somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও কিছু স্মৃতিকথন !!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হ্যালো
আসসালামুআলাইকুম স্যার। আমি শামসীর।
আচ্ছা ছেলেরা বলল তুমি নাকি জব টব না খুজে সারাদিন ঘুমিয়ে পার করে দিচ্ছ।
(আমিত পুরা টাসকি খাইয়া গেলাম, স্যার বলে কি, নিজের সামলে নিয়া বললাম ) স্যার সুখবরটা বলার জন্যই ফোন করছি। স্যার আমার ঐ জায়গাতে জব হয়েছে, ওদের টেকনিক্যাল এ আমাদের ডিপার্টমেন্টের আমিই প্রথম রিক্রুট।
কংগ্রাচুলেশনস , সো তোমার উপর কিন্তু অনেক দায়িত্ব।
দোয়া করবেন স্যার।

জবে জয়েন করার পর স্যারকে ফোন দেয়ার পর উপরের কথোপকথন। আমার ঘুম প্রিয়তার খবর স্যারকে কে দিল এই নিয়া চিন্তা করতে করতে পরের ব্যাচের একটাকে ফোন দিলাম। অট্টহাসি দিয়া বলল , ভাই আমরা স্যারের বাসায় গিয়েছিলাম। তোমাদের ব্যাচের সবার খবর জানতে চাইলে একজন বলল সবাই জব করে আর শামসীর ভাই জব করবেননা। কেন জানতে চাওয়ায় একজন স্যাররে বলছে তুমি সারাদিন ঘুমাও, জবটব নিয়া তোমার ভাবার টাইম নাই। এতক্ষনে আমি বুঝলাম ঘটনা কি !!!

পছন্দমত না হলে যে আমি কোন কাজেই নাই সেকথাটা আর স্যারকে বলা হলনা। কি করেই বা বলি , আমি যে অনেক আগে স্যারের অন্য একটা কথা পছন্দ করে বসে আছি।

৯৯ ব্যাচের ওরিয়েন্টশনে স্যার বললেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সময়টা তোমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময় শুধু মাত্র বইমুখী হলে চলবেনা, তোমাদের অনেক দায়িত্ব, চারপাশটা দেখ, শিখ, বই এর বাইরেও আরেকটা পৃথিবী আছে, তার জন্য ও তোমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। নিতান্তই কিছু করতে না পারলেও অন্তত দেখ। এটা তোমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়, এটাকে নস্ট হতে দিওনা।

স্যারের শেষ কথাটা যেন আমার মাথায় ঢুকে গেল "নিতান্তই কিছু করতে না পারলেও অন্তত দেখ। " ফটোগ্রাফীর শখটাও যেন আরও গতি পেল। তাই ক্লাশ চলাকালীন সময়েও আমার ঠিকানা ক্লাশে না হয়ে হয়ে গেল অন্যখানে। বই বাদে বাকী সব ই আমার ভাল লাগে, আড্ডা, টংবাজী, এই ঐ অনুষ্ঠান করা এসব ই হল আমার রুটিন। খেলার মাঠে সবার আগে আর ক্লাশে সবার পরে যাওয়াটাই বেছে নিলাম।

স্যার কে প্রথম দেখি ভার্সিটিতে ভর্তির সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে। স্যার আর ম্যাডাম একসাথে আসছিলেন। সালাম দেয়ার পর স্যার এত সুন্দর করে উত্তর দিয়েছিলেন আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। স্যাররা ছাত্রদের সালামে সাধারনতঃ ওয়ালাইকুম বলেই ছেড়ে দেন, আমার বাবা ও তাই করেন দেখেছি। কিন্তু স্যার সবসময় পুরা স্পস্ট করেই উত্তর দেন, অন্তত আমি এর ব্যত্যয় দেখিনি। কেন জানি ব্যাপারটা আমার খুব ভাল লেগে গিয়েছিল, যিনি সালাম দেন তাকে গুরুত্ব দেয়ার একটা বিষয় ফুটে উঠে এতে।

ওরিয়েন্টেশনে যখন আমার স্কুলের নাম বললাম স্যার সাথে সাথেই বলে উঠলেন আরে ঐ স্কুলেরত (চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল) আমিও ছাত্র ছিলাম। আচ্ছা অমুক অমুক স্যাররা কি আছেন। হাসি দিয়ে বললাম স্যার আপনি আজ থেকে কত বছর আগে পড়েছেন , ওনারাত এতদিনে রিটায়ার্ড করেছেন। হুমমম তা ঠিক বলছ।

প্রথম পিকনিকে স্যার আমাদের সাথে যেতে পারলেননা, পুরা ক্লাশই আমরা ব্যাপারটাই হতাশ হলাম। যেটা স্যারকে বলাতে তিনি পুষিয়ে দিলেন লাস্ট সেমিস্টারে আমাদের সাথে পিকনিকে গিয়ে, সে এক অন্যরকম মজা ছিল, স্যার আমাদের সাথে লেকে নেমে সাঁতার ও কাটলেন।



শুরুতেই একটা অন্যরকম বিষয় চোখে পড়ল। ডিপার্টমেন্টের কাজ কর্মের বিষয়ে স্যার নিজেই অফিসে ছুটে যেতেন , স্যারের ক্লান্তিহীন পথচলা, আমি অবাক হতাম যেখানে স্যার ডাক দিলে অফিসের সহকারীরা ছুটে আসবে, সেখানে তা না করে তিনি নিজেই ফাইল নিয়ে ছুটে যেতেন যেকোন কাজে। আরোও অবাক করা বিষয় ছিল রাত আটটা নয়টা পর্যন্ত ডিপার্টমেন্টে থেকে স্যার এত বই লেখার সময় কোথায় পান।

মজার ব্যাপার হচ্ছে স্যারে সাইন্সফিকশানের মোটেও ভক্ত হতে পারিনি, অন্যভাবে বললে আসলে এ ধরনের ফিকশন আমার খুব একটা ভালও লাগেনা। তবুও কপোট্রনিক সুখদুঃখ বইটি বেশ ভাল লেগেছিল, যেটা পড়ে আমি আসলে বুঝেছিলাম সাইন্সফিকশান কি জিনিস !! আমার বন্ধু রাশেদ, দুস্ট ছেলের দল, হাত কাটা রবিন , নিঃসঙ্গ গ্রহচারী, আয়না ঘর ................. খুব কমই পড়া হয়েছে স্যারের বই। নিজের জন্য কখনো না কিনলেও গিফট দেয়ার জন্য স্যারের বই ছিল প্রথম পছন্দের। অটোগ্রাফ সহ একটা বই প্রাপককে নিশ্চিত মুগ্ধ করত, অন্তত আমার ছোট ভাই বোনকেত দেখেছি মুগ্ধ হতে যখন তারা দেখত তাদের নাম লিখে স্যার শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন !!

পরিচিত প্রায় সবাই একটি জিনিস জানতে চাইতেন স্যার কি ক্লাশ নেন, কেমন, নেন কিনা। সত্যিকথা বলতে গেলে আমার জীবনে পাওয়া স্যার দের মধ্যে আমি সবচেয়ে ভাল ক্লাশ নিতে দেখেছি জাফর স্যারকে। সময়ানুবর্তিতার পারফেক্ট উদাহরন হিসেবে তার নামটা সবার উপরে থাকবে। স্যাররা ক্লাশে না এলে বা দেরী করলে আমাদের রাগ করার কোন কারন ই নেই , ধুম আড্ডা গান চলত, এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলেন তিনি যথাসময়ে ক্লাশে হাজির, বলতে গেলে আমাদের আগেই সকাল আটটার ক্লাশে তিনি হাজির হতেন, কখনো না জানিয়ে ক্লাশ বাদ দিয়েছেন একথা মনে পড়েনা, আগেই জানিয়ে দিতেন অমুক দিন তিনি থাকবেননা, অমনটিও হয়েছে কদাচিৎ। সিলেটের বাইরে ওনার সকল শিডিউলই থাকত শুক্র শনিবারে।

আমারমত বই বিচ্ছিন্ন বালক ও ঠিকি ওনার ক্লাশে হাজির হত, তন্ময় হয়ে শুনত, ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন কোর্সটা এখন ও আমার মনে দাগ কেটে আছে। এত চমৎকার করে স্যার এক একটা জিনিস বুঝাতেন না বুঝে উপায় ছিলনা। আমার ভার্সিটি লাইফে এই একটা কোর্সের ই প্রেমে পড়েছিলাম আমি। এমন না যে আমি উল্টিয়ে ফেলেছি কিছু একটা করে বাট সে ভাল লাগাটা এখন ও রয়ে গেছে মনে, ঐ একটা বইই পড়তে আমি আগ্রহ পেতাম।

একাডেমিক বিষয়ে স্যার ছিলেন স্বৈরাচারী, যার সুফল পেত সিএসই বিভাগের ছাত্ররা, অন্য সবার আগে সেমিস্টার শেষ করে। খেলাধুলা বা অন্য আয়োজনের জন্য সবার আগে আমি স্যারের রুমে গেলেও পরীক্ষা পিছানোর মত প্রিয় দাবীতে স্যারের মুখোমুখী হতে চাইতামনা। একবার সবাই মিলে গেলাম একটা কোর্স ফাইনাল পিছানোর জন্য। স্যারের সোজা উত্তর এর জন্য আমার কাছে এসেছ কেনো। লাইব্রেরীর সামনে যে বাস গুলো দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো ভেঙ্গে দাও, পরীক্ষা এমনিতেই পিছিয়ে যাবে, ব্যর্থমনোরথে ফিরে আসা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার ছিলনা।

ভার্সিটিতে ক্লাশ চালুর জন্য একবার আমরা আন্দোলনে নামলাম, ধারাবাহিকতায় একদিন একাডেমিক কাউন্সিলের সবাইকে অবরুদ্ধ করা হল। টানা আঠার ঘন্টা চলল সে অবরোধ কাল, স্যার ও ছিলেন তাদের মাঝে। রাত তিনটার দিকে আমাদের ডাক পড়ল ভিসির রুমে। সামনেই ছিলাম- স্যার এইসব ব্যাপার নিয়ে কখনো নেগেটিভ কিছু শো করেননি। একাডেমিক ব্যাপারের সাথে কখনো আউটসাইড ইস্যু জড়াতেননা। ছাত্র শিবিরের হল শাখার সভাপতি ছিলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের, শিবিরকে স্যার যতই অপছন্দ করুননা কেন এসব ব্যাপার কখনো বিভাগে স্হান পাইনি।

বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রেজাল্ট মূল ব্যাপার হলেও দুবারের দুটো ঘটনা একটু আলোড়ন তুলেছিল। একজনকে নেয়া হয়েছিল যাকে স্যার অসম্ভব পছন্দ করলেও শিক্ষক হিসাবে তিনি খুব একটা ভাল করতে পারেন নি, যদিও আদার সাইডে তার মত স্মার্ট লোক খুজে পাওয়া মুশকিল, যিনি এখন দেশের টেলিকম সেক্টরে বেশ ভাল অবস্হানেই আছেন, শিক্ষকতা তাকে দিয়ে হবেনা বুঝে সরে গিয়েছিলেন। পরের আরেকটা নিয়োগ নিয়ে বলতে পারি অন্য অনেকের চেয়ে সে অনেক ভাল করবে, আর মন্ত্রী এমপিদের রিকোয়েস্টে যেসব অযোগ্যদের নেয়া হয়েছে তাদের চেয়ে স্যারের ব্যক্তিগত পছন্দ অনেক ভাল ছিল এ কথা আমি বলতে পারি।

একাডেমিক ব্যাপারে স্যার যতটুকু একনায়ক কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার সমিতির সভাপতি হিসাবে তিনি ছিলেন ঠিক ততটাই গণতান্ত্রিক। আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেয়া সিদ্ধান্ত গুলোর উপর তিনি কখনোই কোন কিছু চাপিয়ে দিতেন না। সমিতির নির্বাচন নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও স্যার বলতেন এখান থেকেই আমাদের জয় পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি হবে, জীবনে সবসময় যে জিতব তাত নয়।

স্যারের বাসায় প্রথম যাওয়া হয় আমার এক বন্ধু দেশের বাইরে চলে যাবার আগে স্যারের সাথে দেখা করার শখ পূরন করতে আসায়। স্যার ম্যাডাম দুজনেই চমৎকার আড্ডা দিতে পারেন এবং আমুদেও তারা। শেষে স্যারের বাসায় এমন হয়েছিল আমরা কয়েকজন এক সাথে গেলে কেউ কেউ ডাইনিং রুমে গিয়ে ফ্রীজ ও খুলে ফেলত।

স্যারের সবচেয়ে প্রিয় গল্প হচ্ছে ম্যাডামের কাছে তার টাকা ধার নেয়ার গল্প। আমেরিকায় পড়ালেখা করার সময় যখন দেখলেন ম্যাডাম থেকে নেয়া ধারের পরিমান বেশী হয়ে গেছে তখন নাকি তার মনে হয়েছে বিয়ে করে ফেলাই এই ধার মুক্তির সমাধান। ক্যাম্পাসে হাত দেখতে জানা স্যার নাকি ম্যাডাম কে বলেছিলেন তার স্বামী অনেক ধনী হবে। বাসর রাতে ম্যাডামের প্রথম কথাই নাকি ছিল- হুমম আমার স্বামী অনেক ধনী হবে তাইনা !!!

ম্যাডাম কে আর জিঞ্জাহা করা হয়নি এখন তার প্রতিক্রিয়া কি। যে কোন প্রোগ্রাম আয়োজনে দেখা যেত শেষে গিয়া পাঁচ দশ হাজার টাকা শর্ট- আমাদের তখন নিশ্চিত গন্তব্য ছিল ম্যাডামের ধনী স্বামী।

স্যারের সব বিষয় যে আমার সবসময় ভাল লাগে তা নয়। স্যারের অনেক কলামের লিখা আমার পছন্দ হয়নি। পছন্দ হতে হবে এমনও কোন কথা নেয়। আমার মত আমার স্যারের মত তার। তবে স্যারের একটা বিষয়ে নীরবতায় অনেক কস্ট পেয়ে শেষমেস আমি স্যারকে একটা এসএমএস করে বসেছিলাম। অন্য সবসময় রিপ্লাই দিলেও স্যার এর কোন জবাব দেননি। সেটা ছিল টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে, যেটা নিয়ে স্যার আগে অনেক সরব ছিলেন। লিখেছিলাম স্যার এই বিষয়ে আপনার লেখা চায়। জানিনা কেন তিনি নীরব ছিলেন, কি ছিল সীমাবদ্ধতা।

বিচলিত হওয়া ব্যাপারটা স্যারের মাঝে কখনো দেখিনি ,যদিও মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে প্রায়ই তার কাছে চিঠি আসত। তবে একটা ব্যাপারে স্যার বেশ হতাশ হয়েছিলেন সেটা বেশ বুঝা যেত যখন হুমায়ুন আহমেদ শাওন কে বিয়ে করলেন। এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষক সমিতির মিটিং এও অনেকে স্যারকে বেশ উচ্চস্বরে টিপ্পনি কেটেছিল যা আমাদের কানেও এসেছে। স্যারের শিক্ষক পরিষদের রাজীতিতে জড়ানো টাও আমার ভাল লাগতনা, কেন জানি মনে হত তার ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাকিরা প্র্যাকটিস করছে।

স্যার তার বিভিন্ন লেখায় মানুষের প্রতি তার গভীর বিশ্বাসের কথা বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও সবসময় মানুষকে বিশ্বাস করার চেষ্টা করি , বেশ কয়েকবার ধরা খেলেও আমার এই বিশ্বাসে পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু আমার সাথে ঘটে যাওয়া এক ঘটনায় স্যার যেন তার মানুষের প্রতি বিশ্বাসের কথা ভুলে গেলেন।

প্রথম সেমিষ্টারের কোন একটা ক্লাশে আমি একদিন দেরী করে যাওয়ায় শেষে স্যারের কাছে গেলাম পার্সেন্টিজের জন্য। খাতা খুলে স্যারত হতবাক। তোমার টাত দেয়া হয়ে গেছে। আমিও হতবাক। ধুম করে স্যার বলে বসলেন তোমার দশটা পার্সেন্টিজ কাটা এবং সাথে সাথে তিনি গোল দাগ করে দিলেন। বললেন তোমার কোন বন্ধু প্রক্সি দিয়েছে, কে দিয়েছে সেটা স্বীকার না করলে তোমার এটা কাটাই থাকবে। আমিত টাসকি খাইয়া গেলাম বলে কি।
পরে বন্ধু মামুন সহ স্যারের রুমে গিয়ে বললাম স্যার কেউ প্রক্সি দেয়নাই, আর আপনার ক্লাশে প্রক্সি দিবে এমন সাহস কারও নাই। স্যার কোন কথা শুনলেননা। রুম থেকে বের হয়ে আমি চরম হতাশ হলাম, স্যার আমার কথা বিশ্বাস করলেননা বলে। এই দুঃখের কথা বিদায় অনুষ্ঠানেও আমি বলে এসেছি। যদিও স্যার আরোও বড় ব্যাপারে আমার উপর বিশ্বাস স্হাপন করে এই ক্ষত পুষিয়ে দিয়েছিলেন।

বিভাগের যুগপূর্তি উৎসবের প্রায় দেড় লাখ টাকার বাজেট পুরাটা আমি নিজ হাত দিয়ে খরচ করেছি। শেষে নির্বাহী সভায় যখন হিসাব দিলাম তখন স্যার বললেন আমি ধরে নিলাম অর্থ ব্যয়ে কোন অসংগতি নেই, বাকী সদস্যরাও একই কথা বলায় স্যার বিল পাশ করে দিলেন। সেদিন থেকে যেন আমার নিজের উপর দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল, এই বিশ্বাস রক্ষা করার জন্য আরও সতর্কতা সবসময় কাজ করত। এরপর অন্যান্য প্রোগ্রামে আমি আরও বেশী সতর্ক থাকতাম ঐ বিশ্বাসের মুল্য যাতে অক্ষুন্ন রাখতে পারি সেজন্য।

অনেকে প্রশ্ন তুলেন জাফর ইকবাল বাঙ্গালী জাতিকে কি দিয়েছেন। এই নিয়ে আমার তেমন একটা মাথা ব্যাথা নেই- আমার প্রতি বিশ্বাস রেখে তিনি আমার মাঝে দায়িত্ব বোধ ও সবসময় সৎ থাকার যে প্রেরনা জাগিয়ে দিয়েছেন তাতেই আমি খুশী।

শুভ জন্মদিন স্যার।


৯৭টি মন্তব্য ৯২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×