গতকাল দিল চাহতা হে দেখতে দেখতে ব্যাপক নস্টালজিক হয়ে গেছিলাম। কেমন একটা শূন্যতা ভর করছিল । মনে হচ্ছিল কত কিছুই এই জীবন থেকে নাই হয়ে গেছে ধীরে ধীরে.........অবশ্য এত হা হুতাশ এর কিছু নাই, এটাই জীবনের নিয়ম । ।
একটা সময় ছিল, সদরঘাটে জাহাজের উপরে বসে আড্ডা দিচ্ছি , একজন বলল চল কক্সবাজার ঘুরে আসি । পরদিন সকালে আমি জামিল আর মিঠু সোজা রওনা দিয়ে দিলাম, সারাদিন কাটিয়ে রাতে আবার চিটাগাং এর পথে -সাগরে গোসল, রোদে বসে বসে গা শুকানো !!!
কিংবা কর্ণফুলীর পাড়ে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে তৈরি টাগবোট কান্ডারী-১০ এর উদ্ভোদন অনুষ্ঠান শেষে সবাই বিরিয়ানি খাচ্ছে, আমি জামিল আর মিঠু গিয়ে সেখানকার এক হর্তাকর্তাকে বললাম ভাই আমাদেরত বিরিয়ানি খাইতে ইচ্ছা করতেছে । তিনি সুন্দর আমাদেরকে খাইতে বসিয়ে দিলেন।
মহাখালী মোড়ের হোটেলে বসে নান খাচ্ছি সবজি দিয়ে, পুব আকাশে গোল টকটকে চাঁদ । মিঠু বলল চল কুমিল্লার দ্বেবীদ্বারে আমার নানার বাড়ির পাশের বিলে নৌকায় বসে চাঁদ দেখব । যেই কথা অমনি সিএনজি নিয়ে সাইদাবাদ, সেখান থেকে দ্বেবীদ্বারে, চাঁদ দেখা, জ্বীনের ভয়ে মাঝ রাতে দৌড়...............
যায় হউক নস্টালজিক মনে সকালে দুই দোস্তরে মেসেজ দিলাম -
দোস্তরা,
কালকে রাতে টিভিতে দিল চাহতা হায় দেখতেছিলাম । দেখতে দেখতে কেমন জানি ইমোশনাল হইয়া গেলাম শূন্য শূন্য লাগতেছে । আমাদের সেরাসময় গুলা কি আসলে হারিয়ে গেছে !!!!! ইচ্ছা হলতো ঘুরতে বের হবার দিন গুলা নাই হয়ে গেছে সে কবেই............।
একটা কাজ কর, তোরা দুপুরে বসুন্ধারায় চলে আয় । একসাথে লাঞ্চ করি..............
......................................................................
৬ বন্ধু মিলে আজকে দুপুরে একসাথে লাঞ্চ করলাম ।
সিনেমায় সাইফ আলীর একটা ডায়ালগ ছিল- কেক খবার জন্য আমরা যেকোন জায়গায় যেতে পারি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭