প্রথমেই আপনাদের নববর্ষের শুভেচ্ছা। আশাকরি এই বছরটা একটু অ-কর্পোরেট হইবো।
কিন্তু বেশি আশা করনের কিছু পাইতাছি না। পামু কেমনে? এই এক বছরে দ্যাশটা যেমনে পাল্টায়াইয়া গেল...
ডিজি টাল বাংলাদেশ সবকিছু চলতাছে উটের উর্পে
২৫% ছাড়ে মাত্র ১ ঘন্টায় উট পাওয়া যাইতাছে এই দেশে, কেমনে কি?
আর হইবো নাই বা কেন
সবকিছু ডিজিটাল, আবেদন নিবেদন আহাজারি সবকিছুই
সবাই মনে করতাছে দ্যাশ খুব ভালো আছে। অহন রিকশা আলারা বইসা থাকে ট্রাকের উর্পে। কিন্তু ঘটনা তো আসলে যেইটা চোখে দেখা যায় সেইটার উল্টা।
ঘটনা হইল চাউলের দাম কমাও আমরা বাঁচি
পুরাটা পৃথিবীটা জানি কেমন হয়া গেল। খালি যুদ্ধ আর যুদ্ধ
এই পৃথিবী কি খালি হাঁপানীর জন্য?? কে দেবে এই সরল প্রশ্নের উত্তর?
এই ডিজিটাল সময়ে, এই কর্পোরেট সময়ে
মা বাবার দোয়াও প্রাইভেটাইজেশনের হাত থেইক্কা রক্ষা পায় নাই
সবকিছু মেকী মেকী হয়া গেছে
হাসি আছে কেবল পুতুলের মধ্যে, না হলে পুতুলের মত হাসি
পুরা কাহিনী চেইঞ্জ হয়া গেছে, রাজাকারগো বয়ানের মত
নাইলে
সাপের শেড ক্যামনে স্নেক হাউস হয়?
এর্টাস বাথরুম সহ একটা রুম ভারা দেয়া হবে। বাহ! তাইলে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ রুম নাকি বাথরুম। আর এর্টাস জিনিসটাই বা কি?
আগে জানতাম জুতা খুলতে হয়, জুতা খুলে প্রবেশ করতে হয়
এখন জুতা মুছলেই চলে বাহ বাহ। হেব্বী ডিজিটাল হেব্বী বঙ্গবন্ধু
তা না হইলে
আ.জ.ম. বদরুল ভাইয়ের জন্য শোকসভাও করে বঙ্গবন্ধু ফিশারিজ। আজিব। দুই জনের বিদেহী আত্মাই কষ্টে আছে নিশ্চিত।
এর মধ্যে শুরু হইছে নানা রকমের মিথ্যাচার
আধুনিক শিক্ষার রুপকার বলে এরশাদ। আধুনিক লাম্প্যট্য আর দুর্নীতির রূপকার হইলেও না হয় বুঝতাম।
কিন্তু এমনটাই বা হবে না কেন, ক্ষমতাসীনের পান্ডারা যেভাবে মানুষ মারতাছে
এই যে আমার এলাকার নিরিহ ট্যাক্সি ড্রাইভার, কয়েক মাস আগের ছবি। চান্দা না দেওনের কারণে ভোরবেলা মাইর খাইয়া পইরা আছে, নিজের গাড়ীর ভিতরেই। বিচার বিভাগ হায়!!! বিচার বিভাগ!!!
বিশেষ বিচারকের আদালতই হয়ে উঠছে , সরকারের আশ্রয়কেন্দ্র। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের আশ্রয়কেন্দ্র।
নিয়ম ভাঙ্গা একটা চর্চায় পরিণত হয়েছে
যেখানে মোবাইল ব্যবহার করতে মানা সেখানেই.....
নিয়ম শৃঙ্খলা আছে
পায়ের উর্পে পা তুইলা
আইন, বিচার, ন্যায় আছে শীত নিদ্রায়
যে যেমনে পারে লুটপাট করতাছে। বসার জায়গায় ঘুমায়া রইছে। যে যেমনে পারে, পরের জায়গা জমি, টাকা মাইরা দিতাছে।
সবাই সবকিছু নিয়া বিভ্রান্ত। নাইলে কেন বোঝা যায় না কিসের প্রদর্শনী হইতাছে, ছবির নাকি গরাদের পেছনেরর মানুষটার? অদ্ভূত অদ্ভুত।
মানুষজন আছে নানান উত্তেজনার মধ্যে। আর আছে মিডিয়া....
কতইনা তাদের ক্যারদানী
কিন্তু সবাই কর্পোরেট আর ধান্দাবাজির কাছে বন্দী,
মুক্তচিন্তা, বাকস্বাধীনতা হইছে তাগোর টিস্যুর মত
পুরা দেশ এক্টা হাসপাতাল হয়া গেছে সবকিছুর হাসপাতাল পাওয়া যাইতেছে
ঘড়ি,ঘটি সবকিছুর
আমরা আবাল পাব্লিক আকাশ দেখি, আর দিন রাইত
মোবাইল কানে ঢুকাইয়া পইড়া থাকি
বিচিত্র সংস্কৃতি নিয়া হাউকাউ করি
মানুষ না হইয়া মানুষের ছায়া হয়ে গেছি। কোন প্রতিরোধ নাই পরিবর্তন নাই।
যেই মানুষটার আগে নিজের বাইক ছিল, বাইক চালাইতো
সেই মানুষটা ট্রাফিক সিগন্যালে নাইমা গেছে, পুরা তার ছিড়া অবস্থা।
কিসের ডিজিটাল বাংলাদেশ, দেশ এখনো টাইপরাইটারের যুগে আছে
এইখানে থাকতে আর কারই বা ভালো লাগবে?
মানুষজন তো অসুস্থ হয়ে গেছে
ড্রাকুলা হয়ে উঠছে
যদি না গণতন্ত্র সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠিত না হয়।
বি:দ্র: এখানে দুজন বন্ধু ব্লগারের ছবি ব্যবহার করেছি। তারা দু জন ই অনেক ভালো মানুষ। ১লা বৈশাখে আমারে নিজগুণে ক্ষমা করবেন এই সাহসে দিলাম।
মানুষকে জেগে উঠতে হবে এই হইল মাজেজা। আবার শুভ বৈশাখ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৭