---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন মতাদর্শ হোক তার রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনিই মূলত সংস্কৃতিবান। যার চারিত্রিক দৃঢ়তা পাহাড়সম, যিনি অশুভকে মোকাবিলা করতে চান তার নৈতিকতার সংস্কৃতির মানদণ্ডে, তিনি পক্ষ-বিপক্ষ সকল প্রাণকে প্রাণের বাঁধনে বেঁধে ফেলেন। সকলে তাহার আপনার আপন। রবীন্দ্রনাথ বলেন---
---------"চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
------------জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর"
বোতাতুতা সংস্কৃতিবান জুজুরভয়ে ডরান, কেউ তার মতাদর্শের চেয়ে বেশি সে ডরান ; তার বিনাশ চান। তাকে পাকিস্তান পাঠাতে চান, তিনি ধর্মের মতাদর্শের গুষ্টি উদ্ধার করে সংস্কৃতিবান হতে চান। তিনি সরকারেই থাকতে চান, কোন সংগ্রাম চান না৷ তিনি একটা দেশের পেরারি হতে চান। তিনি দেশের মানুষের চেয়ে অন্য একটা দেশকে পচুর ভালোবাসেন।
তিনি বাবা-কে অস্বীকার করতে চান। তিনি পচুর ইংলিশ মিডিয়াম চান, তিনি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠায় কাঁদেন না। তিনি উচ্চ আদালত এবং কথায় বাংলিশ চান। বাংলা ভাষায় প্রকাশে বহু শব্দ নেই, তিনি সেগুলো গড়তে চান না। কাজ করেন না। তিনি পোশাকে পশ্চিমা (ওয়েস্টার্ন) খোঁজেন। বলেন এগুলো ছাড়া আমি পড়তে পারি না। তিনি পচুর হ্যালো গাইজ বলেন। ও হ্যাঁ তিনি একটা দিন গোল্লার মতো বড় একটা লাল টিপ পড়েন, সাথে শাড়ী, দেখেই বোঝা যায় এ চুল তিনি পড়ে অভ্যস্ত নয়।
তিনাকে যে এ মানানসইহীন টিপে কি পরিমাণ বিশ্রী লাগতেছে এইডা কওয়া যাবে না। কইলাম না, আপনার স্বাধীনতা বাঁচুক। কিন্তু আপনি যে আমার স্বাধীনতায় দড়ি লাগাতে চান এইডা কি? কন তো দেহি? মুলা’র দিনে আপনার সংস্কৃতি কই যায়?
আপনি সংস্কৃতিবান ; আপনি আপনার মতাদর্শ প্রচার করুন, সংস্কৃতিকে পরিচয় করিয়ে দিন। কই আপনি তো সংস্কৃতিক জঙ্গী। আপনি তো ছাইপাঁশ চাপিয়ে দিতে চান। কেন? আমার মতাদর্শ দেখতে আপনার ভালো লাগে না?
দেশের একজন নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী গোগ্রাসে টিকে আছে, কোথায় আপনার সংস্কৃতি? তখন কি আপনার সংস্কৃতির লেঞ্জা খাড়ায় না? নাকি আপনি চান স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আপনি আমার মতাদর্শ নাশ করবেন? আপনি তো পুরোপুরি সংস্কৃতি জঙ্গী। তাপস বকে দিলো সুলতানা কামাল-কে।
পানিতে চুবাবে বলে দিয়েছে।
উনি যতটুকু পেরেছেন সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, মোটামুটি প্রতিবাদ করেছেন বলা যায়! আপনার মতো সংস্কৃতিবান ক্ষুমা গুলো খোঁজলাম। একটাও পেলাম না। সারা জীবন সুলতানা কামাল তাদের সমর্থন দিয়েছেন, তাই আমার আপত্তি উনাকে নিয়ে, কিন্তু যতটুকু পেরেছে বলেছে, আপনার ক্ষুমা তখন দেখা যায়নি।
মুলা’র দিনে জামাই আপনি যে ডুব দেন, তখনও তো দেশে সংস্কৃতি চালু থাকে। সময়গুলো তখন তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যায় না। আপনি শুধু মাতৃভাষা দিবসে, পহেলা বৈশাখে আর বসন্তে জাগেন! আমার ভীষণ ভালো লাগে৷ মনে চায় আপনাকে মুলার শরবত,মুলার ডাল, মুলার ভাত, মুলার হালুয়া, মুলার কারি, মুলার আম-ডাইল, মুলা শাক, মুলার বিরিয়ানি খাওয়াই। কিন্তু তখন তো মুলা’র দিন থাকে না, তখন আপনারা দলবদ্ধ, কিছু বলা যায় না। আলপনা নিয়ে পরিবেশের কথা বললে আপনি ভীষণ ক্ষেপে যান। যেন আপনি আমাকে পারলে এখনই পাকিস্তান পাঠান বা গলা চেপে আমাকেও বলান ধন্য ধন্য তোমার মুলা সরি আলপনা।
আমি বলতে চাই মানুষ না খেয়ে আছে, আমি বলতে চাই তুমি মুলা খাও, আমি বলতে চাই তুমি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসো, আমি বলতে চাই তোমার একদিনের সংস্কৃতিবোধ বড় বেমানান। আমি বলতে চাই তোমার সাথে মা মাটি কথা বলে না। আমি বলতে চাই তোমার কাছে বটবৃক্ষের ছায়াও নেই, মায়াও নেই, আমি বলতে চাই তোমার প্রাণে মেলা বসে না, আবার জমবে মেলা বটতলা হাটতলা --- সে মেলার দিনে তুমি নাই, তুমি আছো জামাই মঙ্গল শোভাযাত্রায়, যেটা আমার ধর্মে আঘাত করে, তাও তুমি আনন্দ শোভাযাত্রা বাদ দিয়ে আপেলের জুস খাও, তুমি মুলা’র শরবত পান করো না৷
তুমি বলো আমি অত ক্ষেত না, তোমার ঘেন্না হয়।
হায়রে জামাই! মুলার দিনে আইলা না!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬