১) আল্লাহর অস্তিত্বের বড় প্রমাণ হল, তিনি কথা বলেন অর্থাৎ ওহী করেন । পবিত্র কোরআন বলে, আল্লাতালা মানু্ষের ডাকে সাড়া দেন (বাকারা) এবং ফেরেস্তার মাধ্যমে নেক বান্দাদেরকে সুসংবাদ প্রদান করেন (হামিম সেজদা) । আল্লাহ কথা বলেন না বললে পাথরের মূর্তির সাথে পার্থক্য থাকে না । মূর্তিও কথা বলে না মোল্লাদের মতে আল্লাও কথা বলে না । আল্লাহ যাদের প্রতি অসন্তুষ্ট তাদের সাথে কথা বলে না, নেক বান্দাদের সাথে তিনি ওহী , ইলহামের মাধ্যমে কথা বলেন । আল্লাহর কথা না বলা অসম্ভব । আহমদীরা বলে আল্লাহ পূর্বে যেমন কথা বলতেন তেমনি এখনও বলেন । তার সব গুণ চিরস্থায়ী ।
২) পবিত্র কোরআন বলে আল্লাহতালা আদমকে (আঃ) এই পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন (বাকারা)। মৌলবাদীরা বলে, আদমকে বেহেস্তে সৃষ্টি করা হয়েছিল । পরে বেহেস্ত থেকে পৃথিবীতে ফেলে দেয়া হয় । অথচ কোরান বলে, বেহেস্ত থেকে কাউকে বের করে দেয়া হয় না (১৪:১৫) । আল্লাহ বলেন, পৃথিবীতে, মোল্লা বলেন,বেহেস্তে । আল্লাহ বলেন , বেহেস্ত থেকে কাউকে বের করে দেয়া হয় না । মোল্লা বলেন, আদম হাওয়াকে বেহেস্ত থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল । এক কথায় আল্লাহ ও মোল্লার কথা ভিন্ন । একটি অপরটির উল্টো । অতএব, আল্লাহ ধর্ম ও মোল্লার ধর্ম কখনও এক হতে পারে না । আহমদীরা আল্লার কথা মানে ।
৩) কোরআন বলে, ইবলিস জিন ছিল (১৮:৫৬) মোল্লা বলেন, ইবলিস ফিরিস্তা ছিল । বাঘের ঔরসে মেষের গর্ভে ইবলিসের জন্ম । সাধনা করে সে মোকর্রম (সম্মানীত) ফেরেস্তা হয়ে যায় । অথচ এসব কথার পক্ষে তারা কোন দলিল পেশ করতে পারে না । ফিরিস্তা আল্লাহর হুকুমের অবাধ্য হতে পারে না । ৬৬:৭) । মোল্লা বলেন, শয়তান নাকি আদমকে দিয়ে পাপ করিয়েছিল নিষিদ্ধ ফল খাইয়ে । অথচ কোরান বলে আদম (আঃ) পাপ করেননি , ভুল করেছিলেন (২০:১১৬) । এহেন দুই প্রকার বিশ্বাস এক ইসলাম হতে পারেনা । আহমদীরা মোল্লাদের কথা বিশ্বাস করে না ।
৪) ইসলাম বলে কোরআনের শরীয়ত জিন ও ইনস এর উপর প্রযোজ্য । কোরআনী বিধান যারা পালন করবে তাদের দেহ থাকা জরুরী । জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি কর্মই দে্হ ছাড়া সম্ভব নয় । ইসলামী বিধান মতে বিয়ে হলে নর ও নারীর দৈহিক সম্পর্কের জন্য দেহ দরকার । সন্তান ধারণ, প্রসব, আকিকা, খতনা ইত্যাদির জন্যও দেহ দরকার। অজু , গোসল, পাক, নাপাকী, কেশ, দাড়ি রাখা ইত্যাদির জন্যও দেহদারী হওয়া প্রয়োজন । অতএব, ইসলামের মতে একেই প্রকার দেহদারী জিন ও ইনস প্রকৃতির জীবের জন্য কোরআনের আইন কানুন । কিন্তু মোল্লা সাহেবরা বলেন জিনের দেহ নেই, ওরা নিরাকার । ওরা জঙ্গলে, কবর স্থানে, গাছে, অনাবাদ পরিত্যক্ত পুরাতন বাড়ি ঘরে বাস করে । সুযোগ পেলেই গ্রামের অশিতা মেয়ে মানুষকে ধরে কষ্ট দেয় । মোল্লারা সেই ভূত ছাড়িয়ে টু পাইস রোজগার করে । এদের স্ত্রীদেরকে বলে পরী । অথচ পরী অর্থ যার পর বা পাখা আছে । পাখী মাত্রই পরী । এই জ্বিন পরীরা ইচ্ছা মত অস্থা্য়ী আকার ধারণ করতে পারে । উল্লেখ্য যে যারা জিন পরীতে বিশ্বাস করে না তাদেরকে ধরে না । যারা বিশ্বাস করে, মান্য করে তাদেরকেই ধরে কষ্ট দেয় । বিজ্ঞানীরা বলেন জ্বিনে ধরা বলে কিছু নেই । এসব হল হিষ্টিরিয়া রোগ । মোল্লারা সাধারণ বি্শেষ করে অজ্ঞ মানুষকে জ্বিন ভূতের ভয় দেখিয়ে তাদের উপর রাজত্ব করে, ব্যবসা করে । প্রকৃত ইসলাম তা সমর্থন করে না । আহমদীরা আল্লাহর কথা মানে, মোল্লার নয় ।
৫) মহানবী (সাঃ) জীবনে কখনো তাবিজ কবচ দেননি । পানিতে ফুঁক দিয়ে কাউকে পানি পান করতেও দেননি । তিনি বলেছন , রোগ মাত্রেরই ঔষধ আছে, (বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ)। শ্বাস ফেলে পানি পান করতেও নিষেধ করেছেন (আবু দাউদ, ইবনে মাজা) অপর দিকে মোল্লা সাহেবান তাবিজকে চিকিৎসার একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে চলেছেন । মহানবী (সাঃ) যা করেননি মোল্লারা তাই করেছেন । ফলে মানুষের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে । মানুষ চিকিৎসা না করিয়ে আরোগ্যের আশায় কবচ ধারণ করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলছে । মহানবী (সাঃ) তন্ত্র মন্ত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন (আহমদ,তিরমিজি,ইবনে মাজা) । তাবিজ কবচকে নবী করীম সাঃ শির্ক বলেছেন (আহমদ, আবু দাউদ) এই হল ইসলামের শিক্ষা, নবীর সুন্নত । অপরদিকে ইসলামের নাম ব্যবহারকারী মোল্লা মৌলবীরা এই শির্ককে রুজির পথ হিসেবে বেছে নিয়ে নানা রংয়ে নানা ঢংগে অজ্ঞ মানুসকে তাবিজ দিয়ে যাচ্ছে । মোল্লাদের এই পন্থা কখনো ইসলাম সমর্থন করে না আহমদীরাও করেনা । (চলবে)
আহমদীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন