somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জমকালো উদ্বোধন - মাঠে বসেই (ছবি ব্লগ-১)!!!!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ডান কাঁধে ক্যামেরাটা ঝুলছে, প্রথম সিকিউরিটি পোস্ট পার হলাম, দেখলাম কেউ কিছু বলছেনা । খুশি হবার সাথে সাথে কিছুটা হতবাকও বটে। গ্যালারীতে ঢোকার আগে দ্বিতীয় পোস্টে পুরো শরীর চেক করল , ক্যামেরা নিয়ে কেউ কিছু বললনা !!!! গ্যালারীতে পা দিয়েই যেন বিশাল কিছু একটা জয় করে ফেলার আনন্দ পেয়ে গেলাম। আরো মজা লাগল যখন আমার হাতে ক্যামেরা দেখে আশেপাশের সবাই বলল ভাই আপনি কেমনে ক্যামেরা নিয়া আসলেন, সাংবাদিক নাকি, আমরাতো ঢুকতে দিবেনা বলে আনলামনা। বিজয়ীর হাসি দিয়ে বললাম কই কেউতো আমারে আঁটকাইলনা। আশে পাশে ব্যাপক আফসোস শোনা গেল কিছুক্ষন।

আমার অবশ্য ওপেনিং দেখার কোন চান্স ছিলনা। অফিসে যাবার সময় সাথে করে ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিলাম মাঠের আশে পাশে যাব এই ভেবে যে যদি আতশবাজির ছবি তোলা যায়। বারটার দিকে আজাদ ভাই ফোন করে বললেন শোন আমার কাছে একটা টিকেট আছে তুমি বাসায় এসে নিয়ে যাও। আমিত মহাখুশি, না চাইতেই এটা কি পেয়ে গেলাম। কিছুক্ষন পরে ফোন দিয়ে বললেন একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গেছে- আমাকে আমার ভাই ফোন দিয়ে বলেছে টিকেট আছে একটা, আমিত শুনছি আটটা । ভাই বারবার সরি বললেন, আর আমি বললাম ব্যাপারনা..........

অফিস থেকে বের হয়ে হবু বউ সহ লাঞ্চ করতে বসলাম, তাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আমি স্টেডিয়াম এলাকায় যাব। এমন সময় আজাদ ভাই আবার ফোন দিলেন, শোন তোমার জন্য একটা টিকেট ম্যানেজ হইছে, তুমি আস, তবে ক্যামেরা মনে হয় নিতে পারবানা !!!!

তবুও ভাবলাম একটা রিস্ক নিয়ে নিই। নিয়েই যায় ক্যামেরা । আমার হবু বউ ও রাজি হল সে আমার সাথে যাবে, ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে না দিলে সে ওটা নিয়ে বাসায় চলে যাবে, তার জন্য ব্ল্যাকে আরেকটা টিকেট নিতে চাইলেও সে রাজি না কারন তার একটা প্রোগ্রাম আছে।

দুজন হাঁটছি, বেচারিও আমার সাথে কস্ট করছে , যদিও কোন কস্ট হচ্ছে সে এটা মানতে চাইছেনা। পুলিশের সহায়তায় জানতে পারলাম কোন গেইট দিয়ে ঢুকতে হবে। পুলিশের কাছে জানতে চাওয়ায় তারা বলল ক্যামেরা নেয়া যাবেনা, মোবাইল নেয়া যাবে। আমি ঠিক বুঝতে পারলামনা এটা কোন ধরনের সিকিউরিটি প্যারামিটার, যায় হউক হাঁটছি, বিশাল লাইন। গেইটের কাছে গিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে কাছাকাছি গিয়ে জানতে চাইলাম, তারা বলল ক্যামেরা নেয়া যাবেনা, এক সাংবাদিককেও জিজ্ঞাসা করলাম, সেও বলল যাবেনা। আমার মানতে কস্ট হচ্ছিল ক্যামেরা ছাড়া এমন অনুস্ঠান দেখব।

শেষ চেস্টা হিসেবে পুলিশের উর্ধতন কারো সাথে কথা বলার জন্য আবার সামনে গেলাম। এমন সময় এক অফিসার বলল আপনার টিকেট আছে। আছে বলার সাথে সাথে বলল ঢুকে যান টিকেট থাকলে , আমাকে সে লাইনের মাঝে ঢুকিয়ে দিল !!! কিছু বোঝার আগেই আমি ভিতরে , এই দিকে বাইরে ক্যামেরার ব্যাগ আর স্ট্যান্ড নিয়ে ও দাঁড়িয়ে আছে !!!
ভিতরে ঢোকার পর ফোনে ও বলল তুমি দেখ ক্যামেরা ভিতরে নিতে পার কিনা, আর না হলে আমি বাইরে আছি। শেষমেষ গ্যালারিতেও পৌঁছে গেলাম আমি ক্যামেরা সহ, ব্যাগ- স্ট্যান্ড- রিমোট নিয়ে সে বাসায় চলে গেল। আজাদ ভাই আর আদৃতার এই উদারতায় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেলাম আমি। কৃতজ্ঞতা এই দুজনের কাছে।

সাহস করে ক্যামেরাটা নেয়ায় লাভই হল । ক্যামেরার মেমোরিতে নিজের মত করে ধরে রাখতে পারলাম পুরোটা সময়। আলোচনা সমালোচনা অনেক কিছুই করা যাবে অনুস্ঠান নিয়ে , সেসব অন্য দিন। একটা কথাই বলা যায় - হ্যাঁ , চাইলে আমরাও পারি !!!!















































সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
৩১টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×