অনেক দিন থেকেই একটা ভাবণা আমাকে প্রায় ভাবাতো বিষয়টা ছিল ঠিক এমন, রাজশাহীতে তো কোন কলকারখানা গড়ে ওঠেনি, এখানে এখনও গ্যাস পাইপলাইন আসেনি। আগামী ১০ বছরে এখানে তেমন কিছু হবে এইটা চিন্তা করাও অনেক কঠিন। তাহলে রাজশাহী বাসীর ভবিষ্যত কী ?
এইসব নিয়ে ভেবেও যখন নিজের কিছু করার থাকে না তখন অনেকটা দগ্ধ হয়েই থাকতে হয়। অবশেষে বেশ কিছুদিন আগে মুনির হাসান স্যার’এর সাথে আমার পরিচয় হয়। যিনি খুবই পজিটিভ একটা মানুষ, স্বপ্ন দেখেন দেশের আইটি সেক্টরকে অনেক ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে, এবং নিরলষ ভাবে দেশের জন্য কাজ করেই যাচ্ছেন্
স্যার ‘এর পরামর্শেই আমরা কয়েকজন রাজশাহীতে আইটি নগরী গড়ে তোলা সম্ভব কিনা এই নিয়ে একটি জরিপ করছিলাম।।
প্রথমেই আমরা জরিপ করি রাজশাহীর কিছু উন্নয়নকর্মী যারা রাজশাহীর জন্য কিছু করার চেষ্ঠা করে। তাদের মধ্যে একজন জামাত খান,
জামাত খান সাহেব বিষয়টি জেনে অত্যন্ত খুশি, তারা নিজেরাও এমনটি ভাবেন, তিনি জানেন রাজশাহীতে আইটি নগরী গড়ে তোলা কত বেশী গুরুত্তপুর্ন একটা দাবী, তিনি বলেছেন, তার অবস্থান থেকে তিনি আইটি নগরী গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন এবং আমাদের সাথে তিনিও এই বিষয়ে কাজ করবেন। তার মাধ্যমেই পরিচয় হয়, রাজশাহীর স্থানীয় সংবাদ পত্র সোনালী সংবাদের সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী সাহেবের সাথে, তিনি ও আমাদেরকে বেশ সহযোগিতা দিয়েছেন, সেই সাথে বলেন, বিসিক এলাকায় অনেক জায়গা আছে, সেখানে আমরা সহজেই আইটি নগরীর জন্য একটা অবকাঠামো দাড় করাতে পারি।
তারপর জামাত খান সাহেবের পরামর্শেই আমরা রাজশাহী চেম্বার অব কমার্চ ইন্ডাট্রির প্রেসিডেন্ট এবং ডিরেক্টর দের সাথে একসাথে বসে এ বিষয়ে অনেক আলাপ করি, তারা আইটি নগরীর প্রয়োজনীতা জানেন এবং বাঙ্গালোর ভিজিট করেছেন, তারা দেখেছেন বাঙ্গালোর এর বাস্তব অবস্থা, তারা রাজশাহীতে ও এমন সপ্ন দেখেন, এই প্রজেক্টকে সফল করতে তারা আমাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন, প্রয়োজনে তারা এই বিষয়ে চেম্বার অব কমার্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আবেদন করবেন।
এবং রাজশাহীতে আইটি নগরী বিষয়ে যদি কোন সমাবেশ হয় তাহলে তারা পুরো ইস্পন্সর দিবেন।
এরপরই আমারা বসি জাতীয় সংসদের সদস্য জনাব ফজলে হোসেন বাদশা’এর সাথে, তিনি আমাদের’কে আরও বেশ কিছু গুরুত্তপুর্ন তথ্য দিয়েছেন, তিনি বলেছেন এই বিষয়ে তিনি সংসদে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী নিজেও সংসদে রাজশাহীতে আইটি নগরী গড়ে তোলার ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন এই বিষয়ে মন্ত্রীর সাথে কথা বলতে, এবং তিনি নিজেও মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন এ বাপারে মন্ত্রালয়ে অনেক পেপার তৈরী করা আছে।
এই তথ্য গুলো পেয়ে আমরা আরো সাহসী হয়ে উঠি, এর পরপরই আমরা আরও কিছু গুরুত্তপুর্ন মানুষের সাথে কথা হয়, বিশেষ করে যাদের কথা না উল্লেখ করলেই নয় এমন দুইজন ব্যাক্তি প্রফেসর ডঃ মোঃ মুর্তুজা আলী স্যার ( রেজিষ্টার, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্দ্যালয় ) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্দ্যালয়ের কম্পিউটার কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ শামীম আহমেদ স্যার এর সাথে যাদের অনুপ্রেরনা আমাদেরকে আরও একধাপ এগিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে বিসিসি, বেসিস, এবং মন্ত্রীমহাদয়'এর সাথে আলোচনা হয়েছে এবং আরও আলোচনা চলবে পজিতিভ নেগেতিভ অনেক ভাবনা আসতেছে। তাছাড়া আমরা রাজশাহীর সব সফটওয়ার ফার্মের মালিক এবং কিছু আউটসোর্সিং করে এমন মানুষ দের সাথে একসাথে বসেছিলাম। যেখানে আমাদের অনুরোধে মুনীর হাসান স্যার ও উপস্থিত থাকেন। স্যার এর সুচিন্তিত মতামতে আমরা আরো ব্যাপক ভাবে কাজ শুরুর কথা ভাবি।
ভাবনা গুলো ছিলো এমন।
বিশেষ করে প্রথমেই রাজশাহীতে আইটি নগরীর মত করে পরিবেশ তৈরী। এখানে তিনটা এলাকাকে (রাবি, রুয়েট, সাহেব বাজার) ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক করা যেতে পারে।
তাছাড়া একটা ওয়েব সাইট করা হবে যেখানে আমরা কি কি করছি এবং আমাদের কি কি আছে, আমরা কেনো রাজশাহীতে আইটি নগরী গড়ে তোলতে চাই এসব বিষয় নিয়মিত আপডেট করা হবে। ইতিমধ্যে আমরা Click This Link ইয়াহু গ্রুপ খুলেছি, যেখানে সম্ভাবনা নিয়ে মুক্ত আলোচনা হতে পারে। তারপরও আমরা এখন একটা লিস্ট করছি যেখানে আইটি নগরী গড়ে তুলতে রাজশাহীতে কি আছে আর কি নাই, কারা বিনিয়োগ করতে পারে এসব বিষয় নিয়ে। …
আশা করছি আমরা ঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। তারপরও যদি কারও পরামর্শ থাকে জানতে পারলে অনেক ভালো হত।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৯