান্তি রক্ষীবাহিনীতে কাজের সুঝোগ হারানো।
তাই আমাদেরকে আগামী কিছু দিন সেই পুরোনো নাটকের রিহার্সেলই দেখতে হবে। শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ এই রাজনৈতিক কুট কৌশল বাদ দিয়ে অনুগ্রহ করে নিরীহ মানুষের জীবন বাঁচান। আপনার সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে আগামী তিন মাসে কতগুলো জীবন যাবে তা শুধু একবার বিবেচনা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




