somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত যদি উদার হয়, গণতন্ত্র ধরে রাখে, মানবতা সুপ্রতিষ্ঠিত করে, পৃথিবীকে পথ দেখায় জ্ঞানে ও বিজ্ঞানে তবে আগামীর পৃথিবীতে ভারত হবে পথপ্রদর্শক।
-- কি অর্থনীতি, কি বিজ্ঞান, কি জ্ঞান, কি নতুন নতুন উদ্ভাবন, কি মানবতা, কি বিশ্ব সহমর্মিতা, কি যুদ্ধ কৌশল, কি টেকসই অর্থনৈতিক ভিত, আন্তর্জাতিক ভ্যালু চেইন, ভোক্তা ব্যবস্থার পরিবর্তন, উৎপাদন ব্যবস্থার নেতৃত্ব দান; সবক্ষেত্রেই দেশটি সামনে এগিয়ে যাবে।

---যুক্তরাষ্ট্র ;এ নৈর্ব্যক্তিক ধারণার উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, ভূরাজনৈতিক কৌশল, ইন্দোপ্যাসিফিক নিরাপত্তা-অর্থনীতি, পরবর্তী আর্থসামাজিক- রাজনৈতিক ভিত মডেল প্রণয়ন করে ইন্ডিয়াকে নিয়ে। দীর্ঘ শত্রুতা, বৈরিতা এবং সন্দেহ পেছনে ফেলে গড়ে তুলে টেকসই বন্ধত্ব। যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধুত্বের টার্ম ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা দিতে মৌলিক বন্ধু রাষ্ট্রকে সব সময় একটা ভূরাজনৈতিক নির্ভরতা দেয়। মোটামুটি ১০০বছর বিস্তৃত হয় কুটনৈতিক ভিতের। যেমন ফ্রান্সকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়াকে কেন্দ্র করে ওশেনিয়া মহাদেশ।

সে অনুযায়ী দক্ষিণ এশীয় উন্নয়ন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আগামীর ভোক্তা ও উৎপাদন ব্যবস্থায় ভারত একটি বড় ফ্যাক্টর দেশ ধরে এগোনোর চেষ্টায় বড় বড় সন্দেহ তৈরি করে দেয় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় পদক্ষেপে।
যেমন-----
বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন সহযোগী জনরাষ্ট্রিক সম্পর্ক সৃষ্টির প্রথম ধাপেই ভারত হয়ে উঠে একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী এবং বাংলাদেশের জনগণেরও বৈরী। যা এখনো স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে পারেনি, এমন কি স্থিতিশীল সম্পর্কও হয়নি। কারণ একটি টেকসই ভারতে প্রথম শর্তই এটি। অনেককে বলতে শুনি বাংলাদেশের মঙ্গলের জন্যে ভারতকে ক্ষেপানো যাবে না,ভালো সম্পর্ক দরকার ; আপনার মতো বুদ্ধিজীবী নোলকবাবুকে খোঁজে ক্লোজআপ ওয়ান। ভারতের এটি হাজার গুণ বেশি দরকার।

ইউক্রেন-রাশা যুদ্ধে মূলত একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা আছে যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে রাশিয়াকে দ্বিতীয় ভাঙ্গন দেয়া, অথবা মজুদ এবং নিয়ন্ত্রণ অর্থনীতিতে যেন প্রবেশ না করতে পারে সেখানে ব্যর্থ করা। প্লানটা ঠিক ভাবেই এগুচ্ছিলো বলা যায়। কিন্তু রাশিয়া এত আগে যুদ্ধে জড়াবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ও কল্পনায় ছিলো না। ধারণা করা হয় যদি ভারতকে বেইজ ধরে যুদ্ধ কৌশলে এগিয়ে থাকে তাহলে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতই এটি ফাঁস করেছে, অথবা রাশীয় গোয়েন্দা তৎপরতায় ভারত থেকেই এটি ফাঁস হয়েছে। কারণ সংস্কৃতিক ভাবে ইন্দো-রাশা মৈত্রী চুক্তি প্রায় ৭৫ বছরের। রাশা-র প্রচুর নারী গোয়েন্দা ইন্ডিয়াতে চলচ্চিত্র ও এসকট মার্কেটে বিদ্যমান।

ইউক্রেন যুদ্ধের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ভারত মানেনি। রাশা তার তৈল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ট্রানজিট পয়েন্ট বাণিজ্যিক ভাবে ভারতকে ব্যবহার করেছে এবং করছে। তাতে কত পরিমাণ রিজার্ভ কার হচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ধারণার বাইরে। অতীত থেকেই ইরান ভারতকে বাণিজ্য ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে এবং নতুন ছিলো ইরানের দুবাই। ডলারের অদৃশ্যমান মজুদে চীন ব্যাপক এগিয়ে, এগিয়ে রাশা-ও সাথে ইরান। আর বৈধ মজুদ হচ্ছে ইন্ডিয়ার। যা রেকর্ড পরিমাণ।

তাহলে সমস্যাটি কোথায়?

সমস্যা জনঘনত্বে, সমস্যা আগামীর ভোক্তা, সমস্যা আগমীর অর্থনৈতিক বিন্যাসে। মানে ব্রিকস। ব্রিকসকে বেইজ করে যদি অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা করে। সেটি যদি একটি মোটামুটি পর্যায়েও নেয়া যায়। আর আন্তর্জাতিক বাজারে যদি চীন তার অদৃশ্য মজুদকৃত ডলার দ্রুত ছেড়ে দেয়, তাহলে ডলারের পতন, মুদ্রাস্ফীতি ঠেকানো কঠিন হবে। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপীয় ছোট অংশের বাজার, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ এবং ব্রাজিলেসহ দক্ষিণ আফ্রিকায় ; এদিকে রোলিং দেশ রাশিয়া ও ইরানসহ যে আন্তরাষ্ট্রীয় মহাপরিকল্পনায় এটি ব্যাপক কাজে দেবে।

আমেরিকায় একটি গ্রেট ডিপ্রেশন টাইপের অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টিই প্রাথমিক পরিকল্পনা এ গুচ্ছ রাষ্ট্রগুলোর।
সেটি প্রতিরোধেও যুক্তরাষ্ট্রের বড় পরিকল্পনায় ভারত এখনো বন্ধু নয়। নির্ভরযোগ্য নয়।

হঠাৎ এ ধাক্কায় চীন আমেরিকায় মানবিক বিপর্যয় তৈরি করবে, তাই কোন উস্কানিমূলক কাজেই চীন চুপ থাকে। চীনের কয়েকটি মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে, ধরা চলে যুদ্ধ কৌশলে সে অভিজ্ঞতাই একটি বড় অস্ত্র। স্মরণকালের বড় বিপর্যয় হলো চীন-জাপান যুদ্ধের খাদ্যাভাব, চড়ুই পাখি হত্যায় খাদ্যাভাব, কৃষক-শ্রমিক উৎপাদন ব্যবস্থায় বড় বিপর্যয়। সেখান থেকে চীনকে তুলেও আনে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রয়োজনে এবং রাশিয়াকে মোকাবিলায়। বর্তমানের চীন শিল্পের ভীতও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায়৷

যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিলো তার বিকল্প হিসেবে ভারতকে। এমন কি চীনকে ঠেকাতেও। ভারতীয় কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক মহল তা বুঝতে যতেষ্ট ব্যর্থই বলা যায়।
আগামী ৫০/৬০ বছর নানা রাজনৈতিক কৌশলে বেইজ করে চীনকে দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র তার অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক মোড়লগিরি বজায় রাখতে পারবে। কিন্তু বিপর্যয় হবে পরবর্তী ব্রিকস ব্যবস্থায়। তাই নির্ভাবনায় ভারতের মজাকখেলার সুযোগ নাই।

আগামী ৫০/৬০ বছর পর পৃথিবীর মেগাসিটি-র তালিকায় আফ্রিকা থাকবে উপরে। ১০ টায় প্রায় ৮ টা। তাই ভোক্তা বিন্যাস এখানেই বড়। সেখানে চীনের হাত পড়েছে আবার ফ্রান্স আগে থেকেই আগে। সেখানেও আলাদাভাবে হাত যুক্তরাষ্ট্র দিলে ইউরোপে সমস্যা হবে ফ্রান্স জোটে। ধরতে গেলে সেখানে ফ্রান্স ব্যর্থ হচ্ছে।

এখন সবার আগে প্রয়োজন ভারতকে রাস্তায় আনা বা রাস্তায় ফেলে দেয়া। তাই তো ভারতীয় পণ্য আটকে দেয়া। এটি ভারতকে দম বন্ধ করে ছাড়বে। এখনো ভারতীয় অর্থনীতির ভিত শক্ত এবং টেকসই নয়। জাতিগত সমস্যাও হচ্ছে, আরো হবে। ভারতকে রাজনৈতিক মহলকে বুঝতে হবে কোথায় তাদের থামতে হবে।
না হলে তাদের থামিয়ে দেয়ার ফ্যাক্টর খাড়া। ব য় কট ভারত এখনো বিশ্বব্যাপী, তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে গ্লানি ও লজ্জা। রূপীতে লেনদেনের মজা ভারতকে দেখিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। পণ্য নিয়ে বিট করতে হলে সেসব পণ্যের জিআইসহ সব হাতে থাকতে হয়, করতে হয় শতভাগ অর্গানিক। এটিই আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিষ্ঠিত নিয়ম। ভ্যালু চেইনে ভারত পাকিস্তানেরও পেছনে তাই দাদাগিরির সুযোগ নেই।




সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×